সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বি.এন.এ) জেলা শাখা নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত বা অন্য কোনো অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা বন্ধে প্রতিবাদসূচক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালেই খুলনা রোড মোড়, আসিফ চত্বরে দুই ঘন্টাব্যাপী কালো ব্যাজ ধারণ করে কর্মসূচি পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে ধারাবাহিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এর আগে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও অফিস প্রাঙ্গণে কালো ব্যাজ ধারণ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী প্রতীকী শাটডাউন, এবং ২ ডিসেম্বর থেকে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের সকল স্বাস্থ্যসেবা ও নার্সিং- মিডওয়াইফারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ শাটডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

নার্সদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

• স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সংরক্ষণ এবং জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন।
• অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ ও ক্যারিয়ার পাথ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন।
• উচ্চতর পদ (৯ম থেকে ৪র্থ গ্রেড) পর্যন্ত পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
• নার্সিং সুপারভাইজার ও নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদ দ্রুত ৯ম গ্রেডে উন্নীত করা।
• ডিপ্লোমা নার্স-মিডওয়াইফদের সনদ স্নাতক সমমানের করা ও সকল গ্র্যাজুয়েট নার্স-মিডওয়াইফদের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালু।
• বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট নিয়োগবিধি ও মানসম্মত বেতন কাঠামো প্রণয়ন।
• অপ্রশিক্ষিত ও নিবন্ধনবিহীন ভুয়া নার্স–মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা।
• ঝুঁকি ভাতা প্রদান এবং ইউনিফর্ম পরিবর্তন।
• শয্যা, রোগী ও চিকিৎসক সংখ্যার অনুপাতে পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ নিশ্চিত।

বক্তারা বলেন, নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর নার্সদের দীর্ঘদিনের অর্জন এবং পেশাগত মর্যাদার প্রতীক। এটি বিলুপ্ত বা অন্য অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা নার্সিং পেশাকে অবমূল্যায়ন করবে। তারা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।