ফেনী
ফেনী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রাজাঝির দিঘি। প্রতিদিন বিকেল হলেই দিঘির পাড় হয়ে ওঠে নানা বয়সী মানুষের আড্ডাস্থল। কেউ হাঁটে, কেউ বসে গল্প করে, কেউ বা চা-কফির কাপে চুমুক দিয়ে সময় কাটায়। আর সেখানেই দেখা মেলে এক কিশোরের—রোদে পুড়ে, ঘামে ভেজা মুখে সে ছোটাছুটি করে বেড়ায়। হাতে চায়ের ফ্লাস্ক, কাঁধে নীল বালতি। বয়স বড়জোর ১৩ কি ১৪। নাম সোহেল । স্কুলের ডায়েরির বদলে তার প্রতিদিনের সঙ্গী কয়েক ডজন কাপে চা আর রুটি-সিঙ্গারা।
শৈশব নয়, সংগ্রামই তার পরিচয়
সোহেলের শৈশব কখনও ছিল না। জন্মের আগেই বাবাকে হারায় সে। মা একজন অসুস্থ গৃহকর্মী, যিনি কষ্টে সংসারের কিছুটা হাল ধরেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে মাঝের জন। বড় বোন ক্লাস নাইনে পড়ে, ছোট ভাই এখনো প্রাথমিক স্কুলে।
“বড় আপু আর ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা চালাতে হয়,” বলল সোহেল। “আমার নিজের আর সময় নাই। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চা বিক্রি করি। রাতে গিয়ে মাকে সাহায্য করি।"
পড়াশোনা করতে চেয়েছিল সে, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু জীবনের নির্মম বাস্তবতা তাকে ভিন্ন পথে ঠেলে দিয়েছে।
চায়ের ফ্লাস্কেই বেঁচে থাকা
প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই রাজাঝির দিঘির পাড়ে নেমে পড়ে সোহেল। ছিপছিপে শরীরে শক্ত হাতের ভর দিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে চা। ছোট ছোট কাপে করে পরিবেশন করে কাস্টমারদের। কেউ ৫ টাকা দেয়, কেউ ১০। কেউ বা খেয়েই বলে, “কালকে দিচ্ছি, মনে করিয়ে দিস।”
প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ টাকার মতো আয় হয়। এর মধ্যেই চলে সংসার, ওষুধ, বাজার আর ভাই-বোনের স্কুলের খরচ। নিজের কোনো স্বপ্নের খরচ রাখে না সোহেল।
“অনেক সময় রাতে না খেয়ে ঘুমাই। কিন্তু ছোট ভাইটা যেনো ঠিকমতো স্কুলে যায়, সেটাই চাই।”
রাজ্যের চোখের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
শিশু শ্রম আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে শ্রমে নিয়োগ দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাস্তবতায় সেটা কতটা কার্যকর? সোহেলের মতো অসংখ্য শিশু সারাদেশে প্রতিদিন নানা কাজ করে টিকে থাকার সংগ্রাম চালাচ্ছে। তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মন থেকে হারিয়ে ফেলছে স্বপ্ন দেখার সাহস।
এ বিষয়ে ফেনীর এক সমাজকর্মী জানান, “শুধু সোহেল নয়, আমাদের চারপাশে অনেক শিশু এমন অবস্থায় রয়েছে। তারা সমাজের চোখে ‘চা-ওয়ালা’, ‘ফুল-ওয়ালা’, কিন্তু ভেতরে তারা একেকজন বীর।”
মুখ থুবড়ে পড়া ভবিষ্যৎ, না সম্ভাবনার গল্প?
সোহেলের গল্প শুনে অনেকেই হয়তো চোখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু যদি একটিবার সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, হয়তো পাল্টে যেতে পারে তার ভাগ্য। কেউ যদি তার পড়ালেখার দায়িত্ব নেয়, কেউ যদি তার পরিবারকে কিছুটা সহায়তা করে, তাহলে হয়তো আবার বই হাতে ফিরতে পারবে সে।
“আমি চাই আমার ভাইটা ডাক্তার হোক। আমি যত কষ্টই করি, তবুও তার জন্য করব,” বলেই মুখে একটুখানি হাসি টানে সোহেল।
ফেনী শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রাজাঝির দিঘি। প্রতিদিন বিকেল হলেই দিঘির পাড় হয়ে ওঠে নানা বয়সী মানুষের আড্ডাস্থল। কেউ হাঁটে, কেউ বসে গল্প করে, কেউ বা চা-কফির কাপে চুমুক দিয়ে সময় কাটায়। আর সেখানেই দেখা মেলে এক কিশোরের—রোদে পুড়ে, ঘামে ভেজা মুখে সে ছোটাছুটি করে বেড়ায়। হাতে চায়ের ফ্লাস্ক, কাঁধে নীল বালতি। বয়স বড়জোর ১৩ কি ১৪। নাম সোহেল । স্কুলের ডায়েরির বদলে তার প্রতিদিনের সঙ্গী কয়েক ডজন কাপে চা আর রুটি-সিঙ্গারা।
শৈশব নয়, সংগ্রামই তার পরিচয়
সোহেলের শৈশব কখনও ছিল না। জন্মের আগেই বাবাকে হারায় সে। মা একজন অসুস্থ গৃহকর্মী, যিনি কষ্টে সংসারের কিছুটা হাল ধরেন। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে মাঝের জন। বড় বোন ক্লাস নাইনে পড়ে, ছোট ভাই এখনো প্রাথমিক স্কুলে।
“বড় আপু আর ছোট ভাইয়ের পড়ালেখা চালাতে হয়,” বলল সোহেল। “আমার নিজের আর সময় নাই। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চা বিক্রি করি। রাতে গিয়ে মাকে সাহায্য করি।"
