বান্দরবান
সবুজ ঘেরা উচু নিচু ঢালু ভূমিতে পাহাড়ে পাহাড়ে, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে,সোনালী রঙে ভরে আছে জুমের ধানের পাকা। পাহাড়ে অলিতে গলিতে সব জায়গায় এখন পাকা ধানের সৌরভ। তাই এই ধানের সৌরভ বলে দিচ্ছে নবান্নের উৎসবের আগমন ঘটতে আর বেশি দিন নেই। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরদের মনে এখন আনন্দের মাতোয়ারা। জুমের পাকা ধানের দৃশ্য দেখলে মনের দুঃখ কষ্টের কথা সব ভুলে যায় জুমিয়াদের। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরদের প্রধান উৎস হচ্ছে জুম চাষ। জুম চাষ পাহাড়িদের আদি পেশা। জুমের পাকা ধানের চাল দিয়ে চলে সারা বছরের খাদ্য।
তাইতো প্রতিটি পাহাড়ের ধুম পড়েছে জুমের ধান কাটার মহোৎসব। দেখা মিলছে পাকাধান কাটতে নারী-পুরুষ উভয় জুমচাষীদের। বর্তমানে এই দৃশ্যটি দেখা মিলেছে পাহাড়ে।
এপ্রিল মাসে শুরু দিকে জুমিয়ারা যেসব ধানের বীজ বপন করেছে সেসব ধান এখন কর্তনের আরম্ভ হয়েছে এবং এপ্রিল শেষের দিকে যারা বীজ বপন করেছে সেসব জুমের ধান পাকা কিছুটা বিলম্ব হতে দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান জেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়। সেই পাহাড়ের পাদদেশে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামিনী পাড়ার কারবারি ৫০ বছর বয়সী মেনয়াং ম্রো, এ বছর দেড় আড়ি ধানের জুম চাষ করেছেন। সকাল থেকে পরিবারের ৪ জন সদস্য নিয়ে তিনি ধান কাটছেন। আবার কেউ কাটা ধানগুলোকে বড় থ্রুং দিয়ে বহন করে জুম ঘরে এসে সংগ্রহ করছেন।
এ বছরে জুমের ধান কেমন হয়েছে জানতে চাইলে জামিনী পাড়ার কারবারি মেনয়াং ম্রো বলেন, এ বছর তেমন ধান ভালো হয়নি। তাছাড়া জুমের জায়গা পাথর বেশি থাকার কারণে ধান ভাল হয়না। তাই শ্রমিক নিয়ে ধান কাটলে পোঁছাবে না। সেজন্য স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে ধান কাটা শুরু করেছেন। দেড় আড়ি ধান চাষ করেছেন, মাত্র ৩০ আড়ি ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
একইপাড়া নিবাসী রিংরাও ম্রো এ বছর ছয় আড়ি ধান রোপন করেছেন। তিনি বলেন, এবারে জুমক্ষেতের ফলন ভাল হয়েছে, কারণ চলতি মৌসুমের আবহাওয়া খুবই ভাল এবং উৎপাদন পরিবেশ ভালই ছিল। তাই এ বছর ২৫০ আড়ি ধান পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলার সাতটি উপজেলায় বিশেষ করে দুর্গম পাহাড় গুলোতে চলতি মৌসুমে রোপিত ধান পেকেছে। এসব কৃষিপণ্য জুম ক্ষেত থেকে আহরণ করে ক্ষেত-খামার এবং ঘরে তুলতে শুরু করেছেন জুমচাষিরা। ধানের পাশাপাশি ছোটমরিচ, কচু, শিমুল আলু, বরবটি, ঢেঁড়স, চিংঙা, চিচিঙ্গা, মারফা, মিষ্টি কুমরা, তিল, হলুদ, আদা, ভুট্টা ও জুমের বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ হয়ে থাকে। তবে তিল, হলুদ ও আদা সংগ্রহ করা যাবে আরও কয়েক মাস পর।
বান্দরবানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তৌফিক আহমেদ নূর বলেন, পাহাড়ি বেশির ভাগ মানুষ জুম চাষ নির্ভর। আবাদী জমিতে ফলন কম হলে খাদ্য ঘাটতি দেখাই। প্রতিবছর জুম চাষ করে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নসহ আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে এবং সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন ,প্রতিটি পাহাড়ের এখন জুমের ধান কাটার শুরু হয়েছে। তাছাড়া এই পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি ভালো আছে ফলনও তেমন খারাপ হয় নাই। তাই চলতি বছরে জুমের ফলন মোটামুটি ভালো অর্জন হবে ।
সবুজ ঘেরা উচু নিচু ঢালু ভূমিতে পাহাড়ে পাহাড়ে, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে,সোনালী রঙে ভরে আছে জুমের ধানের পাকা। পাহাড়ে অলিতে গলিতে সব জায়গায় এখন পাকা ধানের সৌরভ। তাই এই ধানের সৌরভ বলে দিচ্ছে নবান্নের উৎসবের আগমন ঘটতে আর বেশি দিন নেই। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরদের মনে এখন আনন্দের মাতোয়ারা। জুমের পাকা ধানের দৃশ্য দেখলে মনের দুঃখ কষ্টের কথা সব ভুলে যায় জুমিয়াদের। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরদের প্রধান উৎস হচ্ছে জুম চাষ। জুম চাষ পাহাড়িদের আদি পেশা। জুমের পাকা ধানের চাল দিয়ে চলে সারা বছরের খাদ্য।
তাইতো প্রতিটি পাহাড়ের ধুম পড়েছে জুমের ধান কাটার মহোৎসব। দেখা মিলছে পাকাধান কাটতে নারী-পুরুষ উভয় জুমচাষীদের। বর্তমানে এই দৃশ্যটি দেখা মিলেছে পাহাড়ে।
