শ্যামনগর প্রতিনিধি
অপরাজনীতি আর স্বজনপ্রীতির কবলে অল্পশিক্ষিত আর হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তি লেগেই থাকে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জেলেদের জীবনে।
জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ-এটাই তো সুন্দরবন। বিগত দিনে দস্যুমুক্ত হলেও হয়নি দালালমুক্ত সুন্দরবন।
বর্তমানে জলদস্যু আর বনদস্যুতায় ভরে গেছে সুন্দরবন আর সাগরপাড়,অতিষ্ঠ আর হতাশায় জেলের জীবন। সরকারি আইন অনুযায়ী, বন বিভাগের নিয়ম আর অনিয়ম মেনেই জেলেদের জীবন।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন ৪-৫ গুণ বাড়লেও জেলেদের জীবনমানের কোনো উন্নতি হয়নি আজ ও। যদিও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক জীবন ধারণের মধু সংগ্রহসহ কাঁকড়া, মৎস্য আহরণ ও তৎসম্পর্কিত পেশার ওপর নির্ভর করে আসছেন।
বাংলাদেশের জেলেদের বৃহত্তর একটা অংশের সাতক্ষীরা-খুলনার উপকূলে অনেকেরই থাকার মতো স্থায়ী ঘরবাড়ি নেই। কোনোভাবে অন্যের জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেশি, সেখানে বছরের দীর্ঘ একটি সময় মানুষের কাজ থাকে না, কিন্তু এ সময়ে তাদের সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। ফলে মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে জীবন বাঁচাতে হয়।
জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকাংশে এখন পর্যন্ত শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারিনি আমরা।
উপকূল ও চরাঞ্চলের অনেক স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকরা সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করতে পারেন না।
তাদের এই শূন্যতা পূরণ করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাসহ আমরা কী কী ভূমিকা পালন করতে পারি, তা পর্যালোচনা করা সময়ের দাবি। প্রয়োজনে প্রকৃত জেলেদের জন্য একটু আইনি সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা যেমটা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি সরকারের দেওয়া জেলেদের আর্থিক প্রণোদনা সঠিকভাবে বণ্টন প্রয়োজন।
অপরাজনীতি আর স্বজনপ্রীতির কবলে অল্পশিক্ষিত আর হতদরিদ্র মানুষের ভোগান্তি লেগেই থাকে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় জেলেদের জীবনে।
জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ-এটাই তো সুন্দরবন। বিগত দিনে দস্যুমুক্ত হলেও হয়নি দালালমুক্ত সুন্দরবন।
বর্তমানে জলদস্যু আর বনদস্যুতায় ভরে গেছে সুন্দরবন আর সাগরপাড়,অতিষ্ঠ আর হতাশায় জেলের জীবন। সরকারি আইন অনুযায়ী, বন বিভাগের নিয়ম আর অনিয়ম মেনেই জেলেদের জীবন।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে মাছের উৎপাদন ৪-৫ গুণ বাড়লেও জেলেদের জীবনমানের কোনো উন্নতি হয়নি আজ ও। যদিও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক জীবন ধারণের মধু সংগ্রহসহ কাঁকড়া, মৎস্য আহরণ ও তৎসম্পর্কিত পেশার ওপর নির্ভর করে আসছেন।
বাংলাদেশের জেলেদের বৃহত্তর একটা অংশের সাতক্ষীরা-খুলনার উপকূলে অনেকেরই থাকার মতো স্থায়ী ঘরবাড়ি নেই। কোনোভাবে অন্যের জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেশি, সেখানে বছরের দীর্ঘ একটি সময় মানুষের কাজ থাকে না, কিন্তু এ সময়ে তাদের সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। ফলে মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে জীবন বাঁচাতে হয়।
জেলে সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকাংশে এখন পর্যন্ত শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে পারিনি আমরা।
উপকূল ও চরাঞ্চলের অনেক স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকরা সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করতে পারেন না।
তাদের এই শূন্যতা পূরণ করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাসহ আমরা কী কী ভূমিকা পালন করতে পারি, তা পর্যালোচনা করা সময়ের দাবি। প্রয়োজনে প্রকৃত জেলেদের জন্য একটু আইনি সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা যেমটা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি সরকারের দেওয়া জেলেদের আর্থিক প্রণোদনা সঠিকভাবে বণ্টন প্রয়োজন।