সৈয়দ সফর আলী
গত রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যবসায়ী কামরুল আহসান সাধনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।ওই ঘটনার সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন হেঁটে এসে সাধনকে গুলি করে মূহূর্তেই পালিয়ে যায়।
শুধু খুন নয়,ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতা, অপহরণের মতো ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তবে ধর্ষণ, চুরি ও সিঁধেল চুরির মতো অপরাধ কমেছে। গত ৯ মাসে উল্লেখিত সাত ধরনের অপরাধের ঘটনায় সারা দেশের মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা রাজধানীতে প্রায়ই ঘটছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন সংকটে পুলিশের টহল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপরাধী চক্র। কিছু এলাকায় নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিচ্যুত অনেক সদস্য ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে যুক্ত হয়েছে। এই অপরাধে তারা ব্যবহার করছে কালো কাচের গাড়ি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসতে থাকে। এর মধ্যে ছিনতাই বা ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, চুরি ও সিঁধেল চুরি—এই সাত ধরনের অপরাধের ঘটনা নিয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাত মাস পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এ অবস্থায় ডাকাতি ও দস্যুতা মামলার পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনেও মামলা হচ্ছে। তবে ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা বাড়লেও দ্রুত বিচার আইনের এ মামলা কমেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৯৪টি হত্যা মামলা হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ২৩১টি। এর আগের চার বছরের একই মাসে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১৪, ২৬৪, ২৫৭ ও ২৭৩টি।
চলতি বছরের প্রথম মাসে ডাকাতির মামলা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭১টিতে, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ১১৪টি। অপহরণের মামলাও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিগুণ বেড়েছে।
গত ছয় বছরের মাসিক অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এই দুই অভিযোগে একমাসে মোট মামলা হয়েছে ২৪২টি।
দিও পুলিশের ভাষ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা মামলা করতে পারেননি, এমন বেশ কিছু ঘটনার মামলা নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ কারণে সংখ্যা বেড়েছে। পুলিশে দেওয়া হিসাবমতে, জানুয়ারিতে এ ধরনের পুরোনো ঘটনার মামলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৮টি এবং মার্চে আগের ঘটনার ৭৭টি মামলা যুক্ত হয়েছে।
অপরাধের পরিসংখ্যান বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের আরেক কর্মকর্তার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঠিকঠাক মামলা ও জিডি নেওয়া হতো না। এখন যে কোনো অপরাধ ঘটলেই মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার এখন কোনো ঘটনা ঘটলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এতে ছোটখাটো অনেক ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
এদিকে নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট অনেকে আশঙ্কা করছেন, ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে। কারণ জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাস, মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে তারা মরিয়া।
মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় ছিনতাইকারীদের এত দৌরাত্ম্য যে দিনের বেলায়ও বের হতে ভয় করে।
রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল নীরব সড়কে নয়, যানজটে আটকে থাকা যানবাহনেও হচ্ছে ছিনতাই। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালক মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন। পথচারীরাও বাদ যাচ্ছেন না। এছাড়া কিছু সড়কে বাতি নষ্ট থাকায় অন্ধকারাচ্ছ সড়কে হচ্ছে ছিনতাই।
গত রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যবসায়ী কামরুল আহসান সাধনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।ওই ঘটনার সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, দুজন হেঁটে এসে সাধনকে গুলি করে মূহূর্তেই পালিয়ে যায়।
শুধু খুন নয়,ডাকাতি, ছিনতাই, দস্যুতা, অপহরণের মতো ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তবে ধর্ষণ, চুরি ও সিঁধেল চুরির মতো অপরাধ কমেছে। গত ৯ মাসে উল্লেখিত সাত ধরনের অপরাধের ঘটনায় সারা দেশের মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা রাজধানীতে প্রায়ই ঘটছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন সংকটে পুলিশের টহল কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়নি। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপরাধী চক্র। কিছু এলাকায় নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ গড়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিচ্যুত অনেক সদস্য ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে যুক্ত হয়েছে। এই অপরাধে তারা ব্যবহার করছে কালো কাচের গাড়ি।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশি ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসতে থাকে। এর মধ্যে ছিনতাই বা ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, চুরি ও সিঁধেল চুরি—এই সাত ধরনের অপরাধের ঘটনা নিয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাত মাস পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। এ অবস্থায় ডাকাতি ও দস্যুতা মামলার পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনেও মামলা হচ্ছে। তবে ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা বাড়লেও দ্রুত বিচার আইনের এ মামলা কমেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৯৪টি হত্যা মামলা হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ২৩১টি। এর আগের চার বছরের একই মাসে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২১৪, ২৬৪, ২৫৭ ও ২৭৩টি।
চলতি বছরের প্রথম মাসে ডাকাতির মামলা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭১টিতে, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ১১৪টি। অপহরণের মামলাও চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিগুণ বেড়েছে।
গত ছয় বছরের মাসিক অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এই দুই অভিযোগে একমাসে মোট মামলা হয়েছে ২৪২টি।
দিও পুলিশের ভাষ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা মামলা করতে পারেননি, এমন বেশ কিছু ঘটনার মামলা নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ কারণে সংখ্যা বেড়েছে। পুলিশে দেওয়া হিসাবমতে, জানুয়ারিতে এ ধরনের পুরোনো ঘটনার মামলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৫৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৮টি এবং মার্চে আগের ঘটনার ৭৭টি মামলা যুক্ত হয়েছে।
অপরাধের পরিসংখ্যান বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের আরেক কর্মকর্তার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঠিকঠাক মামলা ও জিডি নেওয়া হতো না। এখন যে কোনো অপরাধ ঘটলেই মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার এখন কোনো ঘটনা ঘটলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। এতে ছোটখাটো অনেক ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
এদিকে নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট অনেকে আশঙ্কা করছেন, ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও নাজুক হতে পারে আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ ঘিরে। কারণ জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাস, মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে তারা মরিয়া।
মোহাম্মদপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মোহাম্মদপুরের কিছু এলাকায় ছিনতাইকারীদের এত দৌরাত্ম্য যে দিনের বেলায়ও বের হতে ভয় করে।
রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল নীরব সড়কে নয়, যানজটে আটকে থাকা যানবাহনেও হচ্ছে ছিনতাই। যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রলপাম্প এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে জটে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী-চালক মাঝেমধ্যে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ছেন। পথচারীরাও বাদ যাচ্ছেন না। এছাড়া কিছু সড়কে বাতি নষ্ট থাকায় অন্ধকারাচ্ছ সড়কে হচ্ছে ছিনতাই।
জামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।
৭ দিন আগেজামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।