রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৩ জন নিহত ও ৫৪ জন দগ্ধ হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর দগ্ধদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

বিমান বিধ্বস্তের দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৪ জনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে একে একে তাদেরকে এখানে আনা হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নাসির উদ্দিন জানান, উত্তরা দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী ইনস্টিটিউট এসেছে। বেশির ভাগ রোগীর অবস্থা গুরুতর। সবার চিকিৎসা চলছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে বিধ্বস্ত হয় বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই যুদ্ধ বিমানটি ।

ফায়ার সার্ভিস এক খুদে বার্তায় জানিয়েছে, আজ সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটতে ফায়ার সার্ভিস যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তের খবর পায়। ১টা ২২ মিনিটে প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর, পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের মোট ৮টি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, এই ঘটনায় হতাহতের শঙ্কা বাড়তে পারে। চারজনকে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় এবং আশপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় অন্তত ৫৪ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতোমধ্যে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। এখনো অনেক রোগী আমাদের এখানে আসছে।