এপ্রিল মাসের প্রতিবেদন
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ জেলার অপরাধ দমনে এপ্রিল মাসজুড়ে নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মোট ৮৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা অপরাধ দমনে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও, কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে ঘিওর উপজেলা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এপ্রিল মাসে পরিচালিত ৮৪টি অভিযানে মোট ২৩৬টি মামলা করা হয়। কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৪ জনকে এবং মোট ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিচালিত ২৩টি অভিযানে ৭৬টি মামলা করা হয় এবং এক লাখ ৮১ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তবে এসব অভিযানে কাউকে কারাদণ্ড দেয়া হয়নি।
সবচেয়ে সফল সদর উপজেলা
উপজেলা পর্যায়ের অভিযানে সবচেয়ে সফল ছিল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা। সেখানে ১০টি অভিযানে ৩২টি মামলা, ৬ লাখ ১০ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযানগুলো পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন।
তিনি বলেন, “মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় অপরাধ দমনে নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয়ই দেয়া হয়েছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
নাটকীয়ভাবে পিছিয়ে ঘিওর
অন্যদিকে ঘিওর উপজেলায় এপ্রিল মাসে মাত্র চারটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে পাঁচটি মামলা করা হয় এবং জরিমানা আদায় হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৭০০ টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কাউকেই কারাদণ্ড দেয়া হয়নি। অথচ প্রতিটি অভিযানে গড়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ টাকা। সে হিসেবে চারটি অভিযানে মোট খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা, যা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘিওর উপজেলার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা সুলতানা নাসরিন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মোবাইল কোর্ট জরিমানা আদায়ের জন্য করা হয় না। এটা করা হয় অপরাধ দমনের জন্য। কাজেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় আমি যেটাকে যুক্তিযুক্ত মনে করেছি, সেটাই করেছি।”
অন্যান্য উপজেলার চিত্র
শিবালয় উপজেলায় ১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৬৬টি মামলা ও ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলায় ১০টি অভিযানে ২৯টি মামলা ও ৫ লাখ ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা, সিংগাইর উপজেলায় ৭টি অভিযানে ১৭টি মামলা ও ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, সাটুরিয়া উপজেলায় ৫টি অভিযানে ৪টি মামলা ও ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা এবং হরিরামপুর উপজেলায় ৭টি অভিযানে ৭টি মামলা ও ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
যেসব আইনে ব্যবস্থা
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে যেসব আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, সড়ক পরিবহন আইন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, দণ্ডবিধি ১৮৬০, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ইট ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন, পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইনসহ আরও অন্তত ১৪টি আইন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরাধ দমনে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরও জোরালো করতে হবে। একইসঙ্গে দুর্বল পারফরম্যান্স দেওয়া উপজেলা প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
মানিকগঞ্জ জেলার অপরাধ দমনে এপ্রিল মাসজুড়ে নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে মোট ৮৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা অপরাধ দমনে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও, কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে ঘিওর উপজেলা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এপ্রিল মাসে পরিচালিত ৮৪টি অভিযানে মোট ২৩৬টি মামলা করা হয়। কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৪ জনকে এবং মোট ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিচালিত ২৩টি অভিযানে ৭৬টি মামলা করা হয় এবং এক লাখ ৮১ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তবে এসব অভিযানে কাউকে কারাদণ্ড দেয়া হয়নি।
সবচেয়ে সফল সদর উপজেলা
উপজেলা পর্যায়ের অভিযানে সবচেয়ে সফল ছিল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা। সেখানে ১০টি অভিযানে ৩২টি মামলা, ৬ লাখ ১০ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অভিযানগুলো পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন।
তিনি বলেন, “মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় অপরাধ দমনে নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয়ই দেয়া হয়েছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
নাটকীয়ভাবে পিছিয়ে ঘিওর
অন্যদিকে ঘিওর উপজেলায় এপ্রিল মাসে মাত্র চারটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে পাঁচটি মামলা করা হয় এবং জরিমানা আদায় হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৭০০ টাকা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, কাউকেই কারাদণ্ড দেয়া হয়নি। অথচ প্রতিটি অভিযানে গড়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৬০০ টাকা। সে হিসেবে চারটি অভিযানে মোট খরচ হয়েছে ১০ হাজার ৪০০ টাকা, যা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘিওর উপজেলার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা সুলতানা নাসরিন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মোবাইল কোর্ট জরিমানা আদায়ের জন্য করা হয় না। এটা করা হয় অপরাধ দমনের জন্য। কাজেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় আমি যেটাকে যুক্তিযুক্ত মনে করেছি, সেটাই করেছি।”
অন্যান্য উপজেলার চিত্র
শিবালয় উপজেলায় ১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৬৬টি মামলা ও ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলায় ১০টি অভিযানে ২৯টি মামলা ও ৫ লাখ ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা, সিংগাইর উপজেলায় ৭টি অভিযানে ১৭টি মামলা ও ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, সাটুরিয়া উপজেলায় ৫টি অভিযানে ৪টি মামলা ও ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা এবং হরিরামপুর উপজেলায় ৭টি অভিযানে ৭টি মামলা ও ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
যেসব আইনে ব্যবস্থা
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে যেসব আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, সড়ক পরিবহন আইন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, দণ্ডবিধি ১৮৬০, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ইট ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, হোটেল ও রেস্তোরাঁ আইন, পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইনসহ আরও অন্তত ১৪টি আইন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরাধ দমনে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আরও জোরালো করতে হবে। একইসঙ্গে দুর্বল পারফরম্যান্স দেওয়া উপজেলা প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল রাফিকে অপহরণের ঘটনায় পলাতক আসামি মো. মনির গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টিএন্ডটি পাহাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে অপহরণের কাজে ব্যাবহৃত অটোরিক্সাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেভোলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব ঘটাচ্ছে গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) পালন। এর উজ্জ্বল উদাহরণ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ফিরোজ। মাত্র ছয়টি গাড়ল দিয়ে খামার শুরু করে দুই বছরেই তিনি লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন এবং বর্তমানে তাঁর খামারে ২৫টি গাড়ল রয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেবস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
৩ দিন আগেঅভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়
৩ দিন আগেখাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আল রাফিকে অপহরণের ঘটনায় পলাতক আসামি মো. মনির গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে টিএন্ডটি পাহাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে অপহরণের কাজে ব্যাবহৃত অটোরিক্সাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
ভোলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব ঘটাচ্ছে গাড়ল (উন্নত জাতের ভেড়া) পালন। এর উজ্জ্বল উদাহরণ সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ফিরোজ। মাত্র ছয়টি গাড়ল দিয়ে খামার শুরু করে দুই বছরেই তিনি লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন এবং বর্তমানে তাঁর খামারে ২৫টি গাড়ল রয়েছে।
বস্তি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ ছোবল, মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চাঁন্দলাই জোড়বাগান এলাকার যুবসমাজ। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
অভিযান চলাকালে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২টি ইটভাটার মালিক সাধন পাল ও সঞ্জয় পালকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৬ ধারা মোতাবেক ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়