পঞ্চগড়
দেশের উত্তরের খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা পঞ্চগড়ে ভরা বর্ষা মৌসুমে চলছে খরা।ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায়, জমিতে পানি না জমায় আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা।এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার কৃষকরা। প্রায় ২০ দিন যাবত এই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি।এর মধ্যে মাঝে মাঝে ছিটে ফোটা বৃষ্টি হলেও ফসলি জমিতে পানি জমেনি।
বিগত বছরগুলোতে ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়লেও এবারে এর ব্যতিক্রম হয়েছে। পানির অভাবে এবারে এখন পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার কৃষকরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি।পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে ফসলি মাঠ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিলেও উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ভিন্ন চিত্র। আবহাওয়ার এই বৈরীপ্রভাবে এবারে আমন চাষে শঙ্কিত পঞ্চগড়ের কৃষককুল। চলছে আষাঢ় মাস। ভরা বর্ষার মৌসুম। তবুও এ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির দেখা নেই ।
বর্ষাকালেও দিনের বেলা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে গেছে পঞ্চগড়ের আমন ধান চাষের জমিগুলো। পানির অভাবে আবাদযোগ্য জমিগুলোতে হালচাষ করতে পারছেন না চাষীরা। খরায় পতিত জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। চলতি এই ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপা আমন চারা সময় মতো জমিতে রোপণ করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ জেলার কৃষকেরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আষাঢ়ের এই সময়ে যে-সব জমিতে পানি থৈই থৈই করত,সেসকল ফসলি মাঠ এখন পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে,অনেক জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কিছু সংখ্যক কৃষক দহলা বা নীচু কিছু জমিতে সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপণ করছে।
জেলার বোদা উপজেলার বোসপাড়া গ্রামের কৃষক তছলিম উদ্দিন জানান,গত বছর ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন চারা রোপণ করেছিলাম,এবারে জমিতে পানি না জমায় এখনো জমি হালচাষ করতে পারিনি। সময় মতো আমন চারা রোপণ করতে না পারলে ফলন কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বালাভীড় গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন,অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে জমিতে হালচাষ করা যাচ্ছেনা। এদিকে বীজ তলায় আমন ধানের চারাগুলো রোপণের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আষাঢ় মাস শেষের দিকে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। এই আষাঢ় মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা, সে পরিমাণ বৃষ্টিপাত এবার হয়নি। আকাশে বৃষ্টি জমলেও ভারি বৃষ্টির দেখা মেলে না। এই সপ্তাহের মধ্যে ভারি বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে আমন রোপণ শুরু করতে হবে, এতে উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে।
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেছেন, মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয় থাকায় পঞ্চগড়ে ভারী বৃষ্টি এখনো হয়নি। তবে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন,আমন চাষের যথেষ্ট সময় রয়েছে,আশাকরি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হবে।বৃষ্টি নামলে পুরোদমে আমন চাষ শুরু হবে। তিনি জানান,এবারে পঞ্চগড় জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন ধান।
দেশের উত্তরের খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা পঞ্চগড়ে ভরা বর্ষা মৌসুমে চলছে খরা।ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায়, জমিতে পানি না জমায় আমন চারা রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা।এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার কৃষকরা। প্রায় ২০ দিন যাবত এই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি।এর মধ্যে মাঝে মাঝে ছিটে ফোটা বৃষ্টি হলেও ফসলি জমিতে পানি জমেনি।
বিগত বছরগুলোতে ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন ধানের চারা রোপণের ধুম পড়লেও এবারে এর ব্যতিক্রম হয়েছে। পানির অভাবে এবারে এখন পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার কৃষকরা জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি।পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে ফসলি মাঠ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিলেও উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ভিন্ন চিত্র। আবহাওয়ার এই বৈরীপ্রভাবে এবারে আমন চাষে শঙ্কিত পঞ্চগড়ের কৃষককুল। চলছে আষাঢ় মাস। ভরা বর্ষার মৌসুম। তবুও এ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির দেখা নেই ।
বর্ষাকালেও দিনের বেলা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে গেছে পঞ্চগড়ের আমন ধান চাষের জমিগুলো। পানির অভাবে আবাদযোগ্য জমিগুলোতে হালচাষ করতে পারছেন না চাষীরা। খরায় পতিত জমিগুলো ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। চলতি এই ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপা আমন চারা সময় মতো জমিতে রোপণ করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ জেলার কৃষকেরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আষাঢ়ের এই সময়ে যে-সব জমিতে পানি থৈই থৈই করত,সেসকল ফসলি মাঠ এখন পানির অভাবে খাঁ খাঁ করছে,অনেক জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কিছু সংখ্যক কৃষক দহলা বা নীচু কিছু জমিতে সেচের মাধ্যমে আমন চারা রোপণ করছে।
জেলার বোদা উপজেলার বোসপাড়া গ্রামের কৃষক তছলিম উদ্দিন জানান,গত বছর ১৫ আষাঢ়ের মধ্যে আমন চারা রোপণ করেছিলাম,এবারে জমিতে পানি না জমায় এখনো জমি হালচাষ করতে পারিনি। সময় মতো আমন চারা রোপণ করতে না পারলে ফলন কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বালাভীড় গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন,অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে জমিতে হালচাষ করা যাচ্ছেনা। এদিকে বীজ তলায় আমন ধানের চারাগুলো রোপণের উপযোগী হয়ে উঠেছে।
একই গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আষাঢ় মাস শেষের দিকে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। এই আষাঢ় মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা, সে পরিমাণ বৃষ্টিপাত এবার হয়নি। আকাশে বৃষ্টি জমলেও ভারি বৃষ্টির দেখা মেলে না। এই সপ্তাহের মধ্যে ভারি বৃষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে আমন রোপণ শুরু করতে হবে, এতে উৎপাদন খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে।
পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেছেন, মৌসুমি বায়ু নিষ্ক্রিয় থাকায় পঞ্চগড়ে ভারী বৃষ্টি এখনো হয়নি। তবে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন বলেন,আমন চাষের যথেষ্ট সময় রয়েছে,আশাকরি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত হবে।বৃষ্টি নামলে পুরোদমে আমন চাষ শুরু হবে। তিনি জানান,এবারে পঞ্চগড় জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৪ মেট্রিক টন ধান।
প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
৫ মিনিট আগেচলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ
১০ মিনিট আগেচলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে
২৭ মিনিট আগেপ্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
চলমান চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে