সৈয়দ সফর আলী
রাতের রাস্তায় চলাচলে ভয় পান অনেক রাজধানীবাসী। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেশি থাকায় জরুরি কাজে এই সময়ে রাস্তায় বের হতে ভয় পায় মানুষ। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে চুরি-ডাকাতির ঘটনা মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক করতে বার বার হার্ডলাইনে যাওয়ার কথা বলছে সরকার। কিন্তু গত নয় মাসে তেমন কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। খোদ রাজধানী হয়েছে অপরাধের আখড়া। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধানসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বারবার সতর্ক করলেও জনমনে স্বস্তি ফেরেনি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারপরও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি আইন শৃঙ্খলার।
এদিকে পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ১ হাজার, ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় একটি বিদেশি পিস্তল এবং একটি টিপ ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭১ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৭৯ জন রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।
তারপরও ঘর থেকে বের হলেই ছিনতাই আতঙ্ক। বাড়ি বানাতে গেলে চাঁদাবাজির আতঙ্ক, মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটে আতঙ্ক। মহল্লায় কিশোর গ্যাং আতঙ্ক, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ফোন করার সময় হেঁচকা টান আতঙ্ক, বাসে-থ্রি হুইলারে উঠলে চোখে লাগিয়ে দেয়া মলম আতঙ্ক। রাস্তার পাশের দোকানে ডাব খেয়ে বেহুঁশ হওয়ার আতঙ্ক। ইদানীং যোগ হয়েছে পরিবহণ আতঙ্ক- বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে পটল তোলার আতঙ্ক। ট্রাফিকজট আতঙ্ক। বৃষ্টি হওয়ায় যাচ্ছেতাই খোঁড়াখুঁড়িতে খানাখন্দে ভরা ভয়ঙ্কর সড়কে পানিজট আতঙ্ক। শহুরে জীবনে চারদিকে শুধুই আতঙ্ক। আতঙ্কে বসবাস। তবে এ আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে । গ্রামের মানুষের মাঝেও স্বস্তি নেই। বাজারে বন্দরে হাটে ঘাটে মাঠে সব খানেই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সাধারণ মানুষে এসবের উন্নতি চায়। একই সঙ্গে চায় চলার পথে শান্তি। ঘুমানোয় শান্তি ও প্রতিটি নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে সবাই নিরাপত্তা চায়। দরকার শুধু অপরাধ দমনের বিষয়ে আন্তরিকতা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ঢাকায় যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেসব জায়গায় প্যাট্রল বাড়বে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও নৌবাহিনীর যৌথ প্যাট্রল শুরু হবে। পুরো ঢাকা শহরে অনেক জায়গায় চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) বসবে। আইনশৃঙ্খলা নজরদারি করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক হিসাবে দেখা গেছে, গত ৫ মাসে শুধু রাজধানীতেই খুন হয়েছে ১ে৫০ জন। সারা দেশে এই সংখ্যা ১ হাজার ২৪৪ জন। যা বিগত বছরগুলোর একই সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে ঢাকায় এই সংখ্যা ছিল ৫৫ জন, ২০২২ সালে ৫৪ জন, ২০২৩ সালে ৫১ জন এবং ২০২৪ সালে ছিল ৪৭ জন। গত জানুয়ারিতে ঢাকায় খুন হয়েছেন ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে খুন হয়েছেন ৩৮ জন, মার্চে ৩৩ জন এবং এপ্রিলে ২৯ জন। সারা দেশের হিসাবে জানুয়ারিতে ২৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩০৮ জন, মার্চে ৩১৬ জন এবং এপ্রিলে খুন হয়েছেন ৩৩৬ জন।
এদের মধ্যে অনেকে গণপিটুনিতে (মব জাস্টিস) নিহত হয়। এ ছাড়া চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। সব মিলিয়ে রাজধানীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি বলে মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।
গত ২৫ মে রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন খুন হন। এই বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডের পর গত কয়েক দিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আরো সাতজনকে হত্যা করা হয়।
ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। জানালার গ্রিল ও দরজার তালা ভেঙে লুট হতে পারে। এমন পরিস্থিতি আতঙ্ক যেন কাটছেই না শহরবাসীর। তবে গ্রামের অবস্থা আরো অবনতির দিকে। মাদকের ভয়াবহতা ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে সন্ত্রাস চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ। শহর থেকে নাড়ীর টানে যারা গ্রামে যাচ্ছেন তারাও রয়েছে চরম আতঙ্কে। তবে দ্রুত এ আতঙ্কের অবসান হবে এমন প্রত্যাশাই দেশবাসীর।
