"মাতৃদুগ্ধকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলুন" এই প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়িতে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন অফিসের বাস্তবায়নে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালি বের করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ছাবের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফেরদৌসী বেগম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মেমং মারমা, খাগড়াছড়ি সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর ডা. বিশ্ব জ্যোতি চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক।

সভায় বক্তারা বলেন, শিশুর সুষ্ঠু শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। মায়ের দুধের মধ্যে সকল পুষ্টি গুণাগুণ রয়েছে। জন্মের পর পরই এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে শাল দুধ খাওয়াতে হবে। শাল দুধ শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে। মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শিশুর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমে। শিশু জন্মের পর থেকেই ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। এতে মায়েদের প্রসব পরবর্তী ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায়। রক্তক্ষরণ ও শরীর ফোলা কমে যায়।