তিস্তা মহাপরিকল্পনা
নীলফামারী

এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা তাদের কাছে হয়ে উঠেছে বহু প্রতীক্ষিত আশা।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ–ভারতের টানাপোড়েনও দীর্ঘদিনের। ১৯৮৩ সালে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের জন্য ৩৬ শতাংশ পানি দেওয়ার অন্তর্বর্তী চুক্তি হলেও তা পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১১ সালে ৩৭.৫ শতাংশ পানি বরাদ্দের একটি স্থায়ী চুক্তির খসড়া তৈরি হয়; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে সেটিও ঝুলে যায়। ফলে তিস্তা ইস্যু দুই দেশের কূটনীতিতে সংবেদনশীল বিষয় হয়ে রয়ে গেছে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের জীবন ও কৃষি নিয়ে প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা আবারও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বাংলাদেশ–চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে আগামী জানুয়ারিতে প্রকল্প শুরু হওয়ার ঘোষণা আসার পর স্থানীয়দের একটাই প্রশ্ন—এ কি সত্যিকারের উন্নয়ন, নাকি নতুন করে ভোটের রাজনীতি?
চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যেই মাঠপর্যায়ের জরিপ শেষ করেছে। প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নদীভাঙন রোধ, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং আধুনিক সেচব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ইআরডি ইতোমধ্যে খসড়া পাঠিয়েছে চীন সরকারকে, এবং সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক জং জিং। চীনা প্রতিনিধিরা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও নদী রক্ষা সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন।
তবে বাস্তবতার প্রশ্ন আরও গভীর। গবেষণা বলছে, তিস্তার ভাঙন ও বন্যায় উত্তরের পাঁচ জেলা প্রতিবছরই ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। বহু পরিবার জমি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এত বিপর্যয় সত্ত্বেও প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন কোনো বড় অগ্রগতি না থাকায় স্থানীয়দের অভিযোগ—তিস্তাকে উন্নয়নের চেয়ে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবেই বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, উত্তরাঞ্চলের মানুষের আবেগ, জীবনসংগ্রাম ও হতাশা তিস্তাকে বড় নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত করেছে। নির্বাচন সামনে এলেই তিস্তা প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ঘন হয়, কিন্তু মাঠপর্যায়ে অগ্রগতি সামান্যই দেখা যায়। তাই অনেকের ধারণা, উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি এটি শক্তিশালী ‘ভোট ব্যাংক’ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও চীনের সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ‘পাওয়ারচায়না’ তিস্তার দুই পাড়ে আধুনিক স্যাটেলাইট শহর নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, এবং সরকারও সেই পথে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু ভারতের সঙ্গে তিস্তার ন্যায্য পানিবণ্টন নিশ্চিত না হওয়াসহ নানা জটিলতায় পরিকল্পনাটি থেমে যায়।
আজ উত্তরবঙ্গের মানুষের মূল প্রশ্ন একটাই—
তিস্তা মহাপরিকল্পনা কি তাদের বহু বছরের দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান দেবে, নাকি এটি আবারও নির্বাচনী রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে থাকবে?

এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা তাদের কাছে হয়ে উঠেছে বহু প্রতীক্ষিত আশা।
তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ–ভারতের টানাপোড়েনও দীর্ঘদিনের। ১৯৮৩ সালে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশের জন্য ৩৬ শতাংশ পানি দেওয়ার অন্তর্বর্তী চুক্তি হলেও তা পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১১ সালে ৩৭.৫ শতাংশ পানি বরাদ্দের একটি স্থায়ী চুক্তির খসড়া তৈরি হয়; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে সেটিও ঝুলে যায়। ফলে তিস্তা ইস্যু দুই দেশের কূটনীতিতে সংবেদনশীল বিষয় হয়ে রয়ে গেছে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের জীবন ও কৃষি নিয়ে প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা আবারও রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বাংলাদেশ–চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে আগামী জানুয়ারিতে প্রকল্প শুরু হওয়ার ঘোষণা আসার পর স্থানীয়দের একটাই প্রশ্ন—এ কি সত্যিকারের উন্নয়ন, নাকি নতুন করে ভোটের রাজনীতি?
চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যেই মাঠপর্যায়ের জরিপ শেষ করেছে। প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নদীভাঙন রোধ, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ এবং আধুনিক সেচব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ইআরডি ইতোমধ্যে খসড়া পাঠিয়েছে চীন সরকারকে, এবং সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে বাস্তব নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক জং জিং। চীনা প্রতিনিধিরা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও নদী রক্ষা সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছেন।
তবে বাস্তবতার প্রশ্ন আরও গভীর। গবেষণা বলছে, তিস্তার ভাঙন ও বন্যায় উত্তরের পাঁচ জেলা প্রতিবছরই ১ লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে। বহু পরিবার জমি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। এত বিপর্যয় সত্ত্বেও প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন কোনো বড় অগ্রগতি না থাকায় স্থানীয়দের অভিযোগ—তিস্তাকে উন্নয়নের চেয়ে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবেই বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, উত্তরাঞ্চলের মানুষের আবেগ, জীবনসংগ্রাম ও হতাশা তিস্তাকে বড় নির্বাচনী ইস্যুতে পরিণত করেছে। নির্বাচন সামনে এলেই তিস্তা প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ঘন হয়, কিন্তু মাঠপর্যায়ে অগ্রগতি সামান্যই দেখা যায়। তাই অনেকের ধারণা, উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি এটি শক্তিশালী ‘ভোট ব্যাংক’ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও চীনের সঙ্গে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। ২০১৬ সালে ‘পাওয়ারচায়না’ তিস্তার দুই পাড়ে আধুনিক স্যাটেলাইট শহর নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, এবং সরকারও সেই পথে অগ্রসর হচ্ছিল। কিন্তু ভারতের সঙ্গে তিস্তার ন্যায্য পানিবণ্টন নিশ্চিত না হওয়াসহ নানা জটিলতায় পরিকল্পনাটি থেমে যায়।
আজ উত্তরবঙ্গের মানুষের মূল প্রশ্ন একটাই—
তিস্তা মহাপরিকল্পনা কি তাদের বহু বছরের দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান দেবে, নাকি এটি আবারও নির্বাচনী রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে থাকবে?

রংপুরে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা–কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন
৩ মিনিট আগে
নোয়াখালী–৬ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আদালত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ জব্দ ও অর্থ অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন
৩৬ মিনিট আগে
বরিশালের গৌরনদীতে সিজার অপারেশনের পর চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ২২ বছর বয়সী প্রসূতি সাথী আক্তার পরি মারা যাওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পানিতে ডুবে দুই বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটনার দুই দিন পর হত্যার অভিযোগ তুলে এক যুবকের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন—আর এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী রাসেল শেখের পরিবার
৩ ঘণ্টা আগেরংপুরে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা–কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন
নোয়াখালী–৬ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আদালত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ জব্দ ও অর্থ অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন
বরিশালের গৌরনদীতে সিজার অপারেশনের পর চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ২২ বছর বয়সী প্রসূতি সাথী আক্তার পরি মারা যাওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পানিতে ডুবে দুই বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু ঘটনার দুই দিন পর হত্যার অভিযোগ তুলে এক যুবকের ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন—আর এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপত্তার দাবি জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী রাসেল শেখের পরিবার