মানিকগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ভারতীয় নাগরিক নেসারুল

প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ
Thumbnail image
ফাইল ছবি

হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে ১৩ বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন ভারতীয় নাগরিক মো. নেসারুল।

রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাতটা ২০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাকে মুক্তি দেয় মানিকগঞ্জ জেলা কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে শনিবার (১৭ মে) বিকেল চারটার দিকে হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া খালাসের রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছায়।

কারা সূত্র জানায়, নেসারুল আগে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। পরে তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

মো. নেসারুল ভারতের বিহার রাজ্যের বেগুসরাই জেলার শাহাপুর থানার লাকসামিয়া ডাকঘরের অন্তর্গত মতিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মো. ইসামুল। বাংলাদেশে থাকাকালে তিনি ঢাকার দারুস সালাম থানার ১২৫/সি, ৩য় কলোনী, মাজার রোড এলাকার এক বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।

২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নম্বর ২০/৯/২০১১) দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত নেসারুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন (ক্রিমিনাল আপিল নম্বর ১১০৬৩/১৭, মামলা নম্বর ৫০৩/২০১২)। শুনানি শেষে উচ্চ আদালত তাঁকে খালাস দেন।

নেসারুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন বলেন, ‘আমার মক্কেল ন্যায়বিচার পেয়েছেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আজ আমরা সন্তুষ্ট।’

মুক্তির সময় কারাফটকে নেসারুলের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

জেলা নিয়ে আরও পড়ুন

আগৈলঝাড়া উপজেলায় সরকারি খাল দখল করে একটি পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাপোলো তালুকদারের বিরুদ্ধে। যদিও উপজেলা প্রশাসন এই অবৈধ দখল ও নির্মাণ কাজ বন্ধে একাধিকবার পদক্ষেপ নিয়েছে, তথাপি কার্যক্রম থামেনি এবং দখল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

১১ মিনিট আগে

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার মানুষ। মাত্র চার জন চিকিৎসক দিয়ে ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা চলছে।

১ ঘণ্টা আগে

অযত্ন অবহেলায় বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শতকরা পঞ্চাশ ভাগ রোগ নির্ণয়ের মেশিন এখন আর কাজ করছে না। এক’শ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের কিছু যন্ত্রপাতি মেরামত যোগ্য হলেও এর জন্য চিঠি চালাচালিতে পার হয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর।

২ ঘণ্টা আগে