=নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে বোর্ড কর্তৃক চুড়ান্ত ভাবে বহিষ্কৃত হলেও সুকৌশলে টিকে যাচ্ছে সালথা উপজেলার বাউষখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুজ্জামান সাহিদ।

তার হাতে ইএফটি পাসওয়ার্ড থাকায় নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন ও শিক্ষকদের বেতন ভাতা উত্তোলনে নানা সমস্যা হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় , প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষক- অভিভাবক - ম্যানেজিং কমিটি।

২০১৯ সালে অর্থ আত্মসাৎ, বৃত্তির টাকা দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,বিদ্যালয়ের টিউশন ফি আত্মসাৎ, স্বাক্ষর জালিয়াতি, উৎসব ভাতা আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারীসহ নানা অভিযোগে ম্যানেজিং কমিটি তাকে (প্রধান শিক্ষক) বরখাস্ত করে । পরবর্তীতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নিদের্শে বিষয়টি তদন্ত জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদপুরকে দেয়া হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুসারে বোর্ড থেকে চূড়ান্তভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয় ।

বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হওয়া স্বত্বেও কৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে গত বছরের ২১ আগষ্ট বেতন ভাতা সংক্রান্ত একটি চিঠি আনেন। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য উক্ত চিঠি চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর বেতন ভাতা স্থগিতাদেশ জারি করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান।

পরবর্তীতে ১৪ নভেম্বর স্বপদে পূর্ণবহালে চিঠি দেন। এমন অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটি বাদী হয়ে উক্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

বিদ্যালযের সম্মান বজায় রাখতে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে আর দেখতে চায় না অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটি ও গণস্বাক্ষরকৃত ৪১০ জন এলাকাবাসী।