সাতক্ষীরা
আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষ্যে গুমের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সাতক্ষীরা শাখার আয়োজনে শহরের খুলনা রোড মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট শেখ আলমগীর আশরাফের সভাপতিত্বে ও অধিকার সাতক্ষীরা সদস্য সাংবাদিক ফিরোজ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গুমের শিকার ডাঃ মুখলেসুর রহমান, যুবদল নেতা আবু সেলিমের ভাই আলীপুর ইউনিয়ন বিএনপিনেতা রেজাউল ইসলাম, সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর আলী, অধিকার সাতক্ষীরার সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ঢালী, শ্রমিকদলনেতা রেজাউল ইসলাম রেজা, সাংবাদিক আবু বক্কর, সাংবাদিক শাহজাহান আলী মিটন প্রমুখ।
বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালের ২৯ মে যুবদলনেতা মো. আবু সেলিমকে ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম করে। আজও তার কোন সন্ধান পায়নি পরিবার। মানববন্ধনে অধিকার সাতক্ষীরার হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার এড. শেখ আলমগীর আশরাফ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গুমের শিকার যে সব ব্যাক্তি ফেরত আসেননি তাঁদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জনগণকে জানানো দাবি করেন এবং যে সমস্ত গুমের শিকার ব্যক্তি এখনও ফিরে আসে নাই, তাঁদের স্ত্রী-সন্তানরা যাতে গুম হওয়া ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বেচা এবং ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। গুমের পর কিছু ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তাঁদের পাওয়া গেছে। তাই ভারতে আরো গুমের শিকার ব্যক্তি আছেন কি-না সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ের যোগাযোগ স্থাপন করে তা জানানোর দাবি জানান তিনি।
যে সমস্ত ব্যক্তি গুমের পর ফেরত এসেছেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি কাউকে কাউকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে এবং কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। গুমের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করাসহ ৫ দফা দাবি পেশ করেন।
গুমের স্বীকার মোখলেছুর রহমানের পিতা শেখ আব্দুর রাশেদ বলেন, শেখ হাসিনা খুনি সরকার ছিল। এই খুনি পুলিশ বাহিনী ২০১৬ সালে ৪ আগস্ট আমার সন্তানকে থানার হাজত খানায় রাখে। পরে তৎকালীন ওসি এমদাদ'র গুম করে । বর্তমান সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার ছেলেকে খুঁজে বের করে দেওয়া হোক ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধি অংশ নেয়।
আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ উপলক্ষ্যে গুমের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সাতক্ষীরা শাখার আয়োজনে শহরের খুলনা রোড মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট শেখ আলমগীর আশরাফের সভাপতিত্বে ও অধিকার সাতক্ষীরা সদস্য সাংবাদিক ফিরোজ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গুমের শিকার ডাঃ মুখলেসুর রহমান, যুবদল নেতা আবু সেলিমের ভাই আলীপুর ইউনিয়ন বিএনপিনেতা রেজাউল ইসলাম, সাতক্ষীরা জজকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর আলী, অধিকার সাতক্ষীরার সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ঢালী, শ্রমিকদলনেতা রেজাউল ইসলাম রেজা, সাংবাদিক আবু বক্কর, সাংবাদিক শাহজাহান আলী মিটন প্রমুখ।
বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, ২০১১ সালের ২৯ মে যুবদলনেতা মো. আবু সেলিমকে ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুম করে। আজও তার কোন সন্ধান পায়নি পরিবার। মানববন্ধনে অধিকার সাতক্ষীরার হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার এড. শেখ আলমগীর আশরাফ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গুমের শিকার যে সব ব্যাক্তি ফেরত আসেননি তাঁদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা জনগণকে জানানো দাবি করেন এবং যে সমস্ত গুমের শিকার ব্যক্তি এখনও ফিরে আসে নাই, তাঁদের স্ত্রী-সন্তানরা যাতে গুম হওয়া ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব পরিচালনা এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বেচা এবং ভোগ করতে পারে সে ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। গুমের পর কিছু ব্যক্তিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে তাঁদের পাওয়া গেছে। তাই ভারতে আরো গুমের শিকার ব্যক্তি আছেন কি-না সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারত সরকারের সাথে কূটনৈতিক পর্যায়ের যোগাযোগ স্থাপন করে তা জানানোর দাবি জানান তিনি।
যে সমস্ত ব্যক্তি গুমের পর ফেরত এসেছেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি কাউকে কাউকে মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বা নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে এবং কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। গুমের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচার করাসহ ৫ দফা দাবি পেশ করেন।
গুমের স্বীকার মোখলেছুর রহমানের পিতা শেখ আব্দুর রাশেদ বলেন, শেখ হাসিনা খুনি সরকার ছিল। এই খুনি পুলিশ বাহিনী ২০১৬ সালে ৪ আগস্ট আমার সন্তানকে থানার হাজত খানায় রাখে। পরে তৎকালীন ওসি এমদাদ'র গুম করে । বর্তমান সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার ছেলেকে খুঁজে বের করে দেওয়া হোক ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধি অংশ নেয়।