খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়নের আলোচনা অন্তর্বর্তীকালীনভাবে প্রতিবাদে ছন্নছাড়া হয়েছে।

বোয়ালখালী, কবাখালী ও বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সভায় অভিযোগ তোলেন যে, বোয়ালখালী ইউনিয়নের সার ডিলার হিসেবে বহাল থাকা চট্টগ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ লোকমান দীর্ঘদিন ধরে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, লোকমান সম্প্রতি ভোটার আইডি স্থানান্তরের মাধ্যমে দীঘিনালার ২ নং বোয়ালখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়ে গেছেন, যদিও তিনি মূলত দীঘিনালার একটি হোটেলে অস্থায়ীভাবে কয়েকদিন থাকেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় জমি ক্রয়ের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু স্থানীয় সনদ এবং অনুমোদন না পেয়ে ব্যর্থ হন।

সভায় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, নীতিমালার ১.৪ ধারা অনুযায়ী, নতুন সার ডিলার নিয়োগে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার থাকতে হবে। শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার না দিয়ে চট্টগ্রামের বাসিন্দাকে নিয়োগ দেওয়া নীতিমালার বিপরীত। কবাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্ঞানো চাকমা এবং বাবুছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গগণ বিকাশ চাকমা বলেন, স্থানীয়দের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে এবং বাইরের বাসিন্দাকে নিয়োগ দেওয়া নীতি অনুযায়ী বাতিল হওয়া উচিত।

পরিশেষে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পুনরায় সভার সময়সূচি ঘোষণা করে বলেছেন, এই সমস্যা সমাধান না হলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।