এপ্রিল মাসে শুরু দিকে জুমিয়ারা যেসব ধানের বীজ বপন করেছে সেসব ধান এখন কর্তনের আরম্ভ হয়েছে এবং এপ্রিল শেষের দিকে যারা বীজ বপন করেছে সেসব জুমের ধান পাকা কিছুটা বিলম্ব হতে দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান জেলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়। সেই পাহাড়ের পাদদেশে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামিনী পাড়ার কারবারি ৫০ বছর বয়সী মেনয়াং ম্রো, এ বছর দেড় আড়ি ধানের জুম চাষ করেছেন। সকাল থেকে পরিবারের ৪ জন সদস্য নিয়ে তিনি ধান কাটছেন। আবার কেউ কাটা ধানগুলোকে বড় থ্রুং দিয়ে বহন করে জুম ঘরে এসে সংগ্রহ করছেন।
এ বছরে জুমের ধান কেমন হয়েছে জানতে চাইলে জামিনী পাড়ার কারবারি মেনয়াং ম্রো বলেন, এ বছর তেমন ধান ভালো হয়নি। তাছাড়া জুমের জায়গা পাথর বেশি থাকার কারণে ধান ভাল হয়না। তাই শ্রমিক নিয়ে ধান কাটলে পোঁছাবে না। সেজন্য স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে ধান কাটা শুরু করেছেন। দেড় আড়ি ধান চাষ করেছেন, মাত্র ৩০ আড়ি ধান পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
একইপাড়া নিবাসী রিংরাও ম্রো এ বছর ছয় আড়ি ধান রোপন করেছেন। তিনি বলেন, এবারে জুমক্ষেতের ফলন ভাল হয়েছে, কারণ চলতি মৌসুমের আবহাওয়া খুবই ভাল এবং উৎপাদন পরিবেশ ভালই ছিল। তাই এ বছর ২৫০ আড়ি ধান পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জেলার সাতটি উপজেলায় বিশেষ করে দুর্গম পাহাড় গুলোতে চলতি মৌসুমে রোপিত ধান পেকেছে। এসব কৃষিপণ্য জুম ক্ষেত থেকে আহরণ করে ক্ষেত-খামার এবং ঘরে তুলতে শুরু করেছেন জুমচাষিরা। ধানের পাশাপাশি ছোটমরিচ, কচু, শিমুল আলু, বরবটি, ঢেঁড়স, চিংঙা, চিচিঙ্গা, মারফা, মিষ্টি কুমরা, তিল, হলুদ, আদা, ভুট্টা ও জুমের বিভিন্ন জাতের শাকসবজি চাষ হয়ে থাকে। তবে তিল, হলুদ ও আদা সংগ্রহ করা যাবে আরও কয়েক মাস পর।
বান্দরবানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তৌফিক আহমেদ নূর বলেন, পাহাড়ি বেশির ভাগ মানুষ জুম চাষ নির্ভর। আবাদী জমিতে ফলন কম হলে খাদ্য ঘাটতি দেখাই। প্রতিবছর জুম চাষ করে তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নসহ আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে এবং সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
তিনি বলেন ,প্রতিটি পাহাড়ের এখন জুমের ধান কাটার শুরু হয়েছে। তাছাড়া এই পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি ভালো আছে ফলনও তেমন খারাপ হয় নাই। তাই চলতি বছরে জুমের ফলন মোটামুটি ভালো অর্জন হবে ।
অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন
২ ঘণ্টা আগেঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্র ও শনিবার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। দাবি আদায় না হলে রোববার ভোর ৬ টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে
২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতিকে না বলতে হবে সব পর্যায় থেকে। শিক্ষা জীবন থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষা জীবনে যদি একজন শিক্ষার্থী দুর্নীতি প্রতিরোধের চেতনা ধারণ করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কখনো সে দুর্নীতিতে জড়াবে না
২ ঘণ্টা আগেচন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াত ও দুর্নীতি করেছেন। সচ্ছল ও অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন। প্রতিকার্ডে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি
৩ ঘণ্টা আগেঅভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে তারা ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন কৃষক আহত হন
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্র ও শনিবার অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। দাবি আদায় না হলে রোববার ভোর ৬ টা থেকে দাবি না মানা পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ চলবে
দুর্নীতিকে না বলতে হবে সব পর্যায় থেকে। শিক্ষা জীবন থেকে এর চর্চা শুরু করতে হবে। শিক্ষা জীবনে যদি একজন শিক্ষার্থী দুর্নীতি প্রতিরোধের চেতনা ধারণ করতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে কখনো সে দুর্নীতিতে জড়াবে না
চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উপকারভোগীদের মধ্যে ভালনারেবল উইম্যান বেনিফিট ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, জালিয়াত ও দুর্নীতি করেছেন। সচ্ছল ও অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিরা কার্ড পেয়েছেন। প্রতিকার্ডে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তিনি