পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, খাগড়াছড়িতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন ও সহিংসতার পিছনে ইন্ধন রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বাইরে কারো হাতে অস্ত্র থাকবে না, যারা অবৈধ অস্ত্র হাতে মাঠে নেমেছে ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করছে তাদের গ্রেফতার করা হবে।

তিনি অভিযোগ করেন একাধিক পক্ষকে চাঁদা দিতে গিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলার ঘটনায়ও নিন্দা জানান।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়িতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন।

তিনি আরো বলেন,' আন্দোলনের নামে সহিংসতা তৈরি করে একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। এসময় পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি। আজকে নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে পাহাড়কে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচন দেয়া। কেউ যদি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন করে কোন ইস্যু তৈরি করতে দেয়া হবে না। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেউ মিছিল মিটিং করতে পারবেন না।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল খাদেমুল ইমলাম, খাগড়াছড়ি ৩২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরান উদ্দিন কবির, পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুলেল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুর রহমান, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহরিয়ার ইউনুছসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।