ফরিদপুরে অবৈধ উপায়ে মা মাছ নিধনের মহোৎসব

প্রতিনিধি
ফরিদপুর
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

সালথা-নগরকান্দা কুমার নদীতে বৈদ্যুতিক শক ও চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে মাছ স্বীকারে বিপাকে পড়েছেন কাজল ডাঙ্গা বিলের মৎস্যজীবীরা। বেশি মাছ পাওয়ার আশায় কতিপয় জেলে কারেন্ট জালে মাছ ধরছেন। এতে নদীতে থাকা মাছের পোনা, কীটপতঙ্গ, সাপ এবং ব্যাঙ মারা পড়ছে।

এদিকে জেলার কুমার নদ ও কাজল ডাঙ্গা বিলে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়াসহ জীব-বৈচিত্র্যের রয়েছে ঝুঁকিতে।

এ বিষয়ে মৎস্যজীবীরা বলছেন, গভীর রাতে ও দিনে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ধরা হচ্ছে মাছ। ভোরে স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি করা হচ্ছে এ সমস্ত মাছ। অপরদিকে দেশী মাছের প্রজজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য বিভাগের তৈরী অভয়াশ্রমগুলোতে চলছে অবাধে মা মাছ নিধন। ফলে নিরাপদে ডিম দিয়ে প্রজনন বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। মাছ ধরা নিষিদ্ধ এই সব অভয়াশ্রমগুলোতে অসাধু শিকারিরা নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে মাছ ধরছেন।

সালথা উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়,দেশি জাতের প্রজজন বৃদ্ধির লক্ষে ৬ টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর ৪টি সংস্কার করা হয়েছে।

মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খলিশপট্টি মৎস্য অভয়াশ্রম ১.০ হেক্টর অংশে মাছের অভয়াশ্রম তৈরি করেছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ। নির্দিষ্ট এলাকায় অসংখ্য লাল পতাকা দেওয়া হয়েছে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত নদীর এ অংশটুকু সংরক্ষিত।

দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন নৌকাযোগে অভয়াশ্রমের নির্দিষ্ট এলাকায় অবৈধ চায়না জাল ও বড়শি দিয়ে বোয়াল, রুই, চিতল, কালবাউশ, আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন।

মাঝারদিয়া বাজার হয়ে মুকসুদপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার জুড়ে বৈদ্যুতিক সক দিয়ে ধরা হচ্ছে মাছ। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে মিষ্টি পানির মাছ থাকবে না। ব্যাটারি চালিত ভ্যানের ব্যাটারি কয়েক গুণ শক্তি বৃদ্ধি করে, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বোড নিয়ে গভীর রাতে বেড়িয়ে পড়েন মাছ ধরতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উক্ত অভয়াশ্রমে নৌকায় করে কয়েকজন অভয়াশ্রমে অবৈধ চায়না জাল ও বড়শি ফেলে মাছ ধরছে। নিষিদ্ধ এলাকায় মাছ ধরার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।কাজল ডাঙ্গা বিলের মৎস্যজীবী তীর্থ বিশ্বাস,অধিকার বিশ্বাস ও কিরন বিশ্বাস বলেন গত এক বছরে কুমার নদীতে মাছ উৎপাদন ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে ।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিক শাহ্ জালাল মোল্লা বলেন, কিছু মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। তারা নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে। মৎস্য বিভাগ লাখ লাখ টাকা খরচ করে এ জনপদের মানুষের জন্য মৎস্য প্রজননের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু লোভী শিকারিরা প্রকাশ্যে কিংবা রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ছিপ ফেলে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। এদের রোধ করা যাচ্ছে না।

সালথা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো: শাহরিয়ার জামান সাবু বলেন,দুর্বৃত্তরা গভীর রাতে মাছ নিধনে নামে বলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না,বৈদ্যুতিক সক দিয়ে নিধন করা মাছ খাওয়া মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতিকারক। উল্লেখ করে বলছেন পুরো জীব ও বৈচিত্র্যে হুমকির মুখে পড়ছে, দুর্বৃত্তদের ধরতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কথা বলছেন সালথা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ মো: শাহরিয়ার জামান সাবু।

বিষয়:

ফরিদপুর
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বুদংপাড়া থেকে অপহরণের ১২ দিন পর হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্র মো. সোহেল ১৪) এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথটহল।

১৪ ঘণ্টা আগে

যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে

শহীদ আবু সাঈদ, ওয়াসিমসহ জুলাই বিপ্লবে আত্মদানকারী সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান

১৭ ঘণ্টা আগে