উত্তরের জনপদ নীলফামারীর সৈয়দপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের কারণে কাবু হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা। এখনো বিতরণ শুরু হয়নি সরকারি-বেসরকারিভাবে কম্বল বিতরণ। ফলে নিম্নআয়ের মানুষেরা ফুটপাথে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন।

সৈয়দপুর রেললাইনের দুপাশে প্রায় এক মাইল জুড়ে পুরনো গরম কাপড়ের দোকান গড়ে উঠেছে। এখানে কেনাবেচা চলছে, তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কারণ, দোকানগুলি রেললাইনের কাছাকাছি স্থানে হওয়ায়, প্রতিদিন ১২টিরও বেশি ট্রেন চলাচল করে এই পথে। একটু অসতর্ক হলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

প্রতিবছর শীত আসলেই খেটে খাওয়া মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পুরনো শীতবস্ত্রের বাজারে চলে আসেন। এবারও তাদের জমজমাট বাজারে ঢল নেমেছে। ক্রেতারা সাধারণত কম দামে শীতবস্ত্র কেনার আশায় এখানে আসেন, তবে এ বছর দাম কিছুটা বেশি। গত বছরের তুলনায় শীতের কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি এখানে কম দামে কাপড় কেনার জন্য এসেছেন, তবে এ বছর দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, "বাচ্চাদের জন্য ১২০ টাকায় চারটি শীতের কাপড় কিনেছি।" অপর ক্রেতা শিউলি খাতুন জানান, তিনি সাধারণত কম দামে ভালো মানের কাপড় পেতে এখানে আসেন, কিন্তু এবার প্রতি শীতবস্ত্রের দাম ৩০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কিছু ব্যবসায়ী জানান, এই এলাকায় ব্যবসা করতে হলে চাঁদা দিতে হয়। রেলওয়ে পুলিশ, পৌরসভা এবং স্থানীয় নেতারা এই চাঁদা তোলেন, এমন অভিযোগ করেছেন তারা।