নীলফামারী
নীলফামারীর বুক চিরে এক সময়ের স্রোতস্বিনী নদী বামনডাঙ্গা এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদারদের কবলে পরে বামনডাঙ্গা তার চিরচেনা রূপ হারিয়েছে। কচুরীপানায় ভরে গেছে। এখন মশা-মাছির ভাগাড়। নদী তীরবর্তী লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্টে দিন কাটাচ্ছে। নদীর দু’পাশ জুড়ে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠছে। নীলফামারী কৃষি খামার থেকে সিংদই পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার বিস্তৃত এই বামনডাঙ্গা নদী।
প্রাচীনকাল থেকে বাণিজ্যিক নৌ চলাচলে ব্যস্ত ছিল স্রোতমান বামনডাঙ্গা নদী। এই নদী ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল শাঁখামাচা বন্দর। ওই বন্দর এখন নীলফামারী শহর। গত দেড় দশকে নীলফামারী শহরের দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাটের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সাথে দখলদারদের কবলে গেছে এতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা নদী। আর এস, সি এস, ও বিএস খতিয়ানে এর কোন কাগুজে রেকর্ড না থাকায় প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদার তাদের নামে রেকর্ড করে নেয়। নদীর বাকী অংশ ডোবা, নালা, ভিটা হিসাবে খাস খতিয়ানে নথিভুক্ত আছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন দখলদারদের পাশাপাশি সরকারি অফিস বিএডিসি, পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই নদীর উপর। দখলদাররা চেপে ধরেছে বামনডাঙ্গা নদীকে। এখন স্রোতহীন একটি মরা নদী। কোথাও ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ। কোথাও নদীর মাঝখানে বসত বাড়ির ওয়াল। আবার কোথাও গড়ে উঠেছে বড় বড় স্থাপনা। পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসী। মশা-মাছির ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহরের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ এই নদীটি হওয়ায় বিভিন্ন ড্রেনের লাইন দেয়া হয়েছে নদীতে।
ঐতিহ্যবাহী এই নদীর বিষয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী উদ্ধার এবং নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বামনডাঙ্গার উৎসমুখে রাস্তা, কিছু স্থাপনা সরিয়ে খনন কাজ করলে এর চিরচেনা রূপ ফিরে আসবে। নদীর মর্যাদা ও প্রাকৃতিক প্রবাহ পুনর্গঠন করতে ‘দিয়ারা জরিপে’র মাধ্যমে নদী উদ্ধার সম্ভব।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে বামনডাঙ্গা নদীর সাত কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালীদের দখল আর সীমানা জটিলতায় নদী খনন কাজ থেমে যায়। এসময় মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ খনন কাজ করা সম্ভব হয়েছিল। পরে ২০২০ সালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রায় ২‘শ ৫০ জন অবৈধ দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাগুজে-কলমে বামনডাঙ্গা নদীর নামে শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্য সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি জানান। খুব শীঘ্রই এই কাজ হাতে নেয়া হবে।
আনন্দবাবুর পুর এলাকার এলাকার ষাটর্ধো সাংবাদিক সুজা মির্ধা বলেন, এই নদীতে দেবী চৌধুরানীর বজরা চলতো। বাণিজ্যিক নৌযানের আনাগোনা ছিল নিয়মিত। কিন্তু দখলবাজরা দখল করে নদীটিকে মৃত নালায় পরিণত করেছে। অনেকে নিজের নামেই রেকর্ড করেছে নদীটিকে। চারদিকে নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ সময় আমরা মঙলা হোটেলের মাচাং এর নিচে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। শুকনা কালেও নদীতে গোসল করতাম।
মাষ্টারপাড়া এলাকার আরিফ বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদীটি। কিন্তু দখলবাজদের কারণে পানি বের হতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এমনকি পানি জমে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা চাই নদীর আশেপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূনঃরায় নদী খোড়ার কাজ হাতে নেয়া হোক।
নীলফামারীর বুক চিরে এক সময়ের স্রোতস্বিনী নদী বামনডাঙ্গা এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদারদের কবলে পরে বামনডাঙ্গা তার চিরচেনা রূপ হারিয়েছে। কচুরীপানায় ভরে গেছে। এখন মশা-মাছির ভাগাড়। নদী তীরবর্তী লোকজন দুর্গন্ধে অতিষ্টে দিন কাটাচ্ছে। নদীর দু’পাশ জুড়ে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠছে। নীলফামারী কৃষি খামার থেকে সিংদই পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার বিস্তৃত এই বামনডাঙ্গা নদী।
