নীলফামারী
দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে চিনি মসজিদের। মসজিদ নির্মাণের শুরুটা ছিল ইট ও সুরকি দিয়ে করা। নির্মাণ শৈলী সমৃদ্ধ করতে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর মসজিদে লাগানো হয়। আর পাথরের সঙ্গে যুক্ত হয় ২৫ টনের মতো চীনামাটির টুকরা। দেওয়ালের ওপর চিনামাটির থালার ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসিয়ে কারু কাজ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা বলে সমাধিক পরিচিত। তখন থেকেই মসজিদটির নাম হয়েছে চিনি মসজিদ। ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি এ অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। চিনি মসজিদ শুধু ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপাসনালয় নয়, এটি অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতীকও বটে।
নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। বাংলাদেশের প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে এই শহরটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রসিদ্ধ। এখানে রয়েছে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের গড়ে তোলা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। এই শহরের প্রাচীন সৌন্দর্যের স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে অনেক। এর মধ্যে চিনি মসজিদ অন্যতম। যা অনেকের কাছে চীনা মসজিদ নামে বেশি পরিচিত। সৈয়দপুর রেলস্টেশন- সৈয়দপুর ওয়াপদা সড়ক সংলগ্ন এর অবস্থান। পাশেই রয়েছে খ্রিষ্টানদের কবরস্থান। জায়গাটির নাম ইসলামবাগ। এখানে কবরস্থানটির ঠিক পাশে ইতিহাসের গল্পের মতো দাঁড়িয়ে আছে চিনি মসজিদ। চিনি মসজিদটির ইমাম ও খতিব মাওলানা সাঈদ রেজা।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মুঘল শাসক ও অন্যান্য মুসলিম নবাবদের হাতে নির্মিত অনেক মসজিদ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এটিই একমাত্র মসজিদ যা এলাকাবাসী ও সর্বসাধারণের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। মসজিদের নিজস্ব সম্পত্তি বলতে আছে ১২টি দোকান। এসব দোকানের ভাড়া ও মুসল্লিদের অর্থসহায়তায় দিয়ে মসজিদের সব ব্যয় ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।
মসজিদ সুদীর্ঘ ইতিহাস বলছে ১৮৬৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামের দুজন ধর্মপ্রাণ বাসিন্দা সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথমে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় তা টিনের ঘরে রূপান্তরিত হয়। ১৯২০ সালে হাজী হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়। পরে এলাকার লোকেরা মসজিদটি নির্মাণের লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠনে উদ্যোগী হয়। স্থানীয়রা তাদের মাসিক আয়ের একটি অংশ দান করে মসজিদ নির্মাণের জন্য একটি তহবিল গঠন করেন। এরপর শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ।
লোকমুখে শোনা যায়, শঙ্কু নামের জনৈক হিন্দু রাজমিস্ত্রী দৈনিক ১০ আনা মজুরিতে মসজিদের নির্মাণ কাজ নতুনভাবে শুরু করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাকে সাহায্য করতে থাকে। মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে মসজিদের দেয়ালে চিনামাটির থালার ভগ্নাংশ ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা। এখান থেকেই মসজিদের নাম হয়- চিনি মসজিদ বা চীনা মসজিদ। ১৯৬৫ সালে বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি চিনি মসজিদের জন্য প্রায় ২৫ টনের মতো চীনামাটির পাথর দান করেছিল। এ ছাড়া সে সময় কলকাতা থেকেও ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর এনে লাগানো হয় এই মসজিদে। ঐতিহাসিক এই মসজিদের নকশা করেন মোঃ মোখতুল ও নবী বক্স। মসজিদের অনন্য কারুকার্যে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়। মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, একটি বৃত্তে একটি ফুল, চাঁদতারাসহ নানা চিত্র রয়েছে। এ মসজিদ তৈরিতে প্রচুর মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। চিনি মসজিদের সৌন্দর্য দেশ- বিদেশের প্রচুর পর্যটককে আকর্ষণ করে বলেই তারা ছুটে আসেন। নিজ চোখে না দেখলে চিনি মসজিদের সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যাবে না।
এই মসজিদের পিছনে রয়েছে খ্রিস্টানদের প্রাচীন একটি কবরস্থান। মসজিদে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর রয়েছে। রয়েছে ছোট ছোট ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ। মসজিদে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক নামাজ আদায় করতে পারেন।
এই মসজিদে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব রঙিন চকচকে পাথরে মোড়ানো। আর বারান্দা বাঁধানো সাদা মোজাইকে। মসজিদের দোতলায় একটি ভবনসহ একটি মেহমানখানা আছে। সেখানে পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে চিনি মসজিদের। মসজিদ নির্মাণের শুরুটা ছিল ইট ও সুরকি দিয়ে করা। নির্মাণ শৈলী সমৃদ্ধ করতে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর মসজিদে লাগানো হয়। আর পাথরের সঙ্গে যুক্ত হয় ২৫ টনের মতো চীনামাটির টুকরা। দেওয়ালের ওপর চিনামাটির থালার ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসিয়ে কারু কাজ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা বলে সমাধিক পরিচিত। তখন থেকেই মসজিদটির নাম হয়েছে চিনি মসজিদ। ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি এ অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। চিনি মসজিদ শুধু ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপাসনালয় নয়, এটি অতীত ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতীকও বটে।
নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর। বাংলাদেশের প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে এই শহরটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রসিদ্ধ। এখানে রয়েছে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের গড়ে তোলা সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা। এই শহরের প্রাচীন সৌন্দর্যের স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে অনেক। এর মধ্যে চিনি মসজিদ অন্যতম। যা অনেকের কাছে চীনা মসজিদ নামে বেশি পরিচিত। সৈয়দপুর রেলস্টেশন- সৈয়দপুর ওয়াপদা সড়ক সংলগ্ন এর অবস্থান। পাশেই রয়েছে খ্রিষ্টানদের কবরস্থান। জায়গাটির নাম ইসলামবাগ। এখানে কবরস্থানটির ঠিক পাশে ইতিহাসের গল্পের মতো দাঁড়িয়ে আছে চিনি মসজিদ। চিনি মসজিদটির ইমাম ও খতিব মাওলানা সাঈদ রেজা।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মুঘল শাসক ও অন্যান্য মুসলিম নবাবদের হাতে নির্মিত অনেক মসজিদ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এটিই একমাত্র মসজিদ যা এলাকাবাসী ও সর্বসাধারণের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। মসজিদের নিজস্ব সম্পত্তি বলতে আছে ১২টি দোকান। এসব দোকানের ভাড়া ও মুসল্লিদের অর্থসহায়তায় দিয়ে মসজিদের সব ব্যয় ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।
মসজিদ সুদীর্ঘ ইতিহাস বলছে ১৮৬৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামের দুজন ধর্মপ্রাণ বাসিন্দা সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে প্রথমে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় তা টিনের ঘরে রূপান্তরিত হয়। ১৯২০ সালে হাজী হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়। পরে এলাকার লোকেরা মসজিদটি নির্মাণের লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠনে উদ্যোগী হয়। স্থানীয়রা তাদের মাসিক আয়ের একটি অংশ দান করে মসজিদ নির্মাণের জন্য একটি তহবিল গঠন করেন। এরপর শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ।
লোকমুখে শোনা যায়, শঙ্কু নামের জনৈক হিন্দু রাজমিস্ত্রী দৈনিক ১০ আনা মজুরিতে মসজিদের নির্মাণ কাজ নতুনভাবে শুরু করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাকে সাহায্য করতে থাকে। মসজিদের সৌন্দর্য বাড়াতে মসজিদের দেয়ালে চিনামাটির থালার ভগ্নাংশ ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় চিনি করা বা চিনি দানার কাজ করা। এখান থেকেই মসজিদের নাম হয়- চিনি মসজিদ বা চীনা মসজিদ। ১৯৬৫ সালে বগুড়ার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরি চিনি মসজিদের জন্য প্রায় ২৫ টনের মতো চীনামাটির পাথর দান করেছিল। এ ছাড়া সে সময় কলকাতা থেকেও ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর এনে লাগানো হয় এই মসজিদে। ঐতিহাসিক এই মসজিদের নকশা করেন মোঃ মোখতুল ও নবী বক্স। মসজিদের অনন্য কারুকার্যে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়। মসজিদের দেয়ালে অঙ্কিত ফুলদানি, ফুলের ঝাড়, গোলাপ ফুল, একটি বৃত্তে একটি ফুল, চাঁদতারাসহ নানা চিত্র রয়েছে। এ মসজিদ তৈরিতে প্রচুর মার্বেল পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। চিনি মসজিদের সৌন্দর্য দেশ- বিদেশের প্রচুর পর্যটককে আকর্ষণ করে বলেই তারা ছুটে আসেন। নিজ চোখে না দেখলে চিনি মসজিদের সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যাবে না।
এই মসজিদের পিছনে রয়েছে খ্রিস্টানদের প্রাচীন একটি কবরস্থান। মসজিদে ২৪৩টি শংকর মর্মর পাথর রয়েছে। রয়েছে ছোট ছোট ৩২টি মিনারসহ ৩টি বড় গম্বুজ। মসজিদে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক নামাজ আদায় করতে পারেন।
এই মসজিদে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি ফটক। মসজিদের গোটা অবয়ব রঙিন চকচকে পাথরে মোড়ানো। আর বারান্দা বাঁধানো সাদা মোজাইকে। মসজিদের দোতলায় একটি ভবনসহ একটি মেহমানখানা আছে। সেখানে পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।
রাজশাহীতে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে শুরু হয়েছে “স্থানীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপ”। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তির আলোকে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে জামালপুরে হয়ে গেলো ৫ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা।
১৯ ঘণ্টা আগেগোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় বিসিজি স্টেশন কৈখালী কর্তৃক সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানাধীন মামুনদে নদীর পায়রাটনি খালে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা
১ দিন আগেঋণী জর্জরিত নারী ও ব্যাংক কেলেংঙ্কারির এই মহানায়ক হঠাৎ করে অতি গোপনে যে চুক্তি করেছে তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা হলো।
১ দিন আগেরাজশাহীতে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে শুরু হয়েছে “স্থানীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপ”। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার সমঝোতা চুক্তির আলোকে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বরণে জামালপুরে হয়ে গেলো ৫ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় বিসিজি স্টেশন কৈখালী কর্তৃক সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানাধীন মামুনদে নদীর পায়রাটনি খালে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা
ঋণী জর্জরিত নারী ও ব্যাংক কেলেংঙ্কারির এই মহানায়ক হঠাৎ করে অতি গোপনে যে চুক্তি করেছে তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা হলো।