সাংবাদিকতার আড়ালে রাজশাহীতে চলছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ চাঁদাবাজি শুরু হলেও এখন চলছে সমানতালে।

রাজশাহীর চাঁদাবাজ এই সাংবাদিকের নাম জিয়াউল গনি সেলিম। রাজশাহীর প্রধান হিসেবে কাজ করেন একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। এর আগে অনিয়মের কারণে আরেকটি টেলিভিশন থেকে চাকুরি হারান। টেলিভিশনের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায়ও কাজ করেন।

সম্প্রতি তার চাঁদাবাজির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়েছে।মুখ খুলতে শুরু করেছে তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ভুক্তভোগীরা।

সেলিমের চাঁদাবাজি নিয়ে তার সাবেক ক্যামেরাম্যান আবু সাইদ বলেন,সেলিম এমন একজন সাংবাদিক সারাক্ষণ সে নানা অনিয়ম করে বেড়ায়। চাঁদাবাজি ছাড়াও রয়েছে তার নারী কেলেঙ্কারির মত জঘন্য ঘটনা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকের স্ত্রীকে প্রায়ই তার সাহেব বাজারের জিরো পয়েন্টের অফিসে দেখা যেত।

এদিকে বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার নির্বাচিত সভাপতি জাহিদ হাসান নিখাদ খবরকে বলেন, তার নানা অপকর্মে আমরা লজ্জিত। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন এলঅকা থেকে তার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ আসছে। আওয়ামী লীগের আমলে মেয়র এ এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে তার নিদারুণ সখ্যতা ছিল। এ কারণে কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। অনৈতিক ভাবে উপার্জিত চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে প্রায়ই সে দেশবিদেশে মাস্তি করে বেড়ান।

এস এ পরিবহনের রাজশাহীর সাবেক ম্যানেজার লিটন কুমার সুত্রধর সেলিমের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, সেলিমের অপকর্মের বিষয়ে অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।

রাজশাহী গণপূর্তের সার্কেল ০-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম নিখাদ খবরকে বলেন, সম্প্রতি সেলিম তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে উল্টাপাল্টা নিউজ করার হুমকি দেয়। পরে তাকে এক লাখ টাকা দেয়ার পরও আরো টাকার জন্য চাপ দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম ঝুলুকে জানানো হয়।

ছবিতে নারী ও মদ দুটোই আছে

এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সাংবাদিক সেলিমকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।