কক্সবাজার
ভৌগোলিকভাবে বন বিভাগের বিশাল বনভূমি বেষ্টিত কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা আজ পরিবেশবিনাশী সিন্ডিকেটের কবলে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচার এবং ফসলি জমির উর্বর টপসয়েল লুটের মহোৎসব চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। অথচ দেখার কেউ নেই!
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈদগাঁওয়ে অবৈধভাবে পরিচালিত আটটি ইটভাটা সরাসরি বন উজাড়, ফসলি জমি ধ্বংস এবং পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো ইটভাটায় বনাঞ্চলের কাঠ ব্যবহার করা যাবে না, সংরক্ষিত বন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এসব নিয়ম যেন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ!
ফসলি জমির উর্বরতা রক্ষায় টপসয়েল সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ প্রতিদিন এক্সক্যাভেটর দিয়ে চাষযোগ্য জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিটি ইটভাটা মাসে ১৫ হাজার টাকা করে মাসোহারার নামে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
ইটভাটা মালিকদের সংগঠনের নেতা রেজাউল করিম সিকদার নিজেই এসব ঘুষ ও মাসোহারার সমন্বয় করেন।
এক ইটভাটা কর্মচারী বলেন, ‘যতদিন ইটভাটা চালু থাকে, ততদিন প্রতি মাসে মাসোহারার টাকা পাঠানো হয়। কেউ অভিযানে এলে রেজাউল সিকদার তাদের সামলান।’
এক ইটভাটা মালিক জানান, প্রতি বছরই আমরা ইউএনও, পরিবেশ অধিদপ্তর, থানা—সব জায়গায় টাকা দিই। অভিযান এলে সংগঠনের নেতা ম্যানেজ করে দেন। না হলে তো ইটভাটা চালানোই যেত না!
ঈদগাঁও বাসস্টেশনের গরু বাজার এলাকার আর কে সি ব্রিকসের মালিক ও সংগঠনের নেতা রেজাউল করিম সিকদার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঈদগাঁওয়ের আটটি ইটভাটার সবকটির বৈধ কাগজপত্র আছে এবং এখানে কাঠ পোড়ানো হয় না।
কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, রাতের আঁধারে ট্রাকভর্তি কাঠ ইটভাটায় প্রবেশ করে। কয়লার দাম বৃদ্ধির অজুহাতে অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, যা সরাসরি পরিবেশের জন্য হুমকি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালককে ফোনে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী, অনুমোদনহীন ইটভাটা পরিচালনা অপরাধ এবং বনের কাঠ পোড়ানো দণ্ডনীয়। কিন্তু ঈদগাঁওয়ে যেন এসব আইন শুধুই কাগজে-কলমে!
পরিবেশের ধ্বংস ও প্রশাসনিক দুর্নীতির এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার পরও যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে স্পষ্ট যে প্রশাসন ইটভাটা সিন্ডিকেটের কাছেই বন্দি!
ভৌগোলিকভাবে বন বিভাগের বিশাল বনভূমি বেষ্টিত কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা আজ পরিবেশবিনাশী সিন্ডিকেটের কবলে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচার এবং ফসলি জমির উর্বর টপসয়েল লুটের মহোৎসব চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। অথচ দেখার কেউ নেই!
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঈদগাঁওয়ে অবৈধভাবে পরিচালিত আটটি ইটভাটা সরাসরি বন উজাড়, ফসলি জমি ধ্বংস এবং পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো ইটভাটায় বনাঞ্চলের কাঠ ব্যবহার করা যাবে না, সংরক্ষিত বন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এসব নিয়ম যেন কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ!
ফসলি জমির উর্বরতা রক্ষায় টপসয়েল সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ প্রতিদিন এক্সক্যাভেটর দিয়ে চাষযোগ্য জমির উর্বর মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে দীর্ঘমেয়াদে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিটি ইটভাটা মাসে ১৫ হাজার টাকা করে মাসোহারার নামে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
ইটভাটা মালিকদের সংগঠনের নেতা রেজাউল করিম সিকদার নিজেই এসব ঘুষ ও মাসোহারার সমন্বয় করেন।
এক ইটভাটা কর্মচারী বলেন, ‘যতদিন ইটভাটা চালু থাকে, ততদিন প্রতি মাসে মাসোহারার টাকা পাঠানো হয়। কেউ অভিযানে এলে রেজাউল সিকদার তাদের সামলান।’
এক ইটভাটা মালিক জানান, প্রতি বছরই আমরা ইউএনও, পরিবেশ অধিদপ্তর, থানা—সব জায়গায় টাকা দিই। অভিযান এলে সংগঠনের নেতা ম্যানেজ করে দেন। না হলে তো ইটভাটা চালানোই যেত না!
ঈদগাঁও বাসস্টেশনের গরু বাজার এলাকার আর কে সি ব্রিকসের মালিক ও সংগঠনের নেতা রেজাউল করিম সিকদার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ঈদগাঁওয়ের আটটি ইটভাটার সবকটির বৈধ কাগজপত্র আছে এবং এখানে কাঠ পোড়ানো হয় না।
কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন, রাতের আঁধারে ট্রাকভর্তি কাঠ ইটভাটায় প্রবেশ করে। কয়লার দাম বৃদ্ধির অজুহাতে অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, যা সরাসরি পরিবেশের জন্য হুমকি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালককে ফোনে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী, অনুমোদনহীন ইটভাটা পরিচালনা অপরাধ এবং বনের কাঠ পোড়ানো দণ্ডনীয়। কিন্তু ঈদগাঁওয়ে যেন এসব আইন শুধুই কাগজে-কলমে!
পরিবেশের ধ্বংস ও প্রশাসনিক দুর্নীতির এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরার পরও যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে স্পষ্ট যে প্রশাসন ইটভাটা সিন্ডিকেটের কাছেই বন্দি!
কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। তারা সবাই একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর অনুষ্ঠাস্থলের অদূরেই দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অবৈধ সয়াবিন তেলের কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন হাজার ১৩২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল জব্দ করেছে বোদা থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলগুলো জব্দ করা হয়। এসময় দুইটি পিকআপও জব্দ করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেবিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ -সভাপতি নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গুমসহ সব হত্যাকান্ডের বদলা নেয়া হবে। ক্রসফায়ারের নামে বিএনপির যে সমস্ত নেতাকর্মীদের , খুন করা হয়েছে সব হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে। জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করতেই বিএনপি নির্বাচন চাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের পেকুয়া থেকে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করেছে পেকুয়া থানা পুলিশ। তারা সবাই একটি রেস্টুরেন্টের কর্মচারী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর অনুষ্ঠাস্থলের অদূরেই দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অবৈধ সয়াবিন তেলের কারখানায় অভিযান চালিয়ে তিন হাজার ১৩২ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল জব্দ করেছে বোদা থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলগুলো জব্দ করা হয়। এসময় দুইটি পিকআপও জব্দ করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ -সভাপতি নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গুমসহ সব হত্যাকান্ডের বদলা নেয়া হবে। ক্রসফায়ারের নামে বিএনপির যে সমস্ত নেতাকর্মীদের , খুন করা হয়েছে সব হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে। জাতিকে অভিশাপ মুক্ত করতেই বিএনপি নির্বাচন চাচ্ছে।