রাজশাহীতে অথর্বদের দাপটে যোগ্যরা কোনঠাসা!
রাজশাহী
রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘খুনি’ বলা আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকরা এখনো গণমাধ্যমে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। মামলা দায়ের হলেও জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরছেন তারা। উল্টো ভোল পাল্টে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’ ধারণকারীও বনে গেছেন কেউ কেউ! এছাড়া অথর্ব ও অযোগ্যদের কব্জায় রয়েছে বেশকিছু মিডিয়া। দলীয় বিবেচনায় আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর ২৭ আগস্ট রাজশাহীর ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের হওয়া ওই মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের রফিকুল ইসলাম, জিটিভির রাশেদ রিপন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার রোজিনা সুলতানা রোজি ও দৈনিক উপচারের আসগর আলী সাগর।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে সংবাদ কাভারের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত মিডিয়া কার্ড ইস্যু করা হয়। সে সময় অনেক সাংবাদিক সে কার্ড স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে। কিন্তু রফিকুল, রাশেদ রিপন, রোজি ও সাগরসহ কয়েকজন সাংবাদিক কার্ড গ্রহণ না করে মহাসমাবেশের আগের দিন ২ ডিসেম্বর বজলুল হক মন্টুর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মন্টু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আসামিরা হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর, অপমানজনক ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মানহানিকর মন্তব্য করে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করে। মানহানিকর ওই সংবাদটি মহাসমাবেশের দিন অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হয়।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রফিকুলের পিতা পেশায় সাইকেল মিস্ত্রী ছিলেন। সাংবাদিকতা শুরু করে জেলার দুর্গাপুর থেকে শহরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে চাঁদাবাজিসহ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন রফিকুল। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ‘পোষা সাংবাদিক’ ছিলেন তিনি। এ দুজনের নির্দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার না নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য লিখে নিউজ করেছেন একাধিকবার। তবে এখন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন রফিকুল।
ওই মামলা আরেক আসামি আসগর আলী সাগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসদের ‘ডানহাত’ ছিলেন তিনি। আসাদের সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেন সাগর। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তিনিও নগরীতে প্রকাশ্যে ঘুরছেন। একমাত্র নারী আসামি রোজিনা সুলতানা রোজি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকের ‘অলিখিত স্ত্রী’ ছিলেন। ঢাকা থেকে এনামুল রাজশাহী আসলে তার সাথে বিশেষ সময় কাটাতেন রোজি। এছাড়া জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মামুনের প্রেমিকা হিসেবেও মিডিয়া মহলে তার পরিচিতি ছিল। মামুনের সাথেও অসংখ্য ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন রোজি।
সূত্র বলছে, রাজশাহীতে ভারতের র-এর এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকরা এখনো নিজ নিজ জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন। যমুনা টিভির শিবলী নোমার র-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন বলে বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থার প্রতিবেদন দেওয়া আছে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির কাজী শাহেদও র-এর এজেন্ট মর্মে লিখিত রিপোর্ট রয়েছে সরকারের কাছে। আর সমকাল ও ডিবিসি নিউজের ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি। এছাড়া দৈনিক আজকের পত্রিকার রিমন রহমানকে হেরোইনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছিল বিজিবি। হেরোইনের হটস্পট গোদাগাড়ীতে তার বাসা। সেই মামলা চলমান ছিল। তবে হাসিনার পতনের পর তার মাদকের মামলাটিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় খালাসের চেষ্টা করা হয় এবং তালিকা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এছাড়া একুশে টিভি, বিডি নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কম ও যায়যায়দিন পত্রিকার রিপোর্টার বদরুল হাসান লিটন আওয়ামী লীগের ‘খাস রিপোর্টার’ হিসেবে পরিচিত। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টুর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিটন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হাসিনার আমলে প্রভাব খাটিয়ে পোর্টালটির নিবন্ধন নিয়ে নেয়া হয়। সেই বদরুল হাসান লিটন এখনো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাইক্রোফোন ধরতেই জানেন না বলে অভিযোগ আছে! এছাড়া লাইভে বা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে থরথর করে তিনি কাঁপেন, বলতে পারেন না কথা! তবু তিনি বহাল রয়েছেন প্রভাব খাটিয়ে! এছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোরে মতিউর মর্তুজা শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতেই পারেন না! জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৌরভ হাবিব মর্তুজাকে নিউজ টোয়েন্টিফোরে চাকরি নিয়ে দেন। অভিযুক্ত এসব সাংবাদিকরা সবাই স্ব স্ব গণমাধ্যমে কর্মরত রয়েছেন এবং রাজশাহীতে বুক ফুলিয়ে চলছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের আগের কয়েকদিন ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য রাজশাহীর আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকদের কাড়ি কাড়ি টাকা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নগর ভবনে ডেকে এসব টাকা দেন। হাসিনার পতন হলে সেই লিটন বর্তমানে পরিবারসহ ভারতে পালিয়ে আছেন। সম্প্রতি রাজশাহীর কয়েকজন সাংবাদিক ভারতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করে এসেছেন। আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ শুরু করতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।
