মানিকগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের অপসারণ দাবি

প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ
Thumbnail image
ছবি: প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সরুপাই আলহাজ আব্দুল হালিম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৩১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় সরুপাই বাজারে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সুপার ইউসুফ আলী দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর করে আসছেন। সম্প্রতি দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা ইউসুফ আলীর অপসারণ এবং আইনি ব্যবস্থার দাবি জানান।

স্থানীয় বাসিন্দা জমির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি শিক্ষকের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ কোথায় যাবে? এর বিচার চাই।’

নার্গিস বেগম নামে একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমার সন্তান ভয় পেয়ে এখন মাদ্রাসায় যেতে চায় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুপার ইউসুফ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একটু শাসন করেছি। এত ব্যাখ্যা দিতে পারব না। সরি।’

আইন কী বলে?

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতন করা শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিশু অধিকার আইন ২০১৩ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

শিশু আইন, ২০১৩–এর ৭০ ধারা অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কোনো শিশুকে শারীরিকভাবে আঘাত করলে তা শিশু নির্যাতন হিসেবে গণ্য হবে। এতে অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

এছাড়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের শারীরিক শাস্তি দেওয়া যাবে না। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০১১ সালে এক নির্দেশনায় স্কুল–কলেজে শারীরিক শাস্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে।

প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা মনে করছেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন