খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে এতিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ সোহেল হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর উদ্দেশ্যে ভাইবোনছড়ায় এক উপজাতি কিশোরী ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এমন অভিযোগ করে বলেন, খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অপহরণের ১২ দিনপর গত ১৬ জুলাই মাদ্রাসা ছাত্র সোহেলের অর্ধগলিত লাশ পুলিশ ও সেনাবাহিনী উদ্ধার করে। আর ঐদিন সন্ধ্যায় গত ২৭ জুন খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় এক উপজাতীয় কিশোরীকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানি ছড়ানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মোশারফ হোসেনের প্রশ্ন,২৭ জুলাই যদি ঐ কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়,তাহলে প্রায় ২০ দিন পর ১৬ জুলাই কেন প্রকাশ হলো ও হাসপাতালে ভর্তি হলো।

সংবাদ সম্মেলনে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর পরিকল্পিত মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও মানিকছড়িতে উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মোঃ সোহেলকে অপহরণের পর হত্যার নিন্দাও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদ উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ জহির আহম্মদ ও অশোক মজুমদারসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ভাইবোনছড়ার ধর্ষণ অভিযোগের পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে মাদ্রাসা ছাত্র মো. সোহেল হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী চক্রকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা,পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রে জড়িত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া,পাহাড়ের সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বোচ্চ অভিযান পরিচালনা, সশস্ত্র গ্রুপের অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্যে প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের জানানো হয়।