বাংলাদেশের সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা অনুযায়ী, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন এবং মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে প্রতিবছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের মৎস্য আহরণ বা শিকার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়, যাতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিন জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ জানিয়েছেন, ১৯ এপ্রিল শনিবার দুপুর ৩টা থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কোস্ট গার্ড একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানটি ছিল ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়ার খালের মাথায় তেতুঁলিয়া নদীতে, যেখানে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করার জন্য ৯টি আর্টিসানাল ট্রলিং বোট ব্যবহার করা হচ্ছিল।

অভিযানের সময়, ৯টি ট্রলিং বোটের বৈধ কাগজপত্র এবং লাইফ সেভিং ইকুইপমেন্ট না থাকার কারণে সেগুলো জব্দ করা হয়। এসব ট্রলিং বোটের মধ্যে রয়েছে: এফবি মায়ের আর্শিবাদ-২, এফবি মায়ের আর্শিবাদ-৩, এফবি মা বাবার দোয়া, এফবি ভাই ভাই, এফবি নবীপুর, এফবি নবীপুর-২, এফবি নবীপুর-৩, এফবি শীতারাম, এবং এফবি শীতারাম-১।

জব্দকৃত বোটগুলো মৎস্য বিভাগ, ভোলার কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং এর বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের এই ধরনের অভিযান দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল দিয়ে উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করছে এবং সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এরকম অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

এটি মৎস্য সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং বাংলাদেশের সামুদ্রিক পরিবেশের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।