এসব ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষুব্ধ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ও সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগ্য ও বঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু রাজশাহীতে গণমাধ্যম স্বৈরাচার ও ভারতের কব্জামুক্ত হয়নি। সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে, ওই কমিশনের প্রধান রাজশাহীতেও এসেছিলেন। তবু এখনো কীভাবে আওয়ামী লীগ ও ভারতের র-এর এজেন্টরা গণমাধ্যমে থাকে, আমার প্রশ্ন।
আরএমপির বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, জামিনের বিষয় আমার জানা নেই। কাগজপত্র দেখতে হবে। আর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোসতাক হোসেন বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘খুনি’ বলা আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকরা এখনো গণমাধ্যমে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। মামলা দায়ের হলেও জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরছেন তারা। উল্টো ভোল পাল্টে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা’ ধারণকারীও বনে গেছেন কেউ কেউ! এছাড়া অথর্ব ও অযোগ্যদের কব্জায় রয়েছে বেশকিছু মিডিয়া। দলীয় বিবেচনায় আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার পতনের পর ২৭ আগস্ট রাজশাহীর ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুল হক মন্টু বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়ের হওয়া ওই মামলায় আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় আসামিরা হলেন- দৈনিক কালের কণ্ঠের রফিকুল ইসলাম, জিটিভির রাশেদ রিপন, দৈনিক করতোয়া পত্রিকার রোজিনা সুলতানা রোজি ও দৈনিক উপচারের আসগর আলী সাগর।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ‘২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে মহাসমাবেশ আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে সংবাদ কাভারের জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত মিডিয়া কার্ড ইস্যু করা হয়। সে সময় অনেক সাংবাদিক সে কার্ড স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করে। কিন্তু রফিকুল, রাশেদ রিপন, রোজি ও সাগরসহ কয়েকজন সাংবাদিক কার্ড গ্রহণ না করে মহাসমাবেশের আগের দিন ২ ডিসেম্বর বজলুল হক মন্টুর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মন্টু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আসামিরা হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর, অপমানজনক ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাদেরকে খুনি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ বিভিন্ন মানহানিকর মন্তব্য করে নিজেদের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করে। মানহানিকর ওই সংবাদটি মহাসমাবেশের দিন অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হয়।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রফিকুলের পিতা পেশায় সাইকেল মিস্ত্রী ছিলেন। সাংবাদিকতা শুরু করে জেলার দুর্গাপুর থেকে শহরে এসে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে চাঁদাবাজিসহ অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন রফিকুল। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ‘পোষা সাংবাদিক’ ছিলেন তিনি। এ দুজনের নির্দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তথ্যসন্ত্রাস চালিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকার না নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য লিখে নিউজ করেছেন একাধিকবার। তবে এখন কালের কণ্ঠ পত্রিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন রফিকুল।
ওই মামলা আরেক আসামি আসগর আলী সাগর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসদের ‘ডানহাত’ ছিলেন তিনি। আসাদের সব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেন সাগর। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে তিনিও নগরীতে প্রকাশ্যে ঘুরছেন। একমাত্র নারী আসামি রোজিনা সুলতানা রোজি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকের ‘অলিখিত স্ত্রী’ ছিলেন। ঢাকা থেকে এনামুল রাজশাহী আসলে তার সাথে বিশেষ সময় কাটাতেন রোজি। এছাড়া জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মামুনের প্রেমিকা হিসেবেও মিডিয়া মহলে তার পরিচিতি ছিল। মামুনের সাথেও অসংখ্য ঘনিষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন রোজি।
সূত্র বলছে, রাজশাহীতে ভারতের র-এর এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকরা এখনো নিজ নিজ জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন। যমুনা টিভির শিবলী নোমার র-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন বলে বাংলাদেশ সরকারের একটি সংস্থার প্রতিবেদন দেওয়া আছে। এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিদিন ও দেশ টিভির কাজী শাহেদও র-এর এজেন্ট মর্মে লিখিত রিপোর্ট রয়েছে সরকারের কাছে। আর সমকাল ও ডিবিসি নিউজের ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি। এছাড়া দৈনিক আজকের পত্রিকার রিমন রহমানকে হেরোইনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছিল বিজিবি। হেরোইনের হটস্পট গোদাগাড়ীতে তার বাসা। সেই মামলা চলমান ছিল। তবে হাসিনার পতনের পর তার মাদকের মামলাটিকে রাজনৈতিক বিবেচনায় খালাসের চেষ্টা করা হয় এবং তালিকা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এছাড়া একুশে টিভি, বিডি নিউজ টোয়েন্টি ফোর ডট কম ও যায়যায়দিন পত্রিকার রিপোর্টার বদরুল হাসান লিটন আওয়ামী লীগের ‘খাস রিপোর্টার’ হিসেবে পরিচিত। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টুর একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে লিটন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হাসিনার আমলে প্রভাব খাটিয়ে পোর্টালটির নিবন্ধন নিয়ে নেয়া হয়। সেই বদরুল হাসান লিটন এখনো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাইক্রোফোন ধরতেই জানেন না বলে অভিযোগ আছে! এছাড়া লাইভে বা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে থরথর করে তিনি কাঁপেন, বলতে পারেন না কথা! তবু তিনি বহাল রয়েছেন প্রভাব খাটিয়ে! এছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোরে মতিউর মর্তুজা শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতেই পারেন না! জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৌরভ হাবিব মর্তুজাকে নিউজ টোয়েন্টিফোরে চাকরি নিয়ে দেন। অভিযুক্ত এসব সাংবাদিকরা সবাই স্ব স্ব গণমাধ্যমে কর্মরত রয়েছেন এবং রাজশাহীতে বুক ফুলিয়ে চলছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের আগের কয়েকদিন ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য রাজশাহীর আওয়ামী লীগের দোসর সাংবাদিকদের কাড়ি কাড়ি টাকা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নগর ভবনে ডেকে এসব টাকা দেন। হাসিনার পতন হলে সেই লিটন বর্তমানে পরিবারসহ ভারতে পালিয়ে আছেন। সম্প্রতি রাজশাহীর কয়েকজন সাংবাদিক ভারতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করে এসেছেন। আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ শুরু করতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।
এসব ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা চরম ক্ষুব্ধ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ও সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে যোগ্য ও বঞ্চিতদের মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু বলেন, দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু রাজশাহীতে গণমাধ্যম স্বৈরাচার ও ভারতের কব্জামুক্ত হয়নি। সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে, ওই কমিশনের প্রধান রাজশাহীতেও এসেছিলেন। তবু এখনো কীভাবে আওয়ামী লীগ ও ভারতের র-এর এজেন্টরা গণমাধ্যমে থাকে, আমার প্রশ্ন।
আরএমপির বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, জামিনের বিষয় আমার জানা নেই। কাগজপত্র দেখতে হবে। আর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোসতাক হোসেন বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতারকৃত জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আমীর হামজাকে (৭৯) কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
১১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও সদর উপজেলায় পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর, চুচুলী পটেশ্বরী ও সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকিপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
১২ ঘণ্টা আগেজামালপুর একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। তবে মাঝে মধ্যে জেলায় মাজার ভাঙার সুর এসেছে এবং এখনো আসতেছে। আমরা সজাগ আছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারাও সজাগ থাকবেন। । এখানে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা উসকানি দিয়ে থাকেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা সবসময় জামালপুরকে অশান্ত রাখতে চায়
১৫ ঘণ্টা আগেরেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি
১৫ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতারকৃত জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি আমীর হামজাকে (৭৯) কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও সদর উপজেলায় পুকুর ও ডোবার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের আরাজী মন্ডলহাট বলরামপুর, চুচুলী পটেশ্বরী ও সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ফুঁটকিপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
জামালপুর একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। তবে মাঝে মধ্যে জেলায় মাজার ভাঙার সুর এসেছে এবং এখনো আসতেছে। আমরা সজাগ আছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলবো আপনারাও সজাগ থাকবেন। । এখানে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা উসকানি দিয়ে থাকেন ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য। তারা সবসময় জামালপুরকে অশান্ত রাখতে চায়
রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি