কিশোরগঞ্জে হঠাৎ করেই আওয়ামী লীগের ব্যানারে একটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রোববার বেলা ২টা ৪৩ মিনিটে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এই মিছিলের একটি ভিডিও শেয়ার করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন তরুণ মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাতে ব্যানার নিয়ে মিছিল করছে। ব্যানারে লেখা ছিল- ‘আইসিটি ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক ও বেআইনি কার্যক্রমের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি’।

অনুমান করা হচ্ছে, রোববার ভোর বা সকালবেলায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কে এই মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে মুখ ঢেকে থাকায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এ নিয়ে কিশোরগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ বলছে, এটি ক্ষমতাচ্যুত দলের শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা, আবার কেউ বলছেন- এটি নতুন করে রাজপথে সক্রিয় হবার ইঙ্গিত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ শাখার অন্যতম সমন্বয়ক ও গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অভি চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ভূমিকা রেখেছে। এখন যদি তারা আবার রাজপথে নামে, আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা করতে চায়, আমরা তা প্রতিহত করব। আমরা এখনো মাঠে আছি।

অন্যদিকে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল বলেন, ইউনূস সরকারের ব্যর্থতার কারণে আওয়ামী লীগ ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। এখন সরকারের উচিত এই ধরনের গোপন মিছিলকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া। না হলে জনগণ আবার জেগে উঠবে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, শুনেছি একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। গোয়েন্দা বিভাগ কাজ শুরু করেছে। অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্বরোড ছাড়াও কটিয়াদীর বনগ্রাম এলাকাতেও একই ধরনের আরেকটি মিছিলের খবর আমরা পেয়েছি।”

পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, হঠাৎ করেই এই ধরনের গোপন মিছিলকে কেন্দ্র করে গোটা জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের মিছিল ভবিষ্যতে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।