নীলফামারীর জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিবৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ এবং শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুলমুখী করতে আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হচ্ছে।

জলঢাকার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ হাজার ৫৫৭ জন এবং কিশোরগঞ্জের ১৭৫টি বিদ্যালয়ের ২১ হাজার ৩৩৪ জন শিক্ষার্থী কর্মদিবসে প্রতিদিন এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত খাদ্য তালিকায় রয়েছে কলা, সিদ্ধ ডিম ও বোনরুটি। খাদ্য প্রস্তুত ও বিতরণের জন্য প্রতিটি স্কুলসংলগ্ন এলাকায় একজন করে ‘মাদার’ নিয়োগ দিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইএসডিও।

ইএসডিও নীলফামারীর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শামসুল ইসলাম জানান, সাপ্তাহিক রুটিন অনুযায়ী খাদ্য বিতরণ করা হবে। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হবে। এতে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি ও ভর্তি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেশবা ইউনাইটেড মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার বলেন, খাদ্যসামগ্রী দ্রুত পচনশীল হওয়ায় মান ও মেয়াদ ঠিক না থাকলে অপচয়ের ঝুঁকি রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদারকির প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।