রাতের রাস্তায় চলাচলে ভয় পান অনেক রাজধানীবাসী। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেশি থাকায় জরুরি কাজে এই সময়ে রাস্তায় বের হতে ভয় পায় মানুষ। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি গ্রামগঞ্জে চুরি-ডাকাতির ঘটনা মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক করতে বার বার হার্ডলাইনে যাওয়ার কথা বলছে সরকার। কিন্তু গত নয় মাসে তেমন কোন উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। খোদ রাজধানী হয়েছে অপরাধের আখড়া। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধানসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বারবার সতর্ক করলেও জনমনে স্বস্তি ফেরেনি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারপরও তেমন কোনো উন্নতি হয়নি আইন শৃঙ্খলার।
এদিকে পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মোট ১ হাজার, ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় একটি বিদেশি পিস্তল এবং একটি টিপ ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭১ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৫৭৯ জন রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গতকাল বুধবার এ তথ্য জানান।
তারপরও ঘর থেকে বের হলেই ছিনতাই আতঙ্ক। বাড়ি বানাতে গেলে চাঁদাবাজির আতঙ্ক, মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটে আতঙ্ক। মহল্লায় কিশোর গ্যাং আতঙ্ক, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ফোন করার সময় হেঁচকা টান আতঙ্ক, বাসে-থ্রি হুইলারে উঠলে চোখে লাগিয়ে দেয়া মলম আতঙ্ক। রাস্তার পাশের দোকানে ডাব খেয়ে বেহুঁশ হওয়ার আতঙ্ক। ইদানীং যোগ হয়েছে পরিবহণ আতঙ্ক- বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে পটল তোলার আতঙ্ক। ট্রাফিকজট আতঙ্ক। বৃষ্টি হওয়ায় যাচ্ছেতাই খোঁড়াখুঁড়িতে খানাখন্দে ভরা ভয়ঙ্কর সড়কে পানিজট আতঙ্ক। শহুরে জীবনে চারদিকে শুধুই আতঙ্ক। আতঙ্কে বসবাস। তবে এ আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে গেছে সারা দেশে । গ্রামের মানুষের মাঝেও স্বস্তি নেই। বাজারে বন্দরে হাটে ঘাটে মাঠে সব খানেই আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সাধারণ মানুষে এসবের উন্নতি চায়। একই সঙ্গে চায় চলার পথে শান্তি। ঘুমানোয় শান্তি ও প্রতিটি নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে সবাই নিরাপত্তা চায়। দরকার শুধু অপরাধ দমনের বিষয়ে আন্তরিকতা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ঢাকায় যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেসব জায়গায় প্যাট্রল বাড়বে। গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও নৌবাহিনীর যৌথ প্যাট্রল শুরু হবে। পুরো ঢাকা শহরে অনেক জায়গায় চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) বসবে। আইনশৃঙ্খলা নজরদারি করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক হিসাবে দেখা গেছে, গত ৫ মাসে শুধু রাজধানীতেই খুন হয়েছে ১ে৫০ জন। সারা দেশে এই সংখ্যা ১ হাজার ২৪৪ জন। যা বিগত বছরগুলোর একই সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি। ২০২১ সালের প্রথম চার মাসে ঢাকায় এই সংখ্যা ছিল ৫৫ জন, ২০২২ সালে ৫৪ জন, ২০২৩ সালে ৫১ জন এবং ২০২৪ সালে ছিল ৪৭ জন। গত জানুয়ারিতে ঢাকায় খুন হয়েছেন ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে খুন হয়েছেন ৩৮ জন, মার্চে ৩৩ জন এবং এপ্রিলে ২৯ জন। সারা দেশের হিসাবে জানুয়ারিতে ২৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩০৮ জন, মার্চে ৩১৬ জন এবং এপ্রিলে খুন হয়েছেন ৩৩৬ জন।
এদের মধ্যে অনেকে গণপিটুনিতে (মব জাস্টিস) নিহত হয়। এ ছাড়া চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। সব মিলিয়ে রাজধানীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি বলে মনে করছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।
গত ২৫ মে রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন খুন হন। এই বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডের পর গত কয়েক দিনে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আরো সাতজনকে হত্যা করা হয়।
ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধ আরো বাড়তে পারে বলে অনুমান করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। জানালার গ্রিল ও দরজার তালা ভেঙে লুট হতে পারে। এমন পরিস্থিতি আতঙ্ক যেন কাটছেই না শহরবাসীর। তবে গ্রামের অবস্থা আরো অবনতির দিকে। মাদকের ভয়াবহতা ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে সন্ত্রাস চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ। শহর থেকে নাড়ীর টানে যারা গ্রামে যাচ্ছেন তারাও রয়েছে চরম আতঙ্কে। তবে দ্রুত এ আতঙ্কের অবসান হবে এমন প্রত্যাশাই দেশবাসীর।
জামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।
৭ দিন আগেবিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হত্যার মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা ছিল সুব্রত বাইন ও তার বাহিনীর।
৭ দিন আগেজামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।