খুলনা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্বার বাংলা’ চত্বরে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে তারা। পরবর্তীতে প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘কুয়েট উড’ চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে মিছিলটি শহীদ মিনারে গিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শেখ জাহিদ এবং গালিব রাহাত।
তারা অভিযোগ করেন, "আমাদের এই ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন, যা আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই সংগ্রাম শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়। তারা আমাদের অভিভাবকস্বরূপ। আমরা যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমাদের ক্ষমা করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- যারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা আজ পর্যন্ত কোনো মানববন্ধন করলেন না। বরং আমাদের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন!"
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা দেখতে পেয়েছি, মানববন্ধনে বক্তৃতা দিয়েছেন মো. আতাউর রহমান মোড়ল—যিনি বিএনপির ২০২৪ সালের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং স্থানীয় যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্য। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, সেখানে তিনি কীভাবে এখনো চাকরিতে বহাল থাকেন?”
তারা বলেন, “এই ঘটনায় প্রশ্ন জাগে- কে বা কারা আমাদের শিক্ষকদের এই রাজনৈতিক ব্যক্তির পাশে দাঁড় করিয়েছে? এই চক্রান্তের ব্যাখ্যা আমরা চাই। এভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো গ্রহণযোগ্য নয়।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা অভিযোগ করেন, “যারা সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছেন তাদের তালিকা নিয়ে শিক্ষকরা বলছেন- সবাই নির্দোষ প্রমাণ হতে পারে। তাহলে ৫৫ দিন ধরে তদন্ত কমিটি কী করল? তদন্ত প্রহসন ছিল কিনা, সেই প্রশ্ন এখন প্রকট। আমরা চাই ৩৭ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা হোক এবং সেই তালিকায় কোনো নিরীহ শিক্ষার্থী থাকলে তদন্ত কমিটিকে তার জবাবদিহি করতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে, অথচ ইন্টারিম সরকার এখনো নিশ্চুপ। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও বহিষ্কারের পরেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এই ইন্টারিম সরকারের ভূমিকা কি তাহলে স্বৈরাচারকে রক্ষার ঢাল?”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জানান বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, ঢাবি, চব্বি, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের, যারা এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, “আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আছি, থাকবো। আমাদের বিশ্বাস- এই দেশ আর কোনো স্বৈরাচারকে জুলাই-আগস্টের পর সহ্য করবে না। কিন্তু আমরা হতাশ যে, ৫৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল মহল কিংবা ইন্টারিম সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। বরং নিরব দর্শকের ভূমিকায় আছে। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই- যদি এখনই ভিসিকে অপসারণ না করা হয়, তাহলে দেশের জনগণের পক্ষের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আবার রাজপথে নামবো। প্রয়োজনে আবার ‘জুলাই’ নামিয়ে আনবো।”
তারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “যে আসিফ মাহমুদের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, আন্দোলন করেছি- সেই আসিফ আজ কোথায়? মাহফুজ আলম কোথায়? আপনারা কি দেখেন না- আমার ভাইয়েরা রাস্তায় কুকুরের পাশে শুয়ে রাত কাটাচ্ছে?”
প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের এ আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়- এটা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইন্টারিম সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে।”
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্বার বাংলা’ চত্বরে জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করে তারা। পরবর্তীতে প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘কুয়েট উড’ চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে মিছিলটি শহীদ মিনারে গিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাচের রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শেখ জাহিদ এবং গালিব রাহাত।
তারা অভিযোগ করেন, "আমাদের এই ন্যায্য আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-কর্মকর্তা মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন, যা আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- এই সংগ্রাম শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়। তারা আমাদের অভিভাবকস্বরূপ। আমরা যদি কোনো ভুল করে থাকি, আমাদের ক্ষমা করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- যারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা আজ পর্যন্ত কোনো মানববন্ধন করলেন না। বরং আমাদের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন!"
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা দেখতে পেয়েছি, মানববন্ধনে বক্তৃতা দিয়েছেন মো. আতাউর রহমান মোড়ল—যিনি বিএনপির ২০২৪ সালের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক এবং স্থানীয় যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্য। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ, সেখানে তিনি কীভাবে এখনো চাকরিতে বহাল থাকেন?”
