ঝিনাইদহে সাবেক তিন জেলা প্রশাসকের অনাহূত উন্নয়ন নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সরকারি অনুমোদন ছাড়া নানা স্থাপনা নির্মাণের কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব স্থাপনা এখন জীর্ণ হয়ে পড়েছে।

২০১৭ সালে সাবেক জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার ‘ডিসি মিনি ইকো পার্ক’ নির্মাণ করেন, আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন জাহেদী ফাউন্ডেশন থেকে। তবে রক্ষণাবেক্ষণ না থাকায় পার্কটি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়েছে।

২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ পদ্মপুকুর ও ঝিনুক আকৃতির স্থাপনা নির্মাণ করেন। সময়ের ব্যবধানে এগুলোও জীর্ণ হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম সরকারের অনুমোদন ছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি পুরানো ডিসি কোর্টের আঙ্গিনায় লং টেনিস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট ও অফিসার্স ক্লাব নির্মাণ করেন। এসব উদ্যোগে সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হয়নি এবং অনুমোদনও নেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এসব প্রকল্প সরকারি অফিসের সামনে থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত স্বার্থে করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ফোরামের সভাপতি মহাব্বত হোসেন টিপু বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব স্থাপনা এখন অসাড় হয়ে গেছে এবং পরিকল্পনা ছাড়া নির্মাণ মানেই অপচয়।

সনাক সভাপতি এম সাইফুল মাবুদ বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন মানুষ ভালো চোখে দেখছে না এবং ব্যয়ের উৎসের স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি সাইদুল আলম এসব উদ্যোগকে ‘লুটপাট’ বলছেন।

বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল বলেছেন, অনুমোদন ছাড়া করা এমন উন্নয়ন প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন করে। গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে এগুলো দেখভাল করা যায় কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে।