ভোল পাল্টে বিএনপি সাজার চেষ্টা
এক ছেলে গ্রেপ্তার হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে বাকিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা জুলাই হত্যাকাণ্ডের আসামী ভূমিদস্যু খোরশেদ মাদবর। সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তার দুই ছেলে সাহেদ ও সাজ্জাদও এই মামলার আসামি। গত ২৭ এপ্রিল সাহেদ গ্রেপ্তার হলেও সাজ্জাদ ও খোরশেদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগ আমলে বাউনিয়া এলাকার আতঙ্ক খোরশেদ মাদবর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। ভূমিদস্যু, দখলদার খোরশেদ মাদবরের ভয়ে এখনো মুখ খুলতে ভয় পান ভুক্তভোগীরা।
বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান জানান, এক সময় তাদের জমি বর্গা চাষ করতেন খোরশেদ মাদবর। সেই জমিতে চাষাবাদ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হতো। পরবর্তীতে ৩১ শতাংশ জমি লিজ নেয়ার কথা বলে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিজেই জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা করেন। এই প্রতারণা ধরতে পেরে জমির মালিক মজিবুর রহমান সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে মামলা করেন খোরশেদ মাদবরের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি লিজও বাতিল করে দেন। মামলার রায় আসে মজিবরের পক্ষে। মামলায় হেরে যায় প্রতারক খোরশেদ মাদবর।
আদালতে মামলা হেরে গেলেও মজিবুরের জমির অবৈধ দখল ছাড়েনি খোরশেদ। আওয়ামী আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি জোর করে দখল করে রাখে খোরশেদ ও তার ছেলেরা। এবছরের ৩১ জানুয়ারী মজিবুর রহমান তার জমি বুঝে নিতে গেলে খোরশেদ ও তার ছেলেরা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মজিবুর রহমান। ( তুরাগ থানা, ৩১.০১.২০২৫, সাধারণ ডায়েরি নাম্বার ৭৩৮)
জমির প্রকৃত মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্বেও খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেদের হুমকি ধামকির কাছে অসহায় কেনো জমির মালিক মজিবুর রহমান। তিনি জানান, আওয়ামী জামানায় ক্ষমতার দাপট দেখাতো খোরশেদ মাদবর। পুরো বাউনিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব ছিলো তার ছেলেদের। প্রশাসন ছিলো অসহায়। এলাকায় বিচার শালিসের নামে চলতো খোরশেদ ও তার ছেলেদের আইন। গায়ের জোরে নিজের ছেলে সাজ্জাদ আলমকে বাউনিয়া বাজার কমিটির সভাপতি বানান খোরশেদ। তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদের বড় ছেলে সাজ্জাদ তুরাগ থানা যুবলীগের আহবায়ক, দ্বিতীয় ছেলে শাহেদ আলম ছিলো তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আর ছোট ছেলে রনি হাসান তুরাগ থানা যুবলীগের সদস্য হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো। এলাকার ব্যবসায়ী, আবাসন কোম্পানীর কাছ থেকে আদায় করতো চাঁদা, টেম্পু ষ্ট্যান্ডের চাঁদাও পকেটে যেতো খোরশেদ পরিবারের। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিনা ভোটের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, হাবিব হাসান এবং পরবর্তিতে খসরু চৌধুরীর ক্যাডার ছিলো খোরশেদের ছেলেরা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের এই ক্যাডারদের দখলে এখনো বাউনিয়া এলাকার নিরীহ মানুষের ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমি।
কেউ জমির মালিকানা দাবি করতে গেলেই তার ওপরে নেমে আসে খোরশেদ পুত্রদের অত্যাচার।
বাউনিয়া এলাকার আরেক ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন। তার জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখে খোরশেদ ও তার ছেলেরা। জমির দখল নিতে গেলে আলাউদ্দিনের ওপর হামলা চালায় খোরশেদ ও তার ছেলেদের ক্যাডার বাহিনী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলাউদ্দিন। তবে আলাউদ্দিন হামলায় মারা যায়নি, স্ট্রোক করে মারা গেছেন পরিবার সদস্যদর জোর করে এমন স্বীকারোক্তি দিতেও বাধ্য করেন তারা। তারপরও দমে যায়নি আলাউদ্দিনের পরিবার। আলাউদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে তুরাগ থানায় মামলা করে পরিবার সদস্যরা। তুরাগ থানা, মামলা নং- ১০, ১১ এপ্রিল ২০২২।
