মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কবরস্থান থেকে রাতের আঁধারে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির ঘটনা এখন নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত জেলায় কঙ্কাল চুরির অন্তত ছয়টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মোট ৪৭টি কঙ্কাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে কোন মামলা হয়নি। এমনকি এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা নয়, বরং এটি সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে একটি গভীর অবমাননার বিষয়। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় জনগণের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার (১৯ মে) রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের বাংগড়া কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়। মঙ্গলবার (২০) সকালে শ্রমিকেরা বাংগড়া করবস্থানে নির্মাণাধীন পানির ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে কবরস্থানের প্রধান গেট খোলা দেখতে পান । এরপর ভেতরে গিয়ে দেখেন বেশ কিছু কবর খোঁড়া রয়েছে। পরে বিষয়টি কবরস্থান পরিচালনা কমিটিকে জানালে কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন খোড়া কবরগুলোর ভেতরে কোনো কঙ্কাল নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, গত পাঁচ থেকে সাত মাসের মধ্যে যে-সব মৃত মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছিল সেসব কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চুরি যাওয়া কঙ্কালগুলোর মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিল।
এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরঙ্গাইল গ্রামের জান্নাতুল বাকি কবরস্থান থেকে অন্তত ১৮টি কঙ্কাল চুরি হয়। স্থানীয়রা সকালে কবরস্থানে গিয়ে কয়েকটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান এবং অনেক কঙ্কাল দেখতে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
এ ছাড়াও ২০২২ সালের মার্চ মাসে ঘিওর উপজেলার ধুলন্ডী গ্রামের জান্নাতুল বাকী কবরস্থান থেকে ৯টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। একই বছরের আগস্টে শিবালয় উপজেলার বড় বোয়ালী ও কাতরাসিন দক্ষিণপাড়া কবরস্থান থেকে আরও ১২টি কঙ্কাল চুরি হয়। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর শিবালয় উপজেলার বড় বোয়ালী কবরস্থানে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এবার আরও তিনটি কঙ্কাল চুরি হয়।
কঙ্কাল চুরি হয় কেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন কাজে কঙ্কাল বা হাড়ের চাহিদা রয়েছে। যেমন- কালো জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্রে মানুষের হাড় ব্যবহার করা হয়, চিকিৎসাশাস্ত্র ও গবেষণায় কঙ্কালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও কালোবাজারে বিক্রি ও বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেও কঙ্কাল চুরি হয়ে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবিনা সুলতানা বলেন, “এই ধরনের অপরাধ শুধু আইনগত নয়, এটি একটি সামাজিক সংকট। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন বলেন, “কঙ্কাল চুরির ঘটনায় মানিকগঞ্জে কোন মামলার রেকর্ড নেই। এসব ঘটনায় কাউকে কখনো গ্রেফতারও করা হয়নি। তবে গতকালকের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। “
মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার কবরস্থান থেকে রাতের আঁধারে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরির ঘটনা এখন নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত জেলায় কঙ্কাল চুরির অন্তত ছয়টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মোট ৪৭টি কঙ্কাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে কোন মামলা হয়নি। এমনকি এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা নয়, বরং এটি সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে একটি গভীর অবমাননার বিষয়। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় জনগণের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সর্বশেষ গতকাল সোমবার (১৯ মে) রাতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের বাংগড়া কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল চুরি হয়। মঙ্গলবার (২০) সকালে শ্রমিকেরা বাংগড়া করবস্থানে নির্মাণাধীন পানির ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে কবরস্থানের প্রধান গেট খোলা দেখতে পান । এরপর ভেতরে গিয়ে দেখেন বেশ কিছু কবর খোঁড়া রয়েছে। পরে বিষয়টি কবরস্থান পরিচালনা কমিটিকে জানালে কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন খোড়া কবরগুলোর ভেতরে কোনো কঙ্কাল নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, গত পাঁচ থেকে সাত মাসের মধ্যে যে-সব মৃত মানুষকে কবর দেওয়া হয়েছিল সেসব কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চুরি যাওয়া কঙ্কালগুলোর মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী ছিল।
এর আগে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বরঙ্গাইল গ্রামের জান্নাতুল বাকি কবরস্থান থেকে অন্তত ১৮টি কঙ্কাল চুরি হয়। স্থানীয়রা সকালে কবরস্থানে গিয়ে কয়েকটি কবর খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পান এবং অনেক কঙ্কাল দেখতে না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।
এ ছাড়াও ২০২২ সালের মার্চ মাসে ঘিওর উপজেলার ধুলন্ডী গ্রামের জান্নাতুল বাকী কবরস্থান থেকে ৯টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটে। একই বছরের আগস্টে শিবালয় উপজেলার বড় বোয়ালী ও কাতরাসিন দক্ষিণপাড়া কবরস্থান থেকে আরও ১২টি কঙ্কাল চুরি হয়। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর শিবালয় উপজেলার বড় বোয়ালী কবরস্থানে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এবার আরও তিনটি কঙ্কাল চুরি হয়।
কঙ্কাল চুরি হয় কেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন কাজে কঙ্কাল বা হাড়ের চাহিদা রয়েছে। যেমন- কালো জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্রে মানুষের হাড় ব্যবহার করা হয়, চিকিৎসাশাস্ত্র ও গবেষণায় কঙ্কালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও কালোবাজারে বিক্রি ও বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যেও কঙ্কাল চুরি হয়ে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবিনা সুলতানা বলেন, “এই ধরনের অপরাধ শুধু আইনগত নয়, এটি একটি সামাজিক সংকট। প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াসমিন খাতুন বলেন, “কঙ্কাল চুরির ঘটনায় মানিকগঞ্জে কোন মামলার রেকর্ড নেই। এসব ঘটনায় কাউকে কখনো গ্রেফতারও করা হয়নি। তবে গতকালকের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। “
বস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
৭ ঘণ্টা আগেঅভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেউপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন
৭ ঘণ্টা আগেএসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়
৭ ঘণ্টা আগেবস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
অভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
উপস্থিত অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন এবং অফিসার ও ফোর্সদের সার্বিক কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট ইনচার্জবৃন্দকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন
এসময় ই—ট্র্যাফিক প্রসিকিউশন অ্যান্ড ফাইন পেমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে মামলার চালক বা গাড়ি মালিকের মোবাইলে বার্তা পৌঁছে যাবে। বিকাশ বা পস মেশিনের মাধ্যমে জরিমানা পরিশোধ সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়