পড়াশোনা করতে চেয়েছিল সে, ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু জীবনের নির্মম বাস্তবতা তাকে ভিন্ন পথে ঠেলে দিয়েছে।
চায়ের ফ্লাস্কেই বেঁচে থাকা
প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই রাজাঝির দিঘির পাড়ে নেমে পড়ে সোহেল। ছিপছিপে শরীরে শক্ত হাতের ভর দিয়ে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে চা। ছোট ছোট কাপে করে পরিবেশন করে কাস্টমারদের। কেউ ৫ টাকা দেয়, কেউ ১০। কেউ বা খেয়েই বলে, “কালকে দিচ্ছি, মনে করিয়ে দিস।”
প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ টাকার মতো আয় হয়। এর মধ্যেই চলে সংসার, ওষুধ, বাজার আর ভাই-বোনের স্কুলের খরচ। নিজের কোনো স্বপ্নের খরচ রাখে না সোহেল।
“অনেক সময় রাতে না খেয়ে ঘুমাই। কিন্তু ছোট ভাইটা যেনো ঠিকমতো স্কুলে যায়, সেটাই চাই।”
রাজ্যের চোখের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
শিশু শ্রম আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে শ্রমে নিয়োগ দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু বাস্তবতায় সেটা কতটা কার্যকর? সোহেলের মতো অসংখ্য শিশু সারাদেশে প্রতিদিন নানা কাজ করে টিকে থাকার সংগ্রাম চালাচ্ছে। তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মন থেকে হারিয়ে ফেলছে স্বপ্ন দেখার সাহস।
এ বিষয়ে ফেনীর এক সমাজকর্মী জানান, “শুধু সোহেল নয়, আমাদের চারপাশে অনেক শিশু এমন অবস্থায় রয়েছে। তারা সমাজের চোখে ‘চা-ওয়ালা’, ‘ফুল-ওয়ালা’, কিন্তু ভেতরে তারা একেকজন বীর।”
মুখ থুবড়ে পড়া ভবিষ্যৎ, না সম্ভাবনার গল্প?
সোহেলের গল্প শুনে অনেকেই হয়তো চোখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু যদি একটিবার সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, হয়তো পাল্টে যেতে পারে তার ভাগ্য। কেউ যদি তার পড়ালেখার দায়িত্ব নেয়, কেউ যদি তার পরিবারকে কিছুটা সহায়তা করে, তাহলে হয়তো আবার বই হাতে ফিরতে পারবে সে।
“আমি চাই আমার ভাইটা ডাক্তার হোক। আমি যত কষ্টই করি, তবুও তার জন্য করব,” বলেই মুখে একটুখানি হাসি টানে সোহেল।
জেলার ডোমারে ডাক্তারের অবহেলায় বেবী আক্তার (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। নিহত বেবি আক্তার জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগা পাড়া এলাকার নুর আলমের স্ত্রী। মায়ের মৃত্যু হলেও নবজাতক শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেখুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৫ ঘণ্টা আগেশ্যালিকাকে ধর্ষণের জন্য কৌশলে স্ত্রীকে খাওয়ানো হয় পাঁচটি ঘুমের ওষুধ। অতঃপর রাতে ঘুমের ঘোরে ১৭ বছর বয়সের শ্যালিকার মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লম্পট বোন জামাই রিপন হাওলাদার (২৫)।
১৫ ঘণ্টা আগেখাবার পরিবেশ করছেন খোদ জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। তার সাথে যোগ দিয়েছেন তার সহধর্মিনী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা। অসহায় দরিদ্র, এতিম ও ছিন্নমূল মানুষেরা এক এক করে খাবার নিয়ে সাজানো টেবিলে বসে তৃপ্তিসহকারে খাচ্ছেন ।
১৫ ঘণ্টা আগেজেলার ডোমারে ডাক্তারের অবহেলায় বেবী আক্তার (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। নিহত বেবি আক্তার জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা দরগা পাড়া এলাকার নুর আলমের স্ত্রী। মায়ের মৃত্যু হলেও নবজাতক শিশুটি সুস্থ রয়েছে।
খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের দায়ের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শ্যালিকাকে ধর্ষণের জন্য কৌশলে স্ত্রীকে খাওয়ানো হয় পাঁচটি ঘুমের ওষুধ। অতঃপর রাতে ঘুমের ঘোরে ১৭ বছর বয়সের শ্যালিকার মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় লম্পট বোন জামাই রিপন হাওলাদার (২৫)।
খাবার পরিবেশ করছেন খোদ জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। তার সাথে যোগ দিয়েছেন তার সহধর্মিনী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেনসহ প্রশাসনের একদল কর্মকর্তা। অসহায় দরিদ্র, এতিম ও ছিন্নমূল মানুষেরা এক এক করে খাবার নিয়ে সাজানো টেবিলে বসে তৃপ্তিসহকারে খাচ্ছেন ।