ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজের একদিন পর মারিয়া (১১) ও সামিয়া (৯) নামে দুই বোনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে তিতাস নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত দুই কিশোর গোকর্ণ গ্রামের মিনার আলীর সন্তান।
এর আগে শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আকাশিয়া মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে মারিয়া ও সামিয়া আকাশিয়া মাঠে গরু আনতে যায়। ফেরার পথে খালের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় হঠাৎ তীব্র স্রোতে তারা ভেসে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়।
শনিবার সকাল ৬টার দিকে গোকর্ণ বেরিবাঁধ এলাকায় তিতাস নদীতে মারিয়ার লাশ ভেসে ওঠে। কিছুক্ষণ পর সামিয়ার লাশ একটি মাছ ধরার জালে আটকে থাকতে দেখা যায়।
নিহতদের চাচা দুলাল আহমেদ বলেন, সারারাত খুঁজেছি, কেউ ঘুমায়নি। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সবাই চেষ্টা করেছে। সকালে নদীতে ভেসে ওঠে মারিয়ার লাশ, সামিয়ার লাশ জালে আটকে ছিল।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সবশেষ হয়ে গেল, আমাদের কলিজার টুকরোগুলো আর রইল না।
স্থানীয় কৃষক জাহিদ মিয়া বলেন, সন্ধ্যার আগে শুনি তারা খালের পাশে ছিল। হঠাৎ পানির চাপ বাড়ায় হয়তো স্রোতে ভেসে গেছে। স্রোত এতটাই তীব্র ছিল যে কিছু করার সুযোগ পাইনি। মিনার আলী কিছুদিন হলো বিদেশে গেছেন। তার চার সন্তানের মধ্যে এ দুজনই বড় ছিল।
গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, এটা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। বর্ষাকালে নদী বা খালের আশপাশে চলাচলে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, খবর পেয়ে আমি এসিল্যান্ডসহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। অনেক চেষ্টা করেও তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় মাইকিং করে নিখোঁজ সংবাদ জানানো হয়। সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা পরিবারটির পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমি থেকে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজের একদিন পর মারিয়া (১১) ও সামিয়া (৯) নামে দুই বোনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে তিতাস নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃত দুই কিশোর গোকর্ণ গ্রামের মিনার আলীর সন্তান।
এর আগে শুক্রবার বিকালে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের আকাশিয়া মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি মো. খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে মারিয়া ও সামিয়া আকাশিয়া মাঠে গরু আনতে যায়। ফেরার পথে খালের পাশ দিয়ে হেঁটে আসার সময় হঠাৎ তীব্র স্রোতে তারা ভেসে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়।
শনিবার সকাল ৬টার দিকে গোকর্ণ বেরিবাঁধ এলাকায় তিতাস নদীতে মারিয়ার লাশ ভেসে ওঠে। কিছুক্ষণ পর সামিয়ার লাশ একটি মাছ ধরার জালে আটকে থাকতে দেখা যায়।
নিহতদের চাচা দুলাল আহমেদ বলেন, সারারাত খুঁজেছি, কেউ ঘুমায়নি। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সবাই চেষ্টা করেছে। সকালে নদীতে ভেসে ওঠে মারিয়ার লাশ, সামিয়ার লাশ জালে আটকে ছিল।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, সবশেষ হয়ে গেল, আমাদের কলিজার টুকরোগুলো আর রইল না।
স্থানীয় কৃষক জাহিদ মিয়া বলেন, সন্ধ্যার আগে শুনি তারা খালের পাশে ছিল। হঠাৎ পানির চাপ বাড়ায় হয়তো স্রোতে ভেসে গেছে। স্রোত এতটাই তীব্র ছিল যে কিছু করার সুযোগ পাইনি। মিনার আলী কিছুদিন হলো বিদেশে গেছেন। তার চার সন্তানের মধ্যে এ দুজনই বড় ছিল।
গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, এটা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। বর্ষাকালে নদী বা খালের আশপাশে চলাচলে সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন বলেন, খবর পেয়ে আমি এসিল্যান্ডসহ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। অনেক চেষ্টা করেও তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় মাইকিং করে নিখোঁজ সংবাদ জানানো হয়। সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমরা পরিবারটির পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।