বাউনিয়া এলাকার আরেক বাসিন্দা আবুল কাশেম চৌধুরীর জমি জোর করে ভোগ দখলের অভিযোগে খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেদের বিবাদী করে মামলা করা হয়। এই মামলা করা হয় ২০২২ সালে। মামলা নম্বর- ১৯৪।
জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে পিতা-পুত্রদের বিরুদ্ধে। উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামী হিসেবে শাহেদ আলম গ্রেপ্তার হলেও খোরশেদ মাদবর ও ছেলে সাজ্জাদ আলম এখনো অধরা। এ বছরের ৩ জানুয়ারী দায়ের হওয়া হত্যা মামলার আসামীর তালিকায় ১৪১, ১৪২, ১৪৩ ও ১৪৪ নাম রয়েছে খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেদের নাম। মামলা নং-৮
হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেরা প্রকাশ্যে এলাকাবাসী ও জমির মালিকদের হুমকি-ধামকি দিলেও তাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ মাদবর নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, তিনি কোনোদিন আওয়ামী লীগ করেননি। জুলাই গণহত্যা মামলাও হয়রানীমূলক বলে দাবি করেন। ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানের জায়গা-জমি দখলের বিষয়ে প্রথমে তিনি সরাসরি অস্বীকার করলেও পরে অবশ্য মামলার কথা স্বীকার করেন। বলেন, এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মো. রাহাৎ খান নিখাদ খবরকে বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যা মামলার কোনো রিক্যুইজিশন পেলে সাথে সাথে আসামি গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। অন্যদিকে, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় সরাসরি থানা পুলিশের এখতিয়ারে নেই। তারপরও ভুক্তভোগি পুলিশের দ্বারস্থ হলে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা জুলাই হত্যাকাণ্ডের আসামী ভূমিদস্যু খোরশেদ মাদবর। সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তার দুই ছেলে সাহেদ ও সাজ্জাদও এই মামলার আসামি। গত ২৭ এপ্রিল সাহেদ গ্রেপ্তার হলেও সাজ্জাদ ও খোরশেদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগ আমলে বাউনিয়া এলাকার আতঙ্ক খোরশেদ মাদবর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। ভূমিদস্যু, দখলদার খোরশেদ মাদবরের ভয়ে এখনো মুখ খুলতে ভয় পান ভুক্তভোগীরা।
বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান জানান, এক সময় তাদের জমি বর্গা চাষ করতেন খোরশেদ মাদবর। সেই জমিতে চাষাবাদ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হতো। পরবর্তীতে ৩১ শতাংশ জমি লিজ নেয়ার কথা বলে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিজেই জমির মালিক হওয়ার চেষ্টা করেন। এই প্রতারণা ধরতে পেরে জমির মালিক মজিবুর রহমান সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে মামলা করেন খোরশেদ মাদবরের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি লিজও বাতিল করে দেন। মামলার রায় আসে মজিবরের পক্ষে। মামলায় হেরে যায় প্রতারক খোরশেদ মাদবর।
আদালতে মামলা হেরে গেলেও মজিবুরের জমির অবৈধ দখল ছাড়েনি খোরশেদ। আওয়ামী আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি জোর করে দখল করে রাখে খোরশেদ ও তার ছেলেরা। এবছরের ৩১ জানুয়ারী মজিবুর রহমান তার জমি বুঝে নিতে গেলে খোরশেদ ও তার ছেলেরা মেরে ফেলার হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না পেয়ে তুরাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মজিবুর রহমান। ( তুরাগ থানা, ৩১.০১.২০২৫, সাধারণ ডায়েরি নাম্বার ৭৩৮)
