সরিষা ক্ষেতে প্রজাপতি, মৌমাছি, পতেঙ্গা, পাখি ও গিরগিটির মেলা

প্রতিনিধি
ফজল কাদির
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৩
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

নীলফামারীর সরিষা ক্ষেত এখন মনোহর দৃশ্য। হলদে মাঠে প্রজাপতি, মৌমাছি, ছোট পাখি ও গিরগিটি মিলিয়ে যেন এক মেলা বসেছে। মৌমাছি ও প্রজাপতি ফুলের মধু আহরণে ব্যস্ত, ছোট পাখিরা ডাল থেকে ডালে উড়ে বেড়ায় এবং গিরগিটিরা পতেঙ্গা ধরতে ব্যস্ত থাকে। প্রকৃতিপ্রেমিরা সহজেই এই বৈচিত্র্যপূর্ণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য ছাড়াও এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও আছে। নীলফামারীর আলু চাষীদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি বিঘা (৩০ শতক) চার থেকে সাড়ে চার মন সরিষা উৎপাদন হয় এবং বাজারে মন প্রতি দাম প্রায় চার হাজার টাকা। সরিষার শাকও প্রায় ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সদর ইউনিয়নের কচুকাটার আরিফুল হক বারী-১৪ জাতের ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন এবং বাম্পার ফলন পেয়ে সন্তুষ্ট। কিশোরগঞ্জের চাষী আল-আমীনও পরিবার চালানোর একমাত্র ভরসা হিসেবে সরিষা চাষে নির্ভরশীল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর রহমান জানান, এবারের আবহাওয়া সরিষা চাষের জন্য অনুকূল। বর্তমানে ৯,০২৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ইতোমধ্যেই ৭,৫২০ হেক্টরে চাষ সম্পন্ন হয়েছে। চাষ করা জাতের মধ্যে বারী-৯, ১৪, ১৫, ১৮, টোরি-৭ ও সেতি উল্লেখযোগ্য। সরিষা গাছের শুকনো পাতা জ্বালানি, খৈল, পশুর খাদ্য এবং সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিম্নভূমি ও মাঝারি উঁচু জমিতেও সরিষা ভালো ফলন দেয়, তাই অনেক কৃষক উঁচু জমিতেও সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

কৃষি ও পরিবেশ নিয়ে আরও পড়ুন

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ৭ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যুরা। রোববার সকালে সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ এলাকার হাঁসখালী, চেলাকাটা, হেতালবুনি খাল থেকে তাদের অপহরণ করে। আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যু ডন বাহিনীর পরিচয়ে ১০ জনের একদল সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করে।

২ ঘণ্টা আগে

নীলফামারীর ডোমারে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শালকী ব্রিকসের মালিক জাফর ইকবাল পলাশকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

৪ ঘণ্টা আগে

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুই দিন ধরে তীব্র শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শনিবারের সঙ্গে একই রকম। পাহাড়, হাওর ও চা-বাগান এলাকায় ঠান্ডার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি, যার ফলে জনজীবনে অসুবিধা তৈরি হয়েছে।

৫ ঘণ্টা আগে

‎খুলনার কয়রা উপজেলার নদী ভাঙন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বাঁধের দুর্বলতার কারণে জলমগ্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত উপকূলীয় এই এলাকায় নদী ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন, জোয়ার–ভাটার প্রকৃতি এবং নদীর গতিশীলতার কারণে ঝুঁকি বেড়েছে।

৫ ঘণ্টা আগে