বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি
বেলাব উপজেলার (মরজাল-পোড়াদিয়া) আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে অবৈধ যান নছিমন, বালুবাহী ট্রাক ও ভটভটি। বেশ কয়েকবার বন্ধ করার পদক্ষেপ নিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। নিষেধাজ্ঞার পরও প্রশাসনের নাকের ডগায় বেশ দাপটের সঙ্গেই চলছে এসব নিষিদ্ধ যান। অজানা কারণে বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ যানবাহন। এতে সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিহত ও আহতের সংখ্যা। এ ছাড়া রাস্তায় অবৈধ যান চলাচলে হুমকিতে পড়েছে গ্রামীণ জীবন। জমি চাষ করার জন্য এসব ট্রাক্টর কিনলেও কিছু অসাধু মুনাফা ভোগী ব্যবসায়ী বা ইটভাটা মালিক গাড়ী বানিয়ে মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করছে।এক দিকে যেমন ফসলি জমি হারাচ্ছে উর্বরতা অপর দিকে টপসয়েল কমে যাওয়ার কারনে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। এ সব গাড়ির চাকার ঘর্ষনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের উন্নয়নের মেগা প্রকল্প রাস্তাঘাট। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ সব গাড়ির রোড পার্মিট না থাকলে ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে বৈধ ভাবে।
গত ২৯ নভেম্বর দুপরে উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর চাঁন মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় ইছারমাতার চাপায় বেলাব উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ মারা যান।
২০ ডিসেম্বর উপজেলার বাজনাবতে টমটমের সাথে দুর্ঘটনায় আহনাফ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার আব্দুল হালিম (৪২)মারা যান।
এছাড়া সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারী উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের লোহাজুড়ি চকে অবৈধ যান( ইছারমাতার) নিচে পড়ে
বেলায়েত হোসেন নামে এক কারারক্ষীসহ গত বছর প্রায় ২০ জন অবৈধ গাড়ির চাপায় প্রাণ হারায়।
এসব গাড়ির চালকের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সড়কের যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যায়। হঠাৎ করেই ইউটার্ন নিয়ে বসে। এসব কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয়। যার কারনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সড়ক
দুর্ঘটনাও। প্রতিদিনই ঝরছে তাজা প্রাণ। অনেকেই দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। ঘন ঘন দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির জন্য এ ধরনের যান বহুলাংশে দায়ী। ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্মাণ করেছে মরজাল হতে পোড়াদিয়া রাস্তাটি। অবৈধ এ সব যানবাহনের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট আর চাকার ঘর্ষণে অধিকাংশই রাস্তাই ভেঙে গিয়েছে। বেলাব গাংকুল পাড় ইটাখলা সংলগ্ন, বাঘবের নতুন বাজার পর রাস্তা ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সরকারের শতকোটি টাকা ভেস্তে যাচ্ছে।
বেলাব উপজেলার বাসিন্দার মোঃ মকবুল হাসান বলেন, অদক্ষ চালক আর অবৈধ গাড়ির কারনে বেলাব বাজারের সিএনজি স্টেশন থেকে উপজেলা পরিষদ যেতে ২ মিনিটের রাস্তা অথচ ৩০-৪০ সময় লাগে শুধু মাটিবাহী ও বালুবাহী ইছারমাতার জ্যামের কারণে। গুলিস্তানের
চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা এখানকার প্রতিদিনের চিত্র। তাই আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বেলাব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা অবৈধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম বলেন,বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব নিষিদ্ধ যান আটক এবং জরিমানা করা হয়ে থাকে। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাণঘাতী ইছামাতা,নছিমন,ভটভটি'সহ অবৈধ যানবাহন স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা করা উচিত।
বেলাব উপজেলার (মরজাল-পোড়াদিয়া) আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে অবৈধ যান নছিমন, বালুবাহী ট্রাক ও ভটভটি। বেশ কয়েকবার বন্ধ করার পদক্ষেপ নিলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। নিষেধাজ্ঞার পরও প্রশাসনের নাকের ডগায় বেশ দাপটের সঙ্গেই চলছে এসব নিষিদ্ধ যান। অজানা কারণে বন্ধ হচ্ছে না এসব অবৈধ যানবাহন। এতে সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিহত ও আহতের সংখ্যা। এ ছাড়া রাস্তায় অবৈধ যান চলাচলে হুমকিতে পড়েছে গ্রামীণ জীবন। জমি চাষ করার জন্য এসব ট্রাক্টর কিনলেও কিছু অসাধু মুনাফা ভোগী ব্যবসায়ী বা ইটভাটা মালিক গাড়ী বানিয়ে মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করছে।এক দিকে যেমন ফসলি জমি হারাচ্ছে উর্বরতা অপর দিকে টপসয়েল কমে যাওয়ার কারনে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন। এ সব গাড়ির চাকার ঘর্ষনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের উন্নয়নের মেগা প্রকল্প রাস্তাঘাট। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ সব গাড়ির রোড পার্মিট না থাকলে ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে বৈধ ভাবে।
গত ২৯ নভেম্বর দুপরে উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর চাঁন মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় ইছারমাতার চাপায় বেলাব উপজেলার উপ-সহকারি প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ মারা যান।
২০ ডিসেম্বর উপজেলার বাজনাবতে টমটমের সাথে দুর্ঘটনায় আহনাফ রেস্টুরেন্ট ম্যানেজার আব্দুল হালিম (৪২)মারা যান।
এছাড়া সর্বশেষ ৩১ জানুয়ারী উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের লোহাজুড়ি চকে অবৈধ যান( ইছারমাতার) নিচে পড়ে
বেলায়েত হোসেন নামে এক কারারক্ষীসহ গত বছর প্রায় ২০ জন অবৈধ গাড়ির চাপায় প্রাণ হারায়।
এসব গাড়ির চালকের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সড়কের যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যায়। হঠাৎ করেই ইউটার্ন নিয়ে বসে। এসব কারণে দুর্ঘটনা বেশি হয়। যার কারনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে সড়ক
দুর্ঘটনাও। প্রতিদিনই ঝরছে তাজা প্রাণ। অনেকেই দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। ঘন ঘন দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির জন্য এ ধরনের যান বহুলাংশে দায়ী। ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নির্মাণ করেছে মরজাল হতে পোড়াদিয়া রাস্তাটি। অবৈধ এ সব যানবাহনের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট আর চাকার ঘর্ষণে অধিকাংশই রাস্তাই ভেঙে গিয়েছে। বেলাব গাংকুল পাড় ইটাখলা সংলগ্ন, বাঘবের নতুন বাজার পর রাস্তা ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সরকারের শতকোটি টাকা ভেস্তে যাচ্ছে।
বেলাব উপজেলার বাসিন্দার মোঃ মকবুল হাসান বলেন, অদক্ষ চালক আর অবৈধ গাড়ির কারনে বেলাব বাজারের সিএনজি স্টেশন থেকে উপজেলা পরিষদ যেতে ২ মিনিটের রাস্তা অথচ ৩০-৪০ সময় লাগে শুধু মাটিবাহী ও বালুবাহী ইছারমাতার জ্যামের কারণে। গুলিস্তানের
চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা এখানকার প্রতিদিনের চিত্র। তাই আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে বেলাব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা অবৈধ যানবাহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম বলেন,বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব নিষিদ্ধ যান আটক এবং জরিমানা করা হয়ে থাকে। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাণঘাতী ইছামাতা,নছিমন,ভটভটি'সহ অবৈধ যানবাহন স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা করা উচিত।