বাগেরহাট
সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়ার চরে ভারতীয় পুলিশের চোখ বেঁধে ফেলে যাওয়া মানুষগুলোর ভয় আর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। এখনও তাদের চোখে অন্ধকার , বুকভরা আতঙ্ক ।
গত ৯ মে ভোররাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গোপনে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৮ জনকে ফেলে রেখে যায়। এঁদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিম নাগরিক। পরে ১০ মে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোনের একটি টহল দল তাঁদের উদ্ধার করে খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করে।
চরম নির্যাতন করে ভারতীয় পুলিশ যখন এসব মানুষকে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরের কাদামাটিতে ফেলে রেখেছিল তখন না ছিল খাবার, না ছিল সঙ্গীসাথীদের খোঁজ। তাঁদের কেউ গুজরাটের রাস্তার দোকানে কাজ করতেন, কেউ ছিলেন নির্মাণশ্রমিক, কেউবা বাড়ির কাজ করতেন।
এঁদের কারও হাতে এখনো ভারতের পরিচয়পত্র, কেউ কেউ দেখাচ্ছেন গুজরাটের পুরনো বাজারের ছবি।
উদ্ধার হওয়া জয়নাল মোল্লা (৪৮) বলছিলেন, “আমরা গুজরাটে থাকতাম। ভারতীয় বাঙালি মুসলিমদের পাশে। হঠাৎ ২৬ এপ্রিল রাত ২টার দিকে পুলিশ আসে। বস্তি ঘিরে ফেলে। আমাদের ধরে, মারধর করে। পরিবার একদিকে, আমরা আরেকদিকে।”
অনেকে বলছেন, তাঁদের চোখ বেঁধে সামরিক বিমানে তোলা হয়। একেকজনকে একেক শহরে নামিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর আবার জাহাজে তুলে বাংলাদেশের জলসীমায় আনা হয়। জাহাজে খাবার ছিল না, চিকিৎসা ছিল না, ছিল শুধু ভয়র। এমনকি ধর্ম নিয়েও খোঁচা দিচ্ছিল।
এখনো ৭৮ জনের কেউ জানেন না তাঁদের স্ত্রী-সন্তান কোথায়, জীবিত কি না।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক সহায়তা দেওয়ার পর গত ১১ মে তাদের সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করেন অধিকারকর্মীরা। বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ নতুন নয়। তবে এভাবে পরিবার বিচ্ছিন্ন করে, চোখ বেঁধে, অত্যাচার চালিয়ে সীমান্তের ভেতরে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ বিরল। এই মানুষগুলো এখন চায় না প্রতিশোধ, তাঁরা শুধু জানতে চায় তাদের পরিবার কোথায়?
সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়ার চরে ভারতীয় পুলিশের চোখ বেঁধে ফেলে যাওয়া মানুষগুলোর ভয় আর আতঙ্ক এখনো কাটেনি। এখনও তাদের চোখে অন্ধকার , বুকভরা আতঙ্ক ।
গত ৯ মে ভোররাতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ গোপনে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৮ জনকে ফেলে রেখে যায়। এঁদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিম নাগরিক। পরে ১০ মে কোস্টগার্ড পশ্চিমজোনের একটি টহল দল তাঁদের উদ্ধার করে খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করে।
চরম নির্যাতন করে ভারতীয় পুলিশ যখন এসব মানুষকে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরের কাদামাটিতে ফেলে রেখেছিল তখন না ছিল খাবার, না ছিল সঙ্গীসাথীদের খোঁজ। তাঁদের কেউ গুজরাটের রাস্তার দোকানে কাজ করতেন, কেউ ছিলেন নির্মাণশ্রমিক, কেউবা বাড়ির কাজ করতেন।
এঁদের কারও হাতে এখনো ভারতের পরিচয়পত্র, কেউ কেউ দেখাচ্ছেন গুজরাটের পুরনো বাজারের ছবি।
উদ্ধার হওয়া জয়নাল মোল্লা (৪৮) বলছিলেন, “আমরা গুজরাটে থাকতাম। ভারতীয় বাঙালি মুসলিমদের পাশে। হঠাৎ ২৬ এপ্রিল রাত ২টার দিকে পুলিশ আসে। বস্তি ঘিরে ফেলে। আমাদের ধরে, মারধর করে। পরিবার একদিকে, আমরা আরেকদিকে।”
অনেকে বলছেন, তাঁদের চোখ বেঁধে সামরিক বিমানে তোলা হয়। একেকজনকে একেক শহরে নামিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর আবার জাহাজে তুলে বাংলাদেশের জলসীমায় আনা হয়। জাহাজে খাবার ছিল না, চিকিৎসা ছিল না, ছিল শুধু ভয়র। এমনকি ধর্ম নিয়েও খোঁচা দিচ্ছিল।
এখনো ৭৮ জনের কেউ জানেন না তাঁদের স্ত্রী-সন্তান কোথায়, জীবিত কি না।
কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবরার হাসান জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের প্রাথমিক সহায়তা দেওয়ার পর গত ১১ মে তাদের সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করেন অধিকারকর্মীরা। বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ নতুন নয়। তবে এভাবে পরিবার বিচ্ছিন্ন করে, চোখ বেঁধে, অত্যাচার চালিয়ে সীমান্তের ভেতরে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ বিরল। এই মানুষগুলো এখন চায় না প্রতিশোধ, তাঁরা শুধু জানতে চায় তাদের পরিবার কোথায়?
খুলনায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় নারী ক্রিকেট টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেখুলনায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় নারী ক্রিকেট টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।