রাজশাহী
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। শুক্রবার রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় অবৈধভাবে এই পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন কৃষকরা। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পরে গ্রামের লোকজন জোট বেঁধে ধাওয়া দিলে পুকুর খননকারিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় কৃষকরা একটি মাটি কাটা যন্ত্র (এস্কেভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করে এবং সেখান থেকে বেশ কিছু দেশী অস্ত্র উদ্ধার করে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুকুর খননকারী ওই বিএনপি নেতার নাম আবুল কামাল। তিনি দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। আবুল কালাম দুর্গাপুরের নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী।
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার (৩১ মে) সকালে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন ভাবেই যেন পকুর খনন করতে না পারে সেটি নজরদারি করা হচ্ছে। এর কয়েকদিন আগে সেখানে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা মেশিন ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। তার পরও তারা গভীর রাতে খনন কাজ করতে গিয়েছিল। কোনোভাবে সেখানে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না বলেন ওসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুপাড়ার এক জমির মালিক বলেন, স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকর্মী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কয়েকজন হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে জমি লেখে নেয়। বাকিরা দেয়নি। তারা কৌশলে জমিগুলো শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সনজিব ডাক্তারের নামে ডিট করে নেয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ বছরের জন জমিগুলো লিজ হিসেবে ডিট করে নেয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম। অস্ত্রের মুখে ৫/৭ বিঘা জমি লিজ হিসেবে ডিট করে নিয়ে প্রায় ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খননের কাজ শুরু করে। স্থানীয় বিএনপি কর্মী আসাদুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে পুকুর খননের কাজ তদরকির দায়িত্ব পায়।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু আসাদ বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আবুল কালাম বাহিনী ভেকু নিয়ে গিয়ে পুকুর খনন শুরু করে। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা দিয়ে বাধা দেয়। এর পর কালাম বাহিনী অস্ত্র নিয়ে কৃষকদের ধাওয়া দেয়। খবর পেয়ে কৃষকদলের নেতাকর্মীরা কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে পুকুর খননকারিদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তারা পালিয়ে যায়। দুই দফায় হামলা পালটা হামলার ঘটনায় কৃষকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শাওন, রবিউল, মোস্তাফিজুর ও ভেকু চালক রকিবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আবুল কালাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ের দিকে জমিগুলো সনজিব ডাক্তার ও তার ভাই পুকুর খননের জন্য লিজ নিয়েছিল। কিন্তু পট পরিবর্তনের কারণে তারা পুকুর খনন করতে পারিনি। সম্প্রতি সনিজব আমাকে জমিগুলো ১০ বছরের জন্য লিজ দেয়। এর পরও আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করি। জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন কাজ শুরু করি বলেও দাবি করেন আবুল কালাম।
কৃষকদের উপর হামলার বিষয়টি জানতে চাইলে আবুল কালামের দাবি, কৃষকদল নেতা আবু আসাদ মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা আমার লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় তারা আমার ভেকু ভাঙচুর করে এবং এর চালককে মেরে জখম করে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই পুকুরের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে পুকুর খনন কাজের জন্য জনবল সরবরাহ করেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু না।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, পুঠিয়া উপজেলায় কোন পুকুর খননের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এসব অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে পুকুর খনন করতে দেয়া হবে না।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খনন করছেন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। শুক্রবার রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় অবৈধভাবে এই পুকুর খননে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন কৃষকরা। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পরে গ্রামের লোকজন জোট বেঁধে ধাওয়া দিলে পুকুর খননকারিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় কৃষকরা একটি মাটি কাটা যন্ত্র (এস্কেভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করে এবং সেখান থেকে বেশ কিছু দেশী অস্ত্র উদ্ধার করে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুকুর খননকারী ওই বিএনপি নেতার নাম আবুল কামাল। তিনি দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক। আবুল কালাম দুর্গাপুরের নওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী।
পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার (৩১ মে) সকালে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন ভাবেই যেন পকুর খনন করতে না পারে সেটি নজরদারি করা হচ্ছে। এর কয়েকদিন আগে সেখানে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা মেশিন ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। তার পরও তারা গভীর রাতে খনন কাজ করতে গিয়েছিল। কোনোভাবে সেখানে পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না বলেন ওসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুপাড়ার এক জমির মালিক বলেন, স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতাকর্মী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কয়েকজন হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে জমি লেখে নেয়। বাকিরা দেয়নি। তারা কৌশলে জমিগুলো শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সনজিব ডাক্তারের নামে ডিট করে নেয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ বছরের জন জমিগুলো লিজ হিসেবে ডিট করে নেয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম। অস্ত্রের মুখে ৫/৭ বিঘা জমি লিজ হিসেবে ডিট করে নিয়ে প্রায় ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খননের কাজ শুরু করে। স্থানীয় বিএনপি কর্মী আসাদুল ইসলাম স্থানীয়ভাবে পুকুর খননের কাজ তদরকির দায়িত্ব পায়।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু আসাদ বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আবুল কালাম বাহিনী ভেকু নিয়ে গিয়ে পুকুর খনন শুরু করে। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা দিয়ে বাধা দেয়। এর পর কালাম বাহিনী অস্ত্র নিয়ে কৃষকদের ধাওয়া দেয়। খবর পেয়ে কৃষকদলের নেতাকর্মীরা কৃষকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে পুকুর খননকারিদের ধাওয়া দেয়। এ সময় তারা পালিয়ে যায়। দুই দফায় হামলা পালটা হামলার ঘটনায় কৃষকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শাওন, রবিউল, মোস্তাফিজুর ও ভেকু চালক রকিবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আবুল কালাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ের দিকে জমিগুলো সনজিব ডাক্তার ও তার ভাই পুকুর খননের জন্য লিজ নিয়েছিল। কিন্তু পট পরিবর্তনের কারণে তারা পুকুর খনন করতে পারিনি। সম্প্রতি সনিজব আমাকে জমিগুলো ১০ বছরের জন্য লিজ দেয়। এর পরও আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করি। জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন কাজ শুরু করি বলেও দাবি করেন আবুল কালাম।
কৃষকদের উপর হামলার বিষয়টি জানতে চাইলে আবুল কালামের দাবি, কৃষকদল নেতা আবু আসাদ মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা আমার লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় তারা আমার ভেকু ভাঙচুর করে এবং এর চালককে মেরে জখম করে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, ওই পুকুরের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে পুকুর খনন কাজের জন্য জনবল সরবরাহ করেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু না।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, পুঠিয়া উপজেলায় কোন পুকুর খননের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এসব অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে পুকুর খনন করতে দেয়া হবে না।