বাগিয়ে নিয়েছেন অঢেল সম্পদ
সাতক্ষীরা
সুপেয় পানির প্রকল্পের নামে দীর্ঘ চার বছরে সাতক্ষীরায় জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী ঠিকাদার ও এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে কুষ্টিয়া জেলায় বদলি করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বদলি হলেও থেমে নেই তার দৌরাত্ম্য। জানা গেছে, ছুটির দিনেও অফিসে বসে নথিপত্র গায়েব করে বদলি ঠেকাতে রীতিমতো বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। যশোরের নিউমার্কেট এলাকায় ৫তলা বাড়ি, ৮-১০টি প্লটসহ কয়েক বিঘা জমি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ মে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন শহিদুল ইসলাম। এর পর থেকে তিনি জড়িয়ে পড়েন লুটপাটের মহাযজ্ঞে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সুপেয় পানির জন্য সারা দেশে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা খরচ করে প্রকল্প হাতে নেয় আওয়ামী সরকার। এর মধ্যে ৫পি প্যাকেজে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় সাতক্ষীরার জন্য। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে রেইন ওয়াটার হারভেস্ট, গভীর নলকূপ ও সাবমার্সিবল পাম্প। প্রকল্পটি শুধু গরিব আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমূল্যে নিরাপদ পানি দেওয়ার জন্য ছিল। কিন্তু বরাদ্দের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে অনিয়মের মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন সরকারি এ কর্মকর্তা, এমপিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সারা দেশে ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ’ ও ‘উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ’ নামে দুটি প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রকল্পে ৩ হাজার লিটারের পানি সংরক্ষণের ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়। এসব প্রকল্পের আওতায় সরকারের উপকারভোগীপ্রতি ব্যয় প্রায় ৪২ হাজার ২০০ টাকা (ভ্যাট-ট্যাক্সসহ)। তবে সরকারি এ প্রকল্পে গ্রাহকপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষদের বাদ দিয়ে সচ্ছল চাকরিজীবীদের কাছে ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকায় এসব ট্যাঙ্ক বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের। এই অনিয়মের সঙ্গে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাবি, স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যে তালিকা পাওয়া গেছে, সেই তালিকা অনুযায়ী ট্যাঙ্ক বিতরণ করা হয়েছিল। সেখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।
সরেজমিন গেলে শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন, আলাফাত হোসেন, করিম শেখ, রমজাননগরের বাসিন্দা আয়েশা খাতুন, আমেনা বেগমসহ অনেকে বলেন, আমাদের এলাকায় সুপেয় পানির বড়ই অভাব। দিনে দুই থেকে তিনবার অনেক দূর থেকে হেঁটে পানি আনতে হয়। পানির পাত্র না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি ধরে রাখতে পারি না। শুনেছি সরকার থেকে ৩ হাজার লিটারের পানির ট্যাঙ্ক দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ তো স্বপ্নের মতো। পানির সমস্যা নিয়ে এরপর স্থানীয় মেম্বারের কাছে গেলে দিতে হয় ১ থেকে ১৫ হাজার টাকা। দুঃখের বিষয় হলো, পানির ট্যাঙ্ক গরিব অসহায় মানুষ না পেয়ে এলাকার বিত্তবানরাই পাচ্ছেন। তারা ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করছেন সরকারি এসব ট্যাঙ্ক। আর তারা এসব ট্যাঙ্ক ব্যবহার করছেন গরু ও মুরগির খামারে।
স্থানীয় এক সংবাদকর্মী জানান, সরকার পতনের কয়েক মাস আগেই শ্যামনগরজুড়ে চলেছে ট্যাঙ্ক বিক্রির হরিলুট। আর এসবের পেছনে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত। গরিব মানুষকে ট্যাঙ্ক না দিয়ে রমজাননগরে ফারুক হোসেন নামে এক ইউপি সদস্য হাতিয়ে নিয়েছেন চারটি ট্যাঙ্ক। এ ছাড়া নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এলাকায় অধিকাংশ বিত্তবানের বাড়িতে দুই থেকে তিনটি ট্যাঙ্ক। লুটপাটের এই মহাযজ্ঞে খোদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরায় যোগদানের পর অফিসকে দুর্নীতির এক অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীর বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে অফিসের সব ঠিকাদারকে জিম্মি করে ফেলেছিলেন। ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমিশন না দিলে কোনো ঠিকাদার পেত না কোনো প্রকল্পের কাজ।
