নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের সড়ক ও যানজট পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ছোট এই শহরে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ বসবাস করেন, এবং আশপাশের জেলা ও উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ব্যবসা বা ব্যক্তিগত কাজে আসেন। ট্রেন, বাস ও বিমান যোগাযোগ সুবিধা থাকলেও শহরের ভিতরের সড়কগুলো বিপর্যস্ত।

দোকান ও গোডাউনের জন্য সড়ক দখল হওয়ায় মূল সড়কের প্রস্থ ৬০–৭০ ফুটের বদলে মাত্র ৮–১০ ফুটে সীমিত হয়েছে। ফুটপাত প্রায় নেই, যার কারণে রিকশা ও পায়চারীর চলাচল খুবই কষ্টকর।

শহরের পাঁচমাথা মোড় কেন্দ্রীয় স্থল হিসেবে কাজ করছে। এখানে প্রতিদিন পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ, কার, মাইক্রোবাস ও প্রায় ৫ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। রিকশা ও অটোরিকশা যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী-সামগ্রী ওঠানামা করায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করা দায় হয়ে পড়েছে। শহীদ ডা. জিকরুল হক ও শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কের মার্কেটগুলোতেও পার্কিং নেই, গ্রাহকরা বাধ্য হয়ে যানবাহন সড়কে রেখে কেনাকাটা করছেন।

প্রশাসনিক তথ্য অনুযায়ী, পৌরসভায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রায় চার হাজার রিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা রয়েছে, তবে বাস্তবে এর চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলাচল করছে। আশেপাশের জেলা থেকে আরও দুই হাজার যানবাহন ঢুকছে, যা ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও জটিল করছে। বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী জানান, বিমানবন্দরের কারণে সড়কে গাড়ির চাপ আরও বেড়েছে।

ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজার আলম জানালেন, অতিরিক্ত অটোরিকশা, ফুটপাত দখল, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা এবং পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের কারণে শহরে যানজট লেগেই থাকে। প্রধান মোড়গুলো—পাঁচমাথা, মদিনা মোড়, তামান্না সিনেমা হল, পোস্ট অফিস মোড়—প্রতিদিন নাজুক অবস্থায় থাকে।

সৈয়দপুর ইউএনও ও পৌর প্রশাসক ফারাহ ফাতিমা তাকমিলা বলেন, সদ্য যোগদানের পর শহরের যানজট কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা যাবে না, ধৈর্য ধরে প্রশাসন সব ঠিক করবে।