তারা বলেন, “এই ঘটনায় প্রশ্ন জাগে- কে বা কারা আমাদের শিক্ষকদের এই রাজনৈতিক ব্যক্তির পাশে দাঁড় করিয়েছে? এই চক্রান্তের ব্যাখ্যা আমরা চাই। এভাবে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে ছাত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো গ্রহণযোগ্য নয়।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা অভিযোগ করেন, “যারা সাময়িক বহিষ্কৃত হয়েছেন তাদের তালিকা নিয়ে শিক্ষকরা বলছেন- সবাই নির্দোষ প্রমাণ হতে পারে। তাহলে ৫৫ দিন ধরে তদন্ত কমিটি কী করল? তদন্ত প্রহসন ছিল কিনা, সেই প্রশ্ন এখন প্রকট। আমরা চাই ৩৭ জন শিক্ষার্থীর তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা হোক এবং সেই তালিকায় কোনো নিরীহ শিক্ষার্থী থাকলে তদন্ত কমিটিকে তার জবাবদিহি করতে হবে।”
তারা আরও বলেন, “আমাদের ওপর হামলা হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে, অথচ ইন্টারিম সরকার এখনো নিশ্চুপ। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা ও বহিষ্কারের পরেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এই ইন্টারিম সরকারের ভূমিকা কি তাহলে স্বৈরাচারকে রক্ষার ঢাল?”
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জানান বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, ঢাবি, চব্বি, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের, যারা এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, “আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আছি, থাকবো। আমাদের বিশ্বাস- এই দেশ আর কোনো স্বৈরাচারকে জুলাই-আগস্টের পর সহ্য করবে না। কিন্তু আমরা হতাশ যে, ৫৮ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল মহল কিংবা ইন্টারিম সরকার আমাদের দাবি মেনে নেয়নি। বরং নিরব দর্শকের ভূমিকায় আছে। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই- যদি এখনই ভিসিকে অপসারণ না করা হয়, তাহলে দেশের জনগণের পক্ষের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আবার রাজপথে নামবো। প্রয়োজনে আবার ‘জুলাই’ নামিয়ে আনবো।”
তারা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, “যে আসিফ মাহমুদের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি, আন্দোলন করেছি- সেই আসিফ আজ কোথায়? মাহফুজ আলম কোথায়? আপনারা কি দেখেন না- আমার ভাইয়েরা রাস্তায় কুকুরের পাশে শুয়ে রাত কাটাচ্ছে?”
প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের এ আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়- এটা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইন্টারিম সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে।”
আয়োজকদের একটি প্রতিনিধি দল ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাঁধ সংরক্ষণ, মেরামত ও জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় অংশ নেন
১৮ মিনিট আগেএই দুর্ঘটনা আমাদের শিখিয়েছে জীবন কতটা অনিশ্চিত। তাই এখন থেকে আমাদের আরও মানবিক হতে হবে, সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার স্বপ্নপূরণে এগিয়ে নিতে হবো
২৮ মিনিট আগেগত ৩০ জুন উক্ত কমিটির সাধারণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে যেতে চাইলে দখলদার কমিটির নেতা আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বহিরাগত ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৩ জন গুরুতরসহ ১৫ জন সাংবাদিক আহত হন।
৩৬ মিনিট আগে২০২২-২০২৩ সালের উপজেলার এসএসসি পাস ১৯ জন ও এইচএসসি পাস ১৯ জন মোট ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এই শিক্ষা উপবৃত্তি, ক্রেস ও সনদ প্রদান করা হয়। এসএসসি পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন ১০ হাজার টাকা ও এইচএসসি পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়
১ ঘণ্টা আগেআয়োজকদের একটি প্রতিনিধি দল ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাঁধ সংরক্ষণ, মেরামত ও জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় অংশ নেন
এই দুর্ঘটনা আমাদের শিখিয়েছে জীবন কতটা অনিশ্চিত। তাই এখন থেকে আমাদের আরও মানবিক হতে হবে, সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার স্বপ্নপূরণে এগিয়ে নিতে হবো
গত ৩০ জুন উক্ত কমিটির সাধারণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে যেতে চাইলে দখলদার কমিটির নেতা আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত বহিরাগত ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ৩ জন গুরুতরসহ ১৫ জন সাংবাদিক আহত হন।
২০২২-২০২৩ সালের উপজেলার এসএসসি পাস ১৯ জন ও এইচএসসি পাস ১৯ জন মোট ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এই শিক্ষা উপবৃত্তি, ক্রেস ও সনদ প্রদান করা হয়। এসএসসি পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন ১০ হাজার টাকা ও এইচএসসি পাস প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়