জমির প্রকৃত মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া সত্বেও খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেদের হুমকি ধামকির কাছে অসহায় কেনো জমির মালিক মজিবুর রহমান। তিনি জানান, আওয়ামী জামানায় ক্ষমতার দাপট দেখাতো খোরশেদ মাদবর। পুরো বাউনিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব ছিলো তার ছেলেদের। প্রশাসন ছিলো অসহায়। এলাকায় বিচার শালিসের নামে চলতো খোরশেদ ও তার ছেলেদের আইন। গায়ের জোরে নিজের ছেলে সাজ্জাদ আলমকে বাউনিয়া বাজার কমিটির সভাপতি বানান খোরশেদ। তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদের বড় ছেলে সাজ্জাদ তুরাগ থানা যুবলীগের আহবায়ক, দ্বিতীয় ছেলে শাহেদ আলম ছিলো তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আর ছোট ছেলে রনি হাসান তুরাগ থানা যুবলীগের সদস্য হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো। এলাকার ব্যবসায়ী, আবাসন কোম্পানীর কাছ থেকে আদায় করতো চাঁদা, টেম্পু ষ্ট্যান্ডের চাঁদাও পকেটে যেতো খোরশেদ পরিবারের। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিনা ভোটের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, হাবিব হাসান এবং পরবর্তিতে খসরু চৌধুরীর ক্যাডার ছিলো খোরশেদের ছেলেরা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের এই ক্যাডারদের দখলে এখনো বাউনিয়া এলাকার নিরীহ মানুষের ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমি।
কেউ জমির মালিকানা দাবি করতে গেলেই তার ওপরে নেমে আসে খোরশেদ পুত্রদের অত্যাচার।
বাউনিয়া এলাকার আরেক ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন। তার জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখে খোরশেদ ও তার ছেলেরা। জমির দখল নিতে গেলে আলাউদ্দিনের ওপর হামলা চালায় খোরশেদ ও তার ছেলেদের ক্যাডার বাহিনী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আলাউদ্দিন। তবে আলাউদ্দিন হামলায় মারা যায়নি, স্ট্রোক করে মারা গেছেন পরিবার সদস্যদর জোর করে এমন স্বীকারোক্তি দিতেও বাধ্য করেন তারা। তারপরও দমে যায়নি আলাউদ্দিনের পরিবার। আলাউদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে তুরাগ থানায় মামলা করে পরিবার সদস্যরা। তুরাগ থানা, মামলা নং- ১০, ১১ এপ্রিল ২০২২।
বাউনিয়া এলাকার আরেক বাসিন্দা আবুল কাশেম চৌধুরীর জমি জোর করে ভোগ দখলের অভিযোগে খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেদের বিবাদী করে মামলা করা হয়। এই মামলা করা হয় ২০২২ সালে। মামলা নম্বর- ১৯৪।
জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে পিতা-পুত্রদের বিরুদ্ধে। উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামী হিসেবে শাহেদ আলম গ্রেপ্তার হলেও খোরশেদ মাদবর ও ছেলে সাজ্জাদ আলম এখনো অধরা। এ বছরের ৩ জানুয়ারী দায়ের হওয়া হত্যা মামলার আসামীর তালিকায় ১৪১, ১৪২, ১৪৩ ও ১৪৪ নাম রয়েছে খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেদের নাম। মামলা নং-৮
হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে খোরশেদ মাদবর ও তার ছেলেরা প্রকাশ্যে এলাকাবাসী ও জমির মালিকদের হুমকি-ধামকি দিলেও তাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোরশেদ মাদবর নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, তিনি কোনোদিন আওয়ামী লীগ করেননি। জুলাই গণহত্যা মামলাও হয়রানীমূলক বলে দাবি করেন। ভুক্তভোগী মজিবুর রহমানের জায়গা-জমি দখলের বিষয়ে প্রথমে তিনি সরাসরি অস্বীকার করলেও পরে অবশ্য মামলার কথা স্বীকার করেন। বলেন, এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মো. রাহাৎ খান নিখাদ খবরকে বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার হত্যা মামলার কোনো রিক্যুইজিশন পেলে সাথে সাথে আসামি গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। অন্যদিকে, জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় সরাসরি থানা পুলিশের এখতিয়ারে নেই। তারপরও ভুক্তভোগি পুলিশের দ্বারস্থ হলে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
জামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।
৭ দিন আগেজামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।