অবরোধে উত্তপ্ত খাগড়াছড়ি
এইচ এম প্রফুল্ল

সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে খাগড়াছড়ির সদরস্থ চেঙ্গী স্কয়ার, জিরো মাইল, স্বনির্ভরসহ বেশ কিছু জায়গায় পিকেটিং করে গাছের গুড়ি ফেলে টায়ার ও গাছের গুড়ি পুড়িয়েছে অবরোধকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে তা অপসারণ করে। অবরোধ চলাকালে এম্বুলেন্সসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর হয়।

খাগড়াছড়ি বিভিন্ন সড়কে দুপুর দেড়টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি অবনতির দিকে যায়। এসময় খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় অবরোধকারীদের স্থানীয় বাঙালিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে আদেশ দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে তাই ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়। তবে ১৪৪ ধারা জারি করার পরও দুপুর দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দুই পক্ষে খাগড়াছড়ি মহাজন পাড়া এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। পরে সংঘর্ষ শহরে মহাজন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকজন হেলমেট ও মুখোশপরা উপজাতীয় যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল ছুড়তে হয়।
এছাড়া একই কারণে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার।

শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সন্ধ্যায় বলেন ,‘অবরোধে সময় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটায় স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও সংলগ্ন এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়। পরে ইট-পাটকেল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করছে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে উত্তেজিত দুই পক্ষকে আমরা সরিয়ে দেই। নতুন করে যাতে সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হাসনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন,‘দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মোট ২৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। দুই জন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অবরোধে কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পরেছে সাজেকগামী পর্যটকেরা। সাজেকের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আটকা পরেছে প্রায় তিন হাজার পর্যটক। যারা শুক্রবার বেড়াতে গিয়েছিল তারা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফিরতে পারেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা দীঘিনালায় অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত; গত মঙ্গলবার রাতে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিমের পিতা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন বুধবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরো দুই আসামি। দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার সকালে নিপীড়ন বিরোধী সমাবেশ করে জুম্ম ছাত্র-জনতা। সমাবেশ থেকে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা।

সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে খাগড়াছড়ির সদরস্থ চেঙ্গী স্কয়ার, জিরো মাইল, স্বনির্ভরসহ বেশ কিছু জায়গায় পিকেটিং করে গাছের গুড়ি ফেলে টায়ার ও গাছের গুড়ি পুড়িয়েছে অবরোধকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে তা অপসারণ করে। অবরোধ চলাকালে এম্বুলেন্সসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর হয়।

খাগড়াছড়ি বিভিন্ন সড়কে দুপুর দেড়টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি অবনতির দিকে যায়। এসময় খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকায় অবরোধকারীদের স্থানীয় বাঙালিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে আদেশ দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে তাই ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়। তবে ১৪৪ ধারা জারি করার পরও দুপুর দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দুই পক্ষে খাগড়াছড়ি মহাজন পাড়া এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়। পরে সংঘর্ষ শহরে মহাজন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকজন হেলমেট ও মুখোশপরা উপজাতীয় যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল ছুড়তে হয়।
এছাড়া একই কারণে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার।

শনিবার সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল সন্ধ্যায় বলেন ,‘অবরোধে সময় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটায় স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু দুপুরের পর উপজেলা ইউএনও সংলগ্ন এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়। পরে ইট-পাটকেল ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ নিরাপত্তায় যৌথভাবে কাজ করছে। পরে সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে উত্তেজিত দুই পক্ষকে আমরা সরিয়ে দেই। নতুন করে যাতে সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মো. হাসনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন মো. ছাবের বলেন,‘দুই পক্ষের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে মোট ২৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ২১ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছে। দুই জন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অবরোধে কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিপাকে পরেছে সাজেকগামী পর্যটকেরা। সাজেকের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আটকা পরেছে প্রায় তিন হাজার পর্যটক। যারা শুক্রবার বেড়াতে গিয়েছিল তারা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফিরতে পারেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা দীঘিনালায় অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত; গত মঙ্গলবার রাতে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকটিমের পিতা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন বুধবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে আরো দুই আসামি। দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার সকালে নিপীড়ন বিরোধী সমাবেশ করে জুম্ম ছাত্র-জনতা। সমাবেশ থেকে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা।


নীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১৩ ঘণ্টা আগে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল
১৩ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে
১৩ ঘণ্টা আগে
ওই দুই শিশু পরিবারের অজান্তে খেলা করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়
১৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীতে অবস্থিত নীলসাগরের সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়েছে
১১ অক্টোবর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজিরের মাধ্যমে ডিক্রিদার উপস্থিতিতে ৪ শতাংশ নালিশীয় জমির ওপর ৩টি টিনের চালাঘর উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল
সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারী হাইস্কুলে ২-৪ নভেম্বর তাফসির মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে
ওই দুই শিশু পরিবারের অজান্তে খেলা করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর পাশে নবগঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়