সাতক্ষীরা
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। চিকিৎসা নিতে এসে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
রোগীদের অভিযোগ,চিকিৎসকরা রোগীদের জন্য যে ঔষধ লিখলে তা মিলছে না হাসপাতালে।
প্রথমে সাপ্লাই নেই বলে রোগীকে ওষুধ না দিয়ে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
রোগীদের এমন নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
এসময় তারা সরকারি ওষুধ বিক্রি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রোগীকে দেয়ার অভিযোগে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডবয় হরষিত কে জিজ্ঞাসাবাধ করেন।
ওয়ার্ডবয় হরষিত এর কাছ থেকে সরকারি ওষুধ কিনে বিপাকে পড়া সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ঈদের পরদিন আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করেছি।
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ওয়ার্ডবয়রা বলেছে-- এই ওষুধ বর্তমানে সাপ্লাই নেই, আপনি বাইরে থেকে নিয়ে আসেন। আমি প্রথম থেকেই সব ঔষধ বাইরে থেকে নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, হঠাৎ এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ওয়ার্ড বয় আমাকে বলল চাচা এই ওষুধটা বাইরে থেকে কত টাকা করে কিনছেন? আমি বললাম ৮৫০ টাকা। সে বলল আমার কাছে ওষুধ আছে, প্রতি পিস ৫০০ টাকা করে দিলে এই ওষুধ পাবেন। আমি তার কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছি। ওষুধগুলো সরকারি।
মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, চারটা ওষুধ আমার স্ত্রীর শরীরে পুশ করলে সে জ্বালা যন্ত্রণার অনুভব করে। এক পর্যায়ে জ্বর আসে। এক সময় আমার এক আত্মীয় ওষুধগুলো দেখে আমাকে জানায় ওষুধগুলো তো মেয়াদোত্তীর্ণ ।
সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ওষুধ বিক্রির কথা স্বীকার করে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড বয় হরষিত বলেন, আমি ছয়-সাত মাস আগে হাসপাতালে ডাস্টবিন থেকে কয়েকটি ওষুধ কুড়িয়ে পাই। সুযোগ বুঝে এখন ওষুধগুলো বিক্রি করেছি।
এদিকে, হরষিত এর কাছ থেকে ক্রয় করা ছয়টি ওষুধের অবশিষ্ট দুইটি ওষুধে দেখা গেছে ওষুধ দুটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
অপরদিকে, হাসপাতালের সরকারি ওষুধ ডাস্টবিন থেকে পাওয়ার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য আলিনুর খান বাবলু বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সাথে মিটিং করেছি।
হাসপাতালে ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি না করা, গাড়ির গ্যারেজে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। ওষুধ থাকবে হাসপাতালে স্টোরে। যেখান থেকে সুষ্ঠু ভাবে রোগীর হাতে পৌঁছাবে। সেই ওষুধ কীভাবে ওডার্ডবয় এর মাধ্যমে বিক্রি হলো এটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
শুধু ওষুধ বিক্রি নয় হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান ধরনের অভিযোগ।
তালা উপজেলার জাতপুর এলাকা থেকে আসা রবিউল ইসলাম জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। আমরা পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু এখানে এসে পড়তে হয় বিপাকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার প্রেশার মাপা সহ কোন কিছু পরীক্ষা করতে বললেই দিতে হয় কাড়িকাড়ি টাকা।
আরেক রোগীর স্বজন সাইফুল ইসলাম, আমার আম্মাকে দেখানোর জন্য প্রথমে এসে জরুরি বিভাগে কথা বললে তারা তিন তলার মেডিসিন বিভাগে যেতে বলে। এসময় আমরা হাসপাতালে হুইলচেয়ার ও লিফট ব্যবহার করে তিন তলায় আসি। হুইল চেয়ার ব্যবহার করে আমার আম্মাকে তিনতলায় আসামাত্রই হুইল চেয়ার বাবদ একজন ওয়ার্ড বয় আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এরপর প্রেশার আর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার সময় আবার টাকা নেয়।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে প্রেশার মেপে ডাক্তারের কাছে গেলে, ডাক্তার পুনরায় প্রেসার মেপে তার কাছে যেতে বলে। এ সময় আমি এসে ওয়ার্ডবর কে বলি আমার আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডাক্তার স্যার বলেছেন আবার প্রেসার মেপে যেতে। সে বলল আমি এখন পারব না আধা ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে আমার সাথে দেখা কর। আমি বললাম আমার আম্মুর অবস্থা খুব খারাপ আপনি এখন একটু আসেন। তখন সে আমাকে বলে আপনার আম্মু মারা যাক তাতে আমার কোন যায় আসে না।
আব্দুল গফুর নামে একজন বলেন, টাকা ছাড়া এখানে কোন কাজই হয় না। রোগীর যদি কোন পরীক্ষা করতেই হয় টাকা দিতে হয়। এরপর হুইল চেয়ারে যদি টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ১০০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা নিয়েই সব কাজ করে তাহলে এটি সরকারি হাসপাতাল হল কেমনে প্রশ্ন এই রোগীর সাধনের?
