রংপুর ব্যুরো
জনগণের ভোগান্তি দূর করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিক্ষোভ মিছিলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় চরম দুর্ভোগে পরে নগরবাসী।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর শাপলা চত্বর হতে শুরু হয়ে জাহাজকোম্পানী মোড় ও পায়রা চত্বর হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রসিকের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মোখলেছার রহমান তরু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফজলুল হক, দোকান মালিক সমিতি রংপুরের নেতা জাবেদ হোসেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম। সঞ্চালনা করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু।
এসময় বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে একমাত্র রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়েছে কারচুপিমুক্ত এবং নির্ভেজাল। সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগসহ অন্যান্য প্রার্থীদের লক্ষাধিক ভোট ব্যবধানে পরাজিত করে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জয়ী হন এবং মেয়র হিসেবে শপথ নেন।
৫ আগস্ট পরবর্তীতে ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রশাসকগণ নিজ দায়িত্বে ব্যস্ত থাকায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। নগরবাসী কোনো ধরনে সেবা পাচ্ছেন না।
তাছাড়া একই দেশে দুই ধরনের আইনের শাসন চলছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একজন মেয়র ৫ আগস্ট পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন চালাচ্ছেন অন্যদিকে কোন প্রকার সমালোচনা, কারচুপি ছাড়াই লক্ষাধিক ভোট ব্যবধানে জয়ী হয়েও মোস্তফাকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অথচ জুলাই আন্দোলনে দেশের একমাত্র নির্বাচিত মেয়র, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাই ছাত্রদের সাথে আন্দোলনে ছিলেন। সবধরণের সহযোগিতা করেছেন তিনি সেই সময়। তারপরও তাকে অপসারণ করা হয়। তাই আর কালেক্ষপন নয়, জনগণের ভোগান্তি দূর করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লাকেরও বেশি ভোটে জয়ী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহাল করতে হবে। মেয়র মোস্তফাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূণবহাল না করলে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজধানী থেকে উত্তরাঞ্চলকে আলাদা করে দেওয়া হবে। এই উত্তরাঞ্চল থেকে কোন সবজি, খাবারসহ কোনো পণ্য ঢাকায় সরবরাহ করা হবে না।
এদিকে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কাচারী বাজার, সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজকোম্পানী মোড়, শাপলা চত্বরসহ প্রায় ২ কিলোমিটার প্রধান সড়কের একদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে নগরীর অলিগলি দিয়ে শত শত যানবাহন ঢুকে পরে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।এসময় চরম দুর্ভোগে পরে নগরবাসী।
অন্যদিকে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহালের দাবির সাথে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও মহিলা কাউন্সিলরদেরও পূণবহালের দাবি জানানো হয় এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে। বিক্ষোভ মিছিলে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গসংগঠনসহ কাউন্সিলরদের সমর্থকগোষ্ঠি অংশ নেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীকে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭শ' ৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান হাতপাখা প্রতীকে ৪৯ হাজার ৮শ' ৯২ ভোট পান। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান হাতি প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮শ' ৮৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা মার্কায় পেয়েছেন ২২ হাজার ৩শ' ৬ ভোট পান।
জনগণের ভোগান্তি দূর করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিক্ষোভ মিছিলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় চরম দুর্ভোগে পরে নগরবাসী।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর শাপলা চত্বর হতে শুরু হয়ে জাহাজকোম্পানী মোড় ও পায়রা চত্বর হয়ে নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রসিকের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর মোখলেছার রহমান তরু, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফজলুল হক, দোকান মালিক সমিতি রংপুরের নেতা জাবেদ হোসেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম। সঞ্চালনা করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু।
এসময় বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে একমাত্র রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়েছে কারচুপিমুক্ত এবং নির্ভেজাল। সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগসহ অন্যান্য প্রার্থীদের লক্ষাধিক ভোট ব্যবধানে পরাজিত করে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জয়ী হন এবং মেয়র হিসেবে শপথ নেন।
৫ আগস্ট পরবর্তীতে ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। অপসারণের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রশাসকগণ নিজ দায়িত্বে ব্যস্ত থাকায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নগরবাসী। নগরবাসী কোনো ধরনে সেবা পাচ্ছেন না।
তাছাড়া একই দেশে দুই ধরনের আইনের শাসন চলছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একজন মেয়র ৫ আগস্ট পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশন চালাচ্ছেন অন্যদিকে কোন প্রকার সমালোচনা, কারচুপি ছাড়াই লক্ষাধিক ভোট ব্যবধানে জয়ী হয়েও মোস্তফাকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অথচ জুলাই আন্দোলনে দেশের একমাত্র নির্বাচিত মেয়র, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাই ছাত্রদের সাথে আন্দোলনে ছিলেন। সবধরণের সহযোগিতা করেছেন তিনি সেই সময়। তারপরও তাকে অপসারণ করা হয়। তাই আর কালেক্ষপন নয়, জনগণের ভোগান্তি দূর করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লাকেরও বেশি ভোটে জয়ী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহাল করতে হবে। মেয়র মোস্তফাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূণবহাল না করলে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজধানী থেকে উত্তরাঞ্চলকে আলাদা করে দেওয়া হবে। এই উত্তরাঞ্চল থেকে কোন সবজি, খাবারসহ কোনো পণ্য ঢাকায় সরবরাহ করা হবে না।
এদিকে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কাচারী বাজার, সিটি বাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজকোম্পানী মোড়, শাপলা চত্বরসহ প্রায় ২ কিলোমিটার প্রধান সড়কের একদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে নগরীর অলিগলি দিয়ে শত শত যানবাহন ঢুকে পরে এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।এসময় চরম দুর্ভোগে পরে নগরবাসী।
অন্যদিকে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মেয়র হিসেবে পূণবহালের দাবির সাথে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও মহিলা কাউন্সিলরদেরও পূণবহালের দাবি জানানো হয় এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে। বিক্ষোভ মিছিলে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি এবং অঙ্গসংগঠনসহ কাউন্সিলরদের সমর্থকগোষ্ঠি অংশ নেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল প্রতীকে এক লাখ ৪৬ হাজার ৭শ' ৯৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান হাতপাখা প্রতীকে ৪৯ হাজার ৮শ' ৯২ ভোট পান। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান হাতি প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮শ' ৮৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া নৌকা মার্কায় পেয়েছেন ২২ হাজার ৩শ' ৬ ভোট পান।