শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতদল ডাকাতির চেষ্টা করলে প্রতিরোধের মুখে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে অন্তত চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিলে প্রাণ যায় দুই ডাকাতের।

মাদারীপুরের রাজারচরে ডাকাতির চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পালানোর সময় তারা শরীয়তপুরে ধরা পড়ে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কীর্তিনাশা নদীর ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধাওয়া করে এলাকাবাসী। এ সময় কীর্তিনাশা নদীতে স্পিডবোট নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতদল। শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় এলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করে।

এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি ও হাতবোমা ছোড়ে ডাকাতরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন চারজন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।

ডাকাতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে মসজিদে মসজিদে করা হয় মাইকিং। মুহূর্তেই শত শত মানুষ ঘিরে ফেলে ডাকাতদের। পরে ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে সোপর্দ করা হয় পুলিশের কাছে। পরে হাসপাতালে নিলে তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।