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা: কুদরত ই-খোদা বলেন, সরকারি ওষুধ বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনারা রোগীর লোককে একটু বলেন আমার কাছে একটা অভিযোগ দিতে। তাহলে আমি যে এই কাজ করেছে তাকে আউট করে দেবো।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। চিকিৎসা নিতে এসে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের।
রোগীদের অভিযোগ,চিকিৎসকরা রোগীদের জন্য যে ঔষধ লিখলে তা মিলছে না হাসপাতালে।
প্রথমে সাপ্লাই নেই বলে রোগীকে ওষুধ না দিয়ে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
রোগীদের এমন নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
এসময় তারা সরকারি ওষুধ বিক্রি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রোগীকে দেয়ার অভিযোগে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডবয় হরষিত কে জিজ্ঞাসাবাধ করেন।
ওয়ার্ডবয় হরষিত এর কাছ থেকে সরকারি ওষুধ কিনে বিপাকে পড়া সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ঈদের পরদিন আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ভর্তি করেছি।
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ওয়ার্ডবয়রা বলেছে-- এই ওষুধ বর্তমানে সাপ্লাই নেই, আপনি বাইরে থেকে নিয়ে আসেন। আমি প্রথম থেকেই সব ঔষধ বাইরে থেকে নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, হঠাৎ এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ওয়ার্ড বয় আমাকে বলল চাচা এই ওষুধটা বাইরে থেকে কত টাকা করে কিনছেন? আমি বললাম ৮৫০ টাকা। সে বলল আমার কাছে ওষুধ আছে, প্রতি পিস ৫০০ টাকা করে দিলে এই ওষুধ পাবেন। আমি তার কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছি। ওষুধগুলো সরকারি।
মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, চারটা ওষুধ আমার স্ত্রীর শরীরে পুশ করলে সে জ্বালা যন্ত্রণার অনুভব করে। এক পর্যায়ে জ্বর আসে। এক সময় আমার এক আত্মীয় ওষুধগুলো দেখে আমাকে জানায় ওষুধগুলো তো মেয়াদোত্তীর্ণ ।
সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ওষুধ বিক্রির কথা স্বীকার করে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড বয় হরষিত বলেন, আমি ছয়-সাত মাস আগে হাসপাতালে ডাস্টবিন থেকে কয়েকটি ওষুধ কুড়িয়ে পাই। সুযোগ বুঝে এখন ওষুধগুলো বিক্রি করেছি।
এদিকে, হরষিত এর কাছ থেকে ক্রয় করা ছয়টি ওষুধের অবশিষ্ট দুইটি ওষুধে দেখা গেছে ওষুধ দুটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
অপরদিকে, হাসপাতালের সরকারি ওষুধ ডাস্টবিন থেকে পাওয়ার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য আলিনুর খান বাবলু বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সাথে মিটিং করেছি।
হাসপাতালে ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি না করা, গাড়ির গ্যারেজে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। ওষুধ থাকবে হাসপাতালে স্টোরে। যেখান থেকে সুষ্ঠু ভাবে রোগীর হাতে পৌঁছাবে। সেই ওষুধ কীভাবে ওডার্ডবয় এর মাধ্যমে বিক্রি হলো এটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
শুধু ওষুধ বিক্রি নয় হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান ধরনের অভিযোগ।
তালা উপজেলার জাতপুর এলাকা থেকে আসা রবিউল ইসলাম জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। আমরা পরিবারে কেউ অসুস্থ হলে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু এখানে এসে পড়তে হয় বিপাকে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার প্রেশার মাপা সহ কোন কিছু পরীক্ষা করতে বললেই দিতে হয় কাড়িকাড়ি টাকা।
আরেক রোগীর স্বজন সাইফুল ইসলাম, আমার আম্মাকে দেখানোর জন্য প্রথমে এসে জরুরি বিভাগে কথা বললে তারা তিন তলার মেডিসিন বিভাগে যেতে বলে। এসময় আমরা হাসপাতালে হুইলচেয়ার ও লিফট ব্যবহার করে তিন তলায় আসি। হুইল চেয়ার ব্যবহার করে আমার আম্মাকে তিনতলায় আসামাত্রই হুইল চেয়ার বাবদ একজন ওয়ার্ড বয় আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এরপর প্রেশার আর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার সময় আবার টাকা নেয়।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুরে প্রেশার মেপে ডাক্তারের কাছে গেলে, ডাক্তার পুনরায় প্রেসার মেপে তার কাছে যেতে বলে। এ সময় আমি এসে ওয়ার্ডবর কে বলি আমার আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডাক্তার স্যার বলেছেন আবার প্রেসার মেপে যেতে। সে বলল আমি এখন পারব না আধা ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে আমার সাথে দেখা কর। আমি বললাম আমার আম্মুর অবস্থা খুব খারাপ আপনি এখন একটু আসেন। তখন সে আমাকে বলে আপনার আম্মু মারা যাক তাতে আমার কোন যায় আসে না।
আব্দুল গফুর নামে একজন বলেন, টাকা ছাড়া এখানে কোন কাজই হয় না। রোগীর যদি কোন পরীক্ষা করতেই হয় টাকা দিতে হয়। এরপর হুইল চেয়ারে যদি টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ১০০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা নিয়েই সব কাজ করে তাহলে এটি সরকারি হাসপাতাল হল কেমনে প্রশ্ন এই রোগীর সাধনের?
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা: কুদরত ই-খোদা বলেন, সরকারি ওষুধ বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনারা রোগীর লোককে একটু বলেন আমার কাছে একটা অভিযোগ দিতে। তাহলে আমি যে এই কাজ করেছে তাকে আউট করে দেবো।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদার দাবিতে এক ইটভাটা মালিককে ছুরিকাঘাত করে নয় লাখ টাকা ও সাত ভরি সোনার গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদার দাবিতে এক ইটভাটা মালিককে ছুরিকাঘাত করে নয় লাখ টাকা ও সাত ভরি সোনার গয়না ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঘটেছে।