আওয়ামী স্টাইলে টেন্ডার
ফেনী
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আউট সোর্সিং এ জনবল নিয়োগে পিপিআর বর্হিভূত টেন্ডার বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করেছে মের্সাস চুমকি এন্টারপ্রাইজ ও মের্সাস শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারদের অভিযোগ সকল প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও শর্তাবলী ঠিকঠাক থাকার পরও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ৪টি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে আরাফাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে বিধিবহির্ভূতভাবে টেন্ডার পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সুপারিশ করেছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে অন্য ঠিকাদাররা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে স্বেরাচারী কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। বেশীরভাগ আবেদনকারী বিএনপি সমর্থিত। যেহেতু সবাই নিজেরা নিজেরা এখানে সুপার অনিয়ম না করে লটারী দিতে পারতো। মূলত সুপার আবুল খায়ের মিয়াজী সুবিধা নেয়ার জন্য এই অনিয়মগুলো করছেন।
শাহ আমানত ও চুমকি এন্টারপ্রাইজের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ মার্চ ফেনী ২৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতাল এর জন্য আউট সোর্সিং এর লোক নিয়োগের দরপত্র গ্রহণ করা হয়। কিন্তু উক্ত দরপত্রে সিপিটিইউ এর কোন নিয়ম মানা হয়নি এবং পিপিআর-২০০৮ এর নিয়ম বর্হিভূত ভাবে দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে মের্সাস চুমকি এন্টারপ্রাইজ ও শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজঅংশ গ্রহণ করে। পরে জানতে পারি তত্ত্বাবধায়ক তার বিশেষ ক্ষমতাবলে ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দরপত্রটি বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া করছে। বিধি বর্হিভুত দরপত্র বাতিল করে পুনঃরায় বিধি মোতাবেক আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় সিপিটিইউএর ফরমেট অনুসরণ করে এবং পিপিআর-২০০৮ মোতাবেক দরপত্র আহবান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিগত আওয়ামীলীগের আমলেও আবুল খায়ের মিয়াজী এসব করতেন বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার আবুল খায়ের লিংকন, শহিদুল ইসলাম, বেলাল হোসেন ভিপি বেলাল।
মের্সাস চুমকি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল খায়ের লিংকন বলেন, পিপিআর বর্হিভূত টেন্ডার দরপত্র বাতিল করে পুনঃরায় দরপত্র আহবানের দাবী জানাই। তিনি বলেন, আবুল খায়ের মিয়াজী দীর্ঘদিন ধরে বিগত আওয়ামী লীগের আমল থেকে আউটসোর্সিং এর কম লোক দিয়ে কাগজপত্রে বেশি লোক দেখিয়ে ঠিকাদার যে সুবিধা ভোগ করেন তার অর্ধেক তিনি নিয়ে যান। এখনো সেই সুবিধা নেয়ার জন্য অনিয়ম করে লটারি না করে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ ভাগিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া করছেন।
ঢাকার ভ্যারিটাস লিমিটেডের প্রতিনিধি বেলাল হোসেন ভিপি বেলাল জানান, এখন অনিয়মের সুযোগ নেই। আবেদনকারী ৫টি প্রতিষ্ঠানের সবাই যোগ্য হলে লটারির মাধ্যমেই দিতে হবে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক এই নীতিমালা অনুসরণ না করে একটি প্রতিষ্ঠানকে সুপারিশ করেছে।
কামাল উদ্দিন নামে অপর এক প্রতিনিধি জানান, ডা. আবুল খায়ের মিয়াজি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এখানে স্বৈরাচারী কায়দায় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করছে। তিনি আরাফাত এন্টারপ্রাইজ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদের নাম প্রস্তাব করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।
মেসার্স শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ নিয়ম ভঙ্গ করে তত্ত্বাবধায়ক আগের মত আওয়ামী স্টাইলে প্রতিষ্ঠান বাছাই করেছে। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ এগুলো মেনে নেয়া যায় না।
জানতে চাইলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেসার্স আরাফাত এন্টারপ্রাইজকে সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সবকিছু বিবেচনা করা হয়েছে। যোগ্য প্রতিষ্ঠানটি দরপত্র পেয়েছে। বাছাই করার জন্য ডিসি অফিসের একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাছাই করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদক ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট কে ছিলেন তার নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত ৯ মাস ধরে আউটসোর্সিং এর কর্মীরা টাকা না পাওয়ায় অনশন কর্মসূচী পালন করছেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আউট সোর্সিং এ জনবল নিয়োগে পিপিআর বর্হিভূত টেন্ডার বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করেছে মের্সাস চুমকি এন্টারপ্রাইজ ও মের্সাস শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারদের অভিযোগ সকল প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ও শর্তাবলী ঠিকঠাক থাকার পরও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ৪টি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে আরাফাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে বিধিবহির্ভূতভাবে টেন্ডার পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সুপারিশ করেছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে অন্য ঠিকাদাররা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে স্বেরাচারী কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। বেশীরভাগ আবেদনকারী বিএনপি সমর্থিত। যেহেতু সবাই নিজেরা নিজেরা এখানে সুপার অনিয়ম না করে লটারী দিতে পারতো। মূলত সুপার আবুল খায়ের মিয়াজী সুবিধা নেয়ার জন্য এই অনিয়মগুলো করছেন।
