সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
জাতীয়

তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা

প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০: ৩৭
logo

তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০: ৩৭
Photo
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বুধবার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, যার শুনানি হতে পারে আজ।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এর আগে ১ ডিসেম্বর তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছিলেন।

গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরাদের প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যাদের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে, তারা সবাই খালাস পাবেন। ২০০৪ সালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

শুনানির বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেছিলেন, এই মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি (তারেক রহমানসহ অন্যরা) করা হয়েছে, সেটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমে দেওয়া হয়নি, সরাসরি জজ আদালতে দায়ের করে। সেজন্য এই অভিযোগপত্র ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গৃহীত হতে পারে না। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের নজির আছে যে, যদি দেখা যায় পুরো মামলায় অভিযোগ কোনো আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি ও যথাযথভাবে তদন্ত হয়নি, সেক্ষেত্রে সব আসামি খালাস পেলে যারা আপিল করেননি, ওই রায়ের সুবিধা তারাও পেতে পারেন। তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ কয়েকজন আপিল করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ তাদের নির্দোষ সাব্যস্ত করা যেতে পারে।

শুনানিতে তিন আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দির ভিত্তিতে অধিকতর যে তদন্ত হয়েছে, সেটির আইনগত ভিত্তি নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে শুনানিতে তুলে ধরেছেন। এসব দিক বিবেচনায় আসামিদের খালাসের আরজি জানিয়েছেন।

Thumbnail image
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বুধবার সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, যার শুনানি হতে পারে আজ।

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এর আগে ১ ডিসেম্বর তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছিলেন।

গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরাদের প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যাদের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে, তারা সবাই খালাস পাবেন। ২০০৪ সালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

শুনানির বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেছিলেন, এই মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি (তারেক রহমানসহ অন্যরা) করা হয়েছে, সেটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমে দেওয়া হয়নি, সরাসরি জজ আদালতে দায়ের করে। সেজন্য এই অভিযোগপত্র ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গৃহীত হতে পারে না। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের নজির আছে যে, যদি দেখা যায় পুরো মামলায় অভিযোগ কোনো আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি ও যথাযথভাবে তদন্ত হয়নি, সেক্ষেত্রে সব আসামি খালাস পেলে যারা আপিল করেননি, ওই রায়ের সুবিধা তারাও পেতে পারেন। তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ কয়েকজন আপিল করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ তাদের নির্দোষ সাব্যস্ত করা যেতে পারে।

শুনানিতে তিন আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দির ভিত্তিতে অধিকতর যে তদন্ত হয়েছে, সেটির আইনগত ভিত্তি নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে শুনানিতে তুলে ধরেছেন। এসব দিক বিবেচনায় আসামিদের খালাসের আরজি জানিয়েছেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

চার দিন পর গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৬ ঘণ্টা আগে
ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার- সড়ক উপদেষ্টা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার- সড়ক উপদেষ্টা

গুলিস্তান-শিববাড়ী-মতিঝিল রুটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে চলাচল করা বিআরটিসির ১০টি বাসে র‌্যাপিড পাশ ব্যবহার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় ৫টি বাস প্রদর্শন করে বিআরটিসি

১০ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমিরের বাসায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

জামায়াত আমিরের বাসায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

এসময় তিনি ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন

১১ ঘণ্টা আগে
শিশু হাসপাতালের ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল

শিশু হাসপাতালের ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল

বিতর্কের মুখে ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব প্রক্রিয়া নিয়ে ৪২ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

১১ ঘণ্টা আগে
গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

চার দিন পর গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৬ ঘণ্টা আগে
ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার- সড়ক উপদেষ্টা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহণ সরাতে বিশেষ ঋণ দেবে সরকার- সড়ক উপদেষ্টা

গুলিস্তান-শিববাড়ী-মতিঝিল রুটে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে চলাচল করা বিআরটিসির ১০টি বাসে র‌্যাপিড পাশ ব্যবহার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় ৫টি বাস প্রদর্শন করে বিআরটিসি

১০ ঘণ্টা আগে
জামায়াত আমিরের বাসায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

জামায়াত আমিরের বাসায় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

এসময় তিনি ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন

১১ ঘণ্টা আগে
শিশু হাসপাতালের ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল

শিশু হাসপাতালের ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল

বিতর্কের মুখে ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব প্রক্রিয়া নিয়ে ৪২ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

১১ ঘণ্টা আগে