এ ছাড়া ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ করত কামাল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, দীর্ঘ চার বছরে টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি তার।
তিনি আরও জানান, মো. শহিদুল ইসলাম ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে যোগদান করলেও তার বাবার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট হয় ২০১৬ সালে। এ ছাড়া তার একাডেমিক সনদ নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। চাকরির শুরুতে চার লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কামাল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়, সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা ট্যাঙ্ক বিতরণ করছি। যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে অফিসে কথা বলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সুপেয় পানির প্রকল্পের নামে দীর্ঘ চার বছরে সাতক্ষীরায় জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী ঠিকাদার ও এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অবশেষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে কুষ্টিয়া জেলায় বদলি করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বদলি হলেও থেমে নেই তার দৌরাত্ম্য। জানা গেছে, ছুটির দিনেও অফিসে বসে নথিপত্র গায়েব করে বদলি ঠেকাতে রীতিমতো বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছেন অঢেল সম্পদের মালিক। যশোরের নিউমার্কেট এলাকায় ৫তলা বাড়ি, ৮-১০টি প্লটসহ কয়েক বিঘা জমি, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীসহ বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিক হয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ মে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন শহিদুল ইসলাম। এর পর থেকে তিনি জড়িয়ে পড়েন লুটপাটের মহাযজ্ঞে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সুপেয় পানির জন্য সারা দেশে ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা খরচ করে প্রকল্প হাতে নেয় আওয়ামী সরকার। এর মধ্যে ৫পি প্যাকেজে ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয় সাতক্ষীরার জন্য। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে রেইন ওয়াটার হারভেস্ট, গভীর নলকূপ ও সাবমার্সিবল পাম্প। প্রকল্পটি শুধু গরিব আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমূল্যে নিরাপদ পানি দেওয়ার জন্য ছিল। কিন্তু বরাদ্দের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় করে অনিয়মের মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন সরকারি এ কর্মকর্তা, এমপিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সারা দেশে ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ’ ও ‘উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ’ নামে দুটি প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রকল্পে ৩ হাজার লিটারের পানি সংরক্ষণের ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়। এসব প্রকল্পের আওতায় সরকারের উপকারভোগীপ্রতি ব্যয় প্রায় ৪২ হাজার ২০০ টাকা (ভ্যাট-ট্যাক্সসহ)। তবে সরকারি এ প্রকল্পে গ্রাহকপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষদের বাদ দিয়ে সচ্ছল চাকরিজীবীদের কাছে ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকায় এসব ট্যাঙ্ক বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের। এই অনিয়মের সঙ্গে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাবি, স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যে তালিকা পাওয়া গেছে, সেই তালিকা অনুযায়ী ট্যাঙ্ক বিতরণ করা হয়েছিল। সেখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।
সরেজমিন গেলে শ্যামনগরের আটুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন, আলাফাত হোসেন, করিম শেখ, রমজাননগরের বাসিন্দা আয়েশা খাতুন, আমেনা বেগমসহ অনেকে বলেন, আমাদের এলাকায় সুপেয় পানির বড়ই অভাব। দিনে দুই থেকে তিনবার অনেক দূর থেকে হেঁটে পানি আনতে হয়। পানির পাত্র না থাকায় বৃষ্টির সময় পানি ধরে রাখতে পারি না। শুনেছি সরকার থেকে ৩ হাজার লিটারের পানির ট্যাঙ্ক দেওয়া হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দ তো স্বপ্নের মতো। পানির সমস্যা নিয়ে এরপর স্থানীয় মেম্বারের কাছে গেলে দিতে হয় ১ থেকে ১৫ হাজার টাকা। দুঃখের বিষয় হলো, পানির ট্যাঙ্ক গরিব অসহায় মানুষ না পেয়ে এলাকার বিত্তবানরাই পাচ্ছেন। তারা ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করছেন সরকারি এসব ট্যাঙ্ক। আর তারা এসব ট্যাঙ্ক ব্যবহার করছেন গরু ও মুরগির খামারে।