শাহ আমানত ও চুমকি এন্টারপ্রাইজের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ মার্চ ফেনী ২৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতাল এর জন্য আউট সোর্সিং এর লোক নিয়োগের দরপত্র গ্রহণ করা হয়। কিন্তু উক্ত দরপত্রে সিপিটিইউ এর কোন নিয়ম মানা হয়নি এবং পিপিআর-২০০৮ এর নিয়ম বর্হিভূত ভাবে দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে মের্সাস চুমকি এন্টারপ্রাইজ ও শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজঅংশ গ্রহণ করে। পরে জানতে পারি তত্ত্বাবধায়ক তার বিশেষ ক্ষমতাবলে ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দরপত্রটি বিশেষ একটি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া করছে। বিধি বর্হিভুত দরপত্র বাতিল করে পুনঃরায় বিধি মোতাবেক আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় সিপিটিইউএর ফরমেট অনুসরণ করে এবং পিপিআর-২০০৮ মোতাবেক দরপত্র আহবান করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বিগত আওয়ামীলীগের আমলেও আবুল খায়ের মিয়াজী এসব করতেন বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার আবুল খায়ের লিংকন, শহিদুল ইসলাম, বেলাল হোসেন ভিপি বেলাল।
মের্সাস চুমকি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল খায়ের লিংকন বলেন, পিপিআর বর্হিভূত টেন্ডার দরপত্র বাতিল করে পুনঃরায় দরপত্র আহবানের দাবী জানাই। তিনি বলেন, আবুল খায়ের মিয়াজী দীর্ঘদিন ধরে বিগত আওয়ামী লীগের আমল থেকে আউটসোর্সিং এর কম লোক দিয়ে কাগজপত্রে বেশি লোক দেখিয়ে ঠিকাদার যে সুবিধা ভোগ করেন তার অর্ধেক তিনি নিয়ে যান। এখনো সেই সুবিধা নেয়ার জন্য অনিয়ম করে লটারি না করে একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ ভাগিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া করছেন।
ঢাকার ভ্যারিটাস লিমিটেডের প্রতিনিধি বেলাল হোসেন ভিপি বেলাল জানান, এখন অনিয়মের সুযোগ নেই। আবেদনকারী ৫টি প্রতিষ্ঠানের সবাই যোগ্য হলে লটারির মাধ্যমেই দিতে হবে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক এই নীতিমালা অনুসরণ না করে একটি প্রতিষ্ঠানকে সুপারিশ করেছে।
কামাল উদ্দিন নামে অপর এক প্রতিনিধি জানান, ডা. আবুল খায়ের মিয়াজি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এখানে স্বৈরাচারী কায়দায় টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করছে। তিনি আরাফাত এন্টারপ্রাইজ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদের নাম প্রস্তাব করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।
মেসার্স শাহ আমানত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম জানান, সম্পূর্ণ নিয়ম ভঙ্গ করে তত্ত্বাবধায়ক আগের মত আওয়ামী স্টাইলে প্রতিষ্ঠান বাছাই করেছে। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ এগুলো মেনে নেয়া যায় না।
জানতে চাইলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের মিয়াজী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মেসার্স আরাফাত এন্টারপ্রাইজকে সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সবকিছু বিবেচনা করা হয়েছে। যোগ্য প্রতিষ্ঠানটি দরপত্র পেয়েছে। বাছাই করার জন্য ডিসি অফিসের একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাছাই করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদক ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট কে ছিলেন তার নাম জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত ৯ মাস ধরে আউটসোর্সিং এর কর্মীরা টাকা না পাওয়ায় অনশন কর্মসূচী পালন করছেন।
অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন
১৯ ঘণ্টা আগেঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্র ও শনিবার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। দাবি আদায় না হলে রোববার ভোর ৬ টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতিকে না বলতে হবে সব পর্যায় থেকে। শিক্ষা জীবন থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষা জীবনে যদি একজন শিক্ষার্থী দুর্নীতি প্রতিরোধের চেতনা ধারণ করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কখনো সে দুর্নীতিতে জড়াবে না
১৯ ঘণ্টা আগেচন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াত ও দুর্নীতি করেছেন। সচ্ছল ও অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন। প্রতিকার্ডে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি
২০ ঘণ্টা আগেঅভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্র ও শনিবার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। দাবি আদায় না হলে রোববার ভোর ৬ টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে
দুর্নীতিকে না বলতে হবে সব পর্যায় থেকে। শিক্ষা জীবন থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষা জীবনে যদি একজন শিক্ষার্থী দুর্নীতি প্রতিরোধের চেতনা ধারণ করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কখনো সে দুর্নীতিতে জড়াবে না
চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াত ও দুর্নীতি করেছেন। সচ্ছল ও অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন। প্রতিকার্ডে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি