রংপুর থেকে সৈয়দপুর, নীলফামারী ও জলঢাকা রুটের বাস চলাচল তৃতীয় দিনেও বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা বিআরটিসি বাস ও ইজিবাইকের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন, যার কারণে বেশি সময় ও অর্থ খরচ হচ্ছে।

নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্তে, রংপুর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আওতাভুক্ত সব বাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এতে ঢাকাগামী ও অন্যান্য জেলার বাস চলাচল প্রভাবিত হয়নি।

ঘটনার পটভূমি হলো—নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া শ্রমিক ইউনিয়ন উপ-কমিটির দপ্তর সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রংপুর বাস-মিনিবাস সমিতির কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে মারধর করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এবং পরে বিষয়টি জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের অবহিত করা হয়।

নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, “ন্যায্য পাওনা না দিয়ে একজন শ্রমিক নেতাকে মারধর করা দুঃখজনক। সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত রংপুর থেকে নীলফামারী বা নীলফামারী হয়ে অন্য জেলায় যাওয়া সব বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।”

যদিও মোটর মালিকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, শ্রমিকদের সঙ্গে এখনো কোন সমাধানমূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।