প্রাচীনকাল থেকে বাণিজ্যিক নৌ চলাচলে ব্যস্ত ছিল স্রোতমান বামনডাঙ্গা নদী। এই নদী ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল শাঁখামাচা বন্দর। ওই বন্দর এখন নীলফামারী শহর। গত দেড় দশকে নীলফামারী শহরের দালান-কোঠা, রাস্তা-ঘাটের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সাথে দখলদারদের কবলে গেছে এতিহ্যবাহী বামনডাঙ্গা নদী। আর এস, সি এস, ও বিএস খতিয়ানে এর কোন কাগুজে রেকর্ড না থাকায় প্রায় ২’শ ৫০ জন দখলদার তাদের নামে রেকর্ড করে নেয়। নদীর বাকী অংশ ডোবা, নালা, ভিটা হিসাবে খাস খতিয়ানে নথিভুক্ত আছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন দখলদারদের পাশাপাশি সরকারি অফিস বিএডিসি, পৌরসভা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই নদীর উপর। দখলদাররা চেপে ধরেছে বামনডাঙ্গা নদীকে। এখন স্রোতহীন একটি মরা নদী। কোথাও ময়লা ও আবর্জনার স্তূপ। কোথাও নদীর মাঝখানে বসত বাড়ির ওয়াল। আবার কোথাও গড়ে উঠেছে বড় বড় স্থাপনা। পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসী। মশা-মাছির ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। শহরের একমাত্র পানি নিষ্কাশনের পথ এই নদীটি হওয়ায় বিভিন্ন ড্রেনের লাইন দেয়া হয়েছে নদীতে।
ঐতিহ্যবাহী এই নদীর বিষয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নদী উদ্ধার এবং নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বামনডাঙ্গার উৎসমুখে রাস্তা, কিছু স্থাপনা সরিয়ে খনন কাজ করলে এর চিরচেনা রূপ ফিরে আসবে। নদীর মর্যাদা ও প্রাকৃতিক প্রবাহ পুনর্গঠন করতে ‘দিয়ারা জরিপে’র মাধ্যমে নদী উদ্ধার সম্ভব।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে বামনডাঙ্গা নদীর সাত কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু প্রভাবশালীদের দখল আর সীমানা জটিলতায় নদী খনন কাজ থেমে যায়। এসময় মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ খনন কাজ করা সম্ভব হয়েছিল। পরে ২০২০ সালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রায় ২‘শ ৫০ জন অবৈধ দখলদারদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাগুজে-কলমে বামনডাঙ্গা নদীর নামে শ্রেণি পরিবর্তন করার জন্য সিদ্ধান্ত হয় বলে তিনি জানান। খুব শীঘ্রই এই কাজ হাতে নেয়া হবে।
আনন্দবাবুর পুর এলাকার এলাকার ষাটর্ধো সাংবাদিক সুজা মির্ধা বলেন, এই নদীতে দেবী চৌধুরানীর বজরা চলতো। বাণিজ্যিক নৌযানের আনাগোনা ছিল নিয়মিত। কিন্তু দখলবাজরা দখল করে নদীটিকে মৃত নালায় পরিণত করেছে। অনেকে নিজের নামেই রেকর্ড করেছে নদীটিকে। চারদিকে নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ সময় আমরা মঙলা হোটেলের মাচাং এর নিচে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম। শুকনা কালেও নদীতে গোসল করতাম।
মাষ্টারপাড়া এলাকার আরিফ বলেন, শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই নদীটি। কিন্তু দখলবাজদের কারণে পানি বের হতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এমনকি পানি জমে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা চাই নদীর আশেপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পূনঃরায় নদী খোড়ার কাজ হাতে নেয়া হোক।
বিশেষ করে এই বর্ষায় এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক ব্যবহারকারী জনসাধারণের।স্থানীয়দের অভিযোগ, রহস্যজনক কারণে ঠিকাদার কাজ শেষ করছেন না।
৭ ঘণ্টা আগেরোববার দিনভর জেলার মাদরা, কালিয়ানী, হিজলদী, চান্দুরিয়া, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা, সুলতানপুর, পদ্মশাখরা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল আটক করা হয় । এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা -৩৩ ব্যাটেলিয়ান বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক ।
৮ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালানোর নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগেদূর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দুইটি জব্দ করা হয়েছে
১১ ঘণ্টা আগেবিশেষ করে এই বর্ষায় এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই সড়ক ব্যবহারকারী জনসাধারণের।স্থানীয়দের অভিযোগ, রহস্যজনক কারণে ঠিকাদার কাজ শেষ করছেন না।
রোববার দিনভর জেলার মাদরা, কালিয়ানী, হিজলদী, চান্দুরিয়া, কাকডাঙ্গা, তলুইগাছা, সুলতানপুর, পদ্মশাখরা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল আটক করা হয় । এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা -৩৩ ব্যাটেলিয়ান বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালানোর নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
দূর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দুইটি জব্দ করা হয়েছে