বিশেষ প্রতিনিধি
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের এমডি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম নিয়মের কোন তোয়াক্কা করেননি। নিজের মত স্ত্রী পুত্র কন্যাকে দিয়েও বিভিন্ন সময় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে অর্থ উপার্জন করেছেন। ধরা পড়লে জরিমানাও দিতে হয়েছে। তারপর থেমে নেই তাদের অনিয়ম। গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সে তার নিজের মত করেই চলতেন। অর্থ পাচার, ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও পুঁজিবাজারে কারসাজির মতো ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই শিল্পপতি। বিদেশে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই দুবাই ও হংকংয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনটি কোম্পানি। এতকিছুর পর এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্নীতির এই বরপুত্র।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ এবং কোহিনুর কেমিক্যালস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এছাড়া বীকন ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড এবং বীকন পয়েন্ট লিমিটেডেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন গ্রুপ ও বিকন ফার্মার শেয়ার কারসাজিতে জড়িত তিনিসহ তার পরিবার।
জেমিনি সি-ফুডের শেয়ার কারসাজি করায় তার পরিবারের ৫ সদস্যকে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার আগে ওরিয়ন গ্রুপের শেয়ার কারসাজি করায় তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের মাকসুদ কমিশন ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
সরকারের অনুমতি ছাড়াই ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট হংকংয়ের কলুন শহরে বিকন এশিয়া প্যাসিফিক নামে একটি কোম্পানি খোলেন তিনি। ওই সময় বিকন এশিয়া প্যাসিফিকের নামে হংকংয়ের এইচএসবিসি ব্যাংকের একটি শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলেন এবায়দুল করিম। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর এই ১১ মাসে ২৮৮ কোটিরও বেশি টাকা এইচএসবিসি ব্যাংকের ওই শাখায় গেছে বাংলাদেশ থেকে।
বিকন গ্লোবাল অপারেশনস (এফজেডসি) নামে এই কোম্পানিটি দুবাই মেরিনাতে হোটেল ব্যবসায় বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুবাইয়ের মাশরেক ব্যাংকে চিঠি পাঠালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এবাদুলের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে। ২০১৮ সালের রাতের ভোটে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবাদুল। এবাদুল করিমের ছেলে উলফাত করিম। তিনি কোম্পানিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর তার মেয়ে রিসানা করিম। তিনি কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্টে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার, তার মেয়ে ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বীকন ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে। এ ছাড়া রিসানা করিমকে ৬ কোটি টাকা, বীকন মেডিকেয়ারকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা, বীকন ফার্মাকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ও নুরুন নাহার করিমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের এমডি ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম নিয়মের কোন তোয়াক্কা করেননি। নিজের মত স্ত্রী পুত্র কন্যাকে দিয়েও বিভিন্ন সময় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে অর্থ উপার্জন করেছেন। ধরা পড়লে জরিমানাও দিতে হয়েছে। তারপর থেমে নেই তাদের অনিয়ম। গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সে তার নিজের মত করেই চলতেন। অর্থ পাচার, ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও পুঁজিবাজারে কারসাজির মতো ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এই শিল্পপতি। বিদেশে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই দুবাই ও হংকংয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনটি কোম্পানি। এতকিছুর পর এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্নীতির এই বরপুত্র।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ওরিয়ন গ্রুপ এবং কোহিনুর কেমিক্যালস কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এছাড়া বীকন ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড এবং বীকন পয়েন্ট লিমিটেডেরও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওরিয়ন গ্রুপ ও বিকন ফার্মার শেয়ার কারসাজিতে জড়িত তিনিসহ তার পরিবার।
জেমিনি সি-ফুডের শেয়ার কারসাজি করায় তার পরিবারের ৫ সদস্যকে ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার আগে ওরিয়ন গ্রুপের শেয়ার কারসাজি করায় তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের মাকসুদ কমিশন ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
সরকারের অনুমতি ছাড়াই ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট হংকংয়ের কলুন শহরে বিকন এশিয়া প্যাসিফিক নামে একটি কোম্পানি খোলেন তিনি। ওই সময় বিকন এশিয়া প্যাসিফিকের নামে হংকংয়ের এইচএসবিসি ব্যাংকের একটি শাখায় অ্যাকাউন্ট খোলেন এবায়দুল করিম। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর এই ১১ মাসে ২৮৮ কোটিরও বেশি টাকা এইচএসবিসি ব্যাংকের ওই শাখায় গেছে বাংলাদেশ থেকে।
বিকন গ্লোবাল অপারেশনস (এফজেডসি) নামে এই কোম্পানিটি দুবাই মেরিনাতে হোটেল ব্যবসায় বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দুবাইয়ের মাশরেক ব্যাংকে চিঠি পাঠালে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এবাদুলের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টও রয়েছে। ২০১৮ সালের রাতের ভোটে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবাদুল। এবাদুল করিমের ছেলে উলফাত করিম। তিনি কোম্পানিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর তার মেয়ে রিসানা করিম। তিনি কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্টে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নুরুন নাহার, তার মেয়ে ও তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বীকন ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে। এ ছাড়া রিসানা করিমকে ৬ কোটি টাকা, বীকন মেডিকেয়ারকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা, বীকন ফার্মাকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ও নুরুন নাহার করিমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।
৭ দিন আগেজামালপুরে অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা সহ বিপ্লব ব্যাপারী (৩২) ও মো. শফিকুল ইসলাম শিপন (৩৩) নামে ২ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর ডিবি পুলিশ।