ফেনী
ফেনী জেলায় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, শনিবার (১২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন প্রায় ৫ হাজার ১৮ জন মানুষ। এর আগে পাঁচ উপজেলার অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৩টি স্থানে ভেঙে গেছে, যার ফলে ১১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যদিও শনিবার নতুন করে কোনো গ্রাম প্লাবিত হয়নি, তবে গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো পানির নিচে এবং কিছু কিছু বাড়ির আঙিনায় হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে। এসব পানি পেরিয়ে সাধারণ মানুষকে দৈনন্দিন চলাফেরা করতে হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে
পানি কমে আসর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগও দৃশ্যমান হচ্ছে। ধসে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্য ও হ্যাচারির খামারিরা।
কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, চলমান বন্যায় ২ হাজার ৩৫০টির বেশি পুকুর ও মৎস্য ঘের এবং ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পানি পুরোপুরি না সরা পর্যন্ত প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ ও হতাশা
ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সিফাত নিখাদ খবরকে বলেন, “বন্যার পানিতে আমার টিনের ঘরের নিচের অংশ ভেঙে গেছে। গত বছরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার বন্যা।”
একই গ্রামের শিউলি বলেন, “এবার পানি অনেক ধীরগতিতে নামছে। প্রতিবছর একই কাহিনি—বাঁধ ভাঙে, লোকজন আসে, আশ্বাস দেয়, তারপর আর কাজ হয় না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।”
প্রশাসনের তৎপরতা ও আশ্বাস
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পাঁচ উপজেলায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাচ্ছেন।
নদীর পানিপ্রবাহ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, “বর্তমানে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে আগামী তিনদিন ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “এই সময়ে মাঝারি থেকে মাঝারি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা আপাতত নেই।”
ফেনী জেলায় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, শনিবার (১২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন প্রায় ৫ হাজার ১৮ জন মানুষ। এর আগে পাঁচ উপজেলার অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৩টি স্থানে ভেঙে গেছে, যার ফলে ১১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যদিও শনিবার নতুন করে কোনো গ্রাম প্লাবিত হয়নি, তবে গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো পানির নিচে এবং কিছু কিছু বাড়ির আঙিনায় হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে। এসব পানি পেরিয়ে সাধারণ মানুষকে দৈনন্দিন চলাফেরা করতে হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতির চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে
পানি কমে আসর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগও দৃশ্যমান হচ্ছে। ধসে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্য ও হ্যাচারির খামারিরা।
কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, চলমান বন্যায় ২ হাজার ৩৫০টির বেশি পুকুর ও মৎস্য ঘের এবং ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পানি পুরোপুরি না সরা পর্যন্ত প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ ও হতাশা
ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা সিফাত নিখাদ খবরকে বলেন, “বন্যার পানিতে আমার টিনের ঘরের নিচের অংশ ভেঙে গেছে। গত বছরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবার বন্যা।”
একই গ্রামের শিউলি বলেন, “এবার পানি অনেক ধীরগতিতে নামছে। প্রতিবছর একই কাহিনি—বাঁধ ভাঙে, লোকজন আসে, আশ্বাস দেয়, তারপর আর কাজ হয় না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।”
প্রশাসনের তৎপরতা ও আশ্বাস
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পাঁচ উপজেলায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ এবং পুনর্বাসনের জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাচ্ছেন।
নদীর পানিপ্রবাহ ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, “বর্তমানে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। ফলে আগামী তিনদিন ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “এই সময়ে মাঝারি থেকে মাঝারি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা আপাতত নেই।”
তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়ায় উপজেলা মহিলা দলের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অবৈধভাবে বালু লুটের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চার ব্যক্তির পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা এ নির্দেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেসমাবেশে বক্তারা মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ড,দেশব্যাপী চাঁদাবাজ, মামলা বাণিজ্য, দখলদারিত্ব ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
২ ঘণ্টা আগেইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, চাঁদা না পেয়ে যুবদলের কর্মীরা ঢাকায় মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যা করেছে। যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কর্তৃক হত্যাযজ্ঞের চেয়েও মারাত্মক।
২ ঘণ্টা আগেতৃণমূল পর্যায়ে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়ায় উপজেলা মহিলা দলের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অবৈধভাবে বালু লুটের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত চার ব্যক্তির পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রীতম সাহা এ নির্দেশ দেন।
সমাবেশে বক্তারা মিডফোর্ডের হত্যাকাণ্ড,দেশব্যাপী চাঁদাবাজ, মামলা বাণিজ্য, দখলদারিত্ব ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, চাঁদা না পেয়ে যুবদলের কর্মীরা ঢাকায় মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যা করেছে। যা আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কর্তৃক হত্যাযজ্ঞের চেয়েও মারাত্মক।