স্থানীয় এক সংবাদকর্মী জানান, সরকার পতনের কয়েক মাস আগেই শ্যামনগরজুড়ে চলেছে ট্যাঙ্ক বিক্রির হরিলুট। আর এসবের পেছনে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার পর্যন্ত। গরিব মানুষকে ট্যাঙ্ক না দিয়ে রমজাননগরে ফারুক হোসেন নামে এক ইউপি সদস্য হাতিয়ে নিয়েছেন চারটি ট্যাঙ্ক। এ ছাড়া নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এলাকায় অধিকাংশ বিত্তবানের বাড়িতে দুই থেকে তিনটি ট্যাঙ্ক। লুটপাটের এই মহাযজ্ঞে খোদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরায় যোগদানের পর অফিসকে দুর্নীতির এক অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীর বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে অফিসের সব ঠিকাদারকে জিম্মি করে ফেলেছিলেন। ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমিশন না দিলে কোনো ঠিকাদার পেত না কোনো প্রকল্পের কাজ।
এ ছাড়া ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার প্রকল্পের অধিকাংশ কাজ করত কামাল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, দীর্ঘ চার বছরে টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি তার।
তিনি আরও জানান, মো. শহিদুল ইসলাম ২০১২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে যোগদান করলেও তার বাবার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট হয় ২০১৬ সালে। এ ছাড়া তার একাডেমিক সনদ নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। চাকরির শুরুতে চার লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কামাল এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার নজরুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়, সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা ট্যাঙ্ক বিতরণ করছি। যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে অফিসে কথা বলেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাবতলীতে অভিযান চালিয়ে সেবাগ্রহীতাদের অর্থ নিয়ে কাজের নামে হয়রানি ও হেনস্তার অভিযোগে ৮ দালালকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগেগত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী 'ইউনিক রোড রয়েলস' নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়— এমনটাই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগেচলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা আলমগীরসহ তার সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো ঘটনার মূলহোতা আলমগীর শেখ (৩৪) ও তার সহোদর রাজীব হোসেন (২১)। তারা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার আমতলী গ্রামের খোরশেদ আলম শেখের ছেলে।
৬ ঘণ্টা আগেদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশব্যাপী র্যাবের রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপনসহ আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে ঢাকায় র্যাবের ৬৯টি ও ঢাকার বাহিরে ১৪৯টিসহ সারাদেশে মোট ২১৮টি টহলদল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গাবতলীতে অভিযান চালিয়ে সেবাগ্রহীতাদের অর্থ নিয়ে কাজের নামে হয়রানি ও হেনস্তার অভিযোগে ৮ দালালকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী 'ইউনিক রোড রয়েলস' নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়— এমনটাই জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা আলমগীরসহ তার সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো ঘটনার মূলহোতা আলমগীর শেখ (৩৪) ও তার সহোদর রাজীব হোসেন (২১)। তারা মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার আমতলী গ্রামের খোরশেদ আলম শেখের ছেলে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশব্যাপী র্যাবের রোবাস্ট পেট্রোল ও চেকপোস্ট স্থাপনসহ আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে ঢাকায় র্যাবের ৬৯টি ও ঢাকার বাহিরে ১৪৯টিসহ সারাদেশে মোট ২১৮টি টহলদল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।