ভোলা

প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয় ভোলা মুক্ত দিবস। সেদিনের মতো আজও লাল–সবুজের পতাকা হাতে রাস্তায় নামে ভোলার মানুষ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভোলার বীরত্ব
মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধে ভোলায় পাকবাহিনী ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর তারা কার্গো লঞ্চে চড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাদের প্রস্থান মুহূর্তেই মুক্ত হয় পুরো ভোলা।
ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, দেউলা ও চরফ্যাশনসহ প্রায় পুরো জেলাজুড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত হয় সম্মুখযুদ্ধ। এসব যুদ্ধে অসংখ্য পাক সেনা নিহত হয় এবং শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে হত্যা করে তাদের লাশ ফেলা হতো তেঁতুলিয়া নদীতে। তখন মেঘনা–তেঁতুলিয়া নদীর পানি রক্তে লাল হয়ে উঠত।

ভয়াবহ নির্যাতনের সাক্ষ্য ভোলা
হানাদার বাহিনী নারী–নির্যাতনকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ওয়াপদা ক্যাম্পে আটকে রেখে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর হত্যা করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের পর ভোলার ওয়াপদা এলাকা থেকে ৩০ জন বীরাঙ্গনাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
পাক সেনারা শহরের যুগীরঘোল ওয়াপদা ভবনকে ক্যাম্পে রূপান্তর করে নৃত্যকল্লোল শুরু করে, যা আজ বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাবাজার, দেউলা ও গুপ্ত বাজারেও সংঘটিত হয়েছে ভয়াবহ যুদ্ধ, যেখানে বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
সংরক্ষণের দাবি
যদিও পাউবো বধ্যভূমি ও বাংলাবাজারের রণাঙ্গন সংরক্ষণ করা হয়েছে, তবু জেলার অধিকাংশ বধ্যভূমি ও যুদ্ধস্থল এখনো অবহেলিত। মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা দ্রুত এসব স্থানের সংরক্ষণ দাবি জানিয়েছেন।

পালানোর পথে পাকবাহিনীর পরিণতি
ভোলা থেকে কার্গো লঞ্চে পালিয়ে যাওয়া পাক সেনাদের নৌযান চাঁদপুরের মেঘনায় মিত্রবাহিনীর বোমা হামলায় ডুবে যায়, নিহত হয় অধিকাংশ সেনা।
মুক্ত দিবস পালন
১০ ডিসেম্বর ভোলা জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালনের আয়োজন করেছে।
এই দিনটি শুধু একটি জেলার মুক্ত হওয়ার ইতিহাস নয়—এটি ভোলার মানুষের অদম্য সাহস, ত্যাগ আর স্বাধীনতার প্রতি অটল বিশ্বাসের প্রতীক।

প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর নানা আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপিত হয় ভোলা মুক্ত দিবস। সেদিনের মতো আজও লাল–সবুজের পতাকা হাতে রাস্তায় নামে ভোলার মানুষ।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ভোলার বীরত্ব
মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধে ভোলায় পাকবাহিনী ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর তারা কার্গো লঞ্চে চড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তাদের প্রস্থান মুহূর্তেই মুক্ত হয় পুরো ভোলা।
ঘুইংঘারহাট, দৌলতখান, বাংলাবাজার, দেউলা ও চরফ্যাশনসহ প্রায় পুরো জেলাজুড়ে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত হয় সম্মুখযুদ্ধ। এসব যুদ্ধে অসংখ্য পাক সেনা নিহত হয় এবং শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
ভোলার খেয়াঘাট এলাকায় বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে হত্যা করে তাদের লাশ ফেলা হতো তেঁতুলিয়া নদীতে। তখন মেঘনা–তেঁতুলিয়া নদীর পানি রক্তে লাল হয়ে উঠত।

ভয়াবহ নির্যাতনের সাক্ষ্য ভোলা
হানাদার বাহিনী নারী–নির্যাতনকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ওয়াপদা ক্যাম্পে আটকে রেখে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর হত্যা করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের পর ভোলার ওয়াপদা এলাকা থেকে ৩০ জন বীরাঙ্গনাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
পাক সেনারা শহরের যুগীরঘোল ওয়াপদা ভবনকে ক্যাম্পে রূপান্তর করে নৃত্যকল্লোল শুরু করে, যা আজ বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাবাজার, দেউলা ও গুপ্ত বাজারেও সংঘটিত হয়েছে ভয়াবহ যুদ্ধ, যেখানে বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
সংরক্ষণের দাবি
যদিও পাউবো বধ্যভূমি ও বাংলাবাজারের রণাঙ্গন সংরক্ষণ করা হয়েছে, তবু জেলার অধিকাংশ বধ্যভূমি ও যুদ্ধস্থল এখনো অবহেলিত। মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা দ্রুত এসব স্থানের সংরক্ষণ দাবি জানিয়েছেন।

পালানোর পথে পাকবাহিনীর পরিণতি
ভোলা থেকে কার্গো লঞ্চে পালিয়ে যাওয়া পাক সেনাদের নৌযান চাঁদপুরের মেঘনায় মিত্রবাহিনীর বোমা হামলায় ডুবে যায়, নিহত হয় অধিকাংশ সেনা।
মুক্ত দিবস পালন
১০ ডিসেম্বর ভোলা জেলা প্রশাসন বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালনের আয়োজন করেছে।
এই দিনটি শুধু একটি জেলার মুক্ত হওয়ার ইতিহাস নয়—এটি ভোলার মানুষের অদম্য সাহস, ত্যাগ আর স্বাধীনতার প্রতি অটল বিশ্বাসের প্রতীক।

খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম স্মারকগ্রন্থ ‘উজ্জীবন’ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ। তিনি প্রকাশনাটি প্
১ দিন আগে
মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৯ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শাহপরীর দ্বীপের নিকটস্থ নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারের পর ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
১ দিন আগে
রাজশাহীতে ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত লং মার্চ ও ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের কঠোর ব্যারিকেডের কারণে সফল হয়নি। ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’ আহ্বানিত এই কর্মসূচি ভদ্রা মোড় থেকে শুরু হলেও হাই কমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগে পুলিশ বাধা দিয়ে মিছিল আটকে দেয়।
১ দিন আগে
নীলফামারীতে অনুমতি ছাড়া মাটি ব্যবহার ও পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
১ দিন আগেখাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম স্মারকগ্রন্থ ‘উজ্জীবন’ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ। তিনি প্রকাশনাটি প্
মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৯ বাংলাদেশি জেলে অপহরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শাহপরীর দ্বীপের নিকটস্থ নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ শিকারের পর ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে।
রাজশাহীতে ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত লং মার্চ ও ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশের কঠোর ব্যারিকেডের কারণে সফল হয়নি। ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’ আহ্বানিত এই কর্মসূচি ভদ্রা মোড় থেকে শুরু হলেও হাই কমিশন কার্যালয়ের প্রায় ১০০ মিটার আগে পুলিশ বাধা দিয়ে মিছিল আটকে দেয়।
নীলফামারীতে অনুমতি ছাড়া মাটি ব্যবহার ও পরিবেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।