মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • সর্বশেষ
  • বিশ্ব
  • বিশেষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • খেলা
  • বাংলাদেশ
  • অর্থনীতি
  • ইপেপার
  • ইপেপার
nikhad logo
অনুসরণ করুন
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
  • নিখাদ খবর
  • বিজ্ঞাপন
  • সার্কুলেশন
  • শর্তাবলি ও নীতিমালা
  • গোপনীয়তা নীতি
  • যোগাযোগ
স্বত্ব: ©️ দৈনিক নিখাদ খবর|ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: পারভীন আফরোজ খান ওপ্রকাশক: আ. হ. ম তারেক উদ্দীন
অপরাধ
দুর্নীতি

আজীম আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: খোকন

বহু অপকর্মের হোতা এই এসপি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রতিনিধি
মোঃ মাজহারুল পারভেজ
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ২১: ৪৫
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ২১: ৫২
logo

আজীম আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল: খোকন

মোঃ মাজহারুল পারভেজ

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ২১: ৪৫
Photo
ছবি: সংগৃহীত

দেশেই আছেন নরসিংদীর তৎকালীন পুলিশ অফিসার কাজী আশরাফুল আজীম। তবে দেশ থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। যে কোনো সময় বর্ডার অতিক্রম করে চলে যেতে পারেন ওপারে। অধিকাংশ সময় রাজধানীতেই থাকেন। ব্যবহার করছেন আমেরিকান সিম। স্বজনদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে যোগাযোগ রক্ষা করেন। রাজধানীর কল্যাণপুর খালেক পাম্পের ঠিক পিছনের একটি ভবনের লিফটের -৩ এ এক আলিশান ফ্ল্যাটে থাকেন তার পরিবার। এখানে আছে তার মা,স্ত্রী ও সন্তান।

এই ফ্ল্যাট ছাড়াও রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট। ডিওএইচএসএ রয়েছে তার সাড়ে তিন কাঠার প্লট। রাজধানীতে তার সহপাঠী স্ত্রীর নামেও রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে আজীমের নামে থাকো তার কিছু প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য হন্য হয়ে চেষ্টা করছেন।

আজীম শেরপুর ও নরসিংদীতে পুলিশ সুপার এবং উত্তরা জোনের ডিসি থাকাকালীন অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। টাকার জন্য এমন কোন অপরাধ নেই যে তিনি করেননি। তার এক সহপাঠী জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সে ছাত্রদল করতো। ২০০৫ সালে চাকুরি হওয়ার পরও সে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি সে পরিবর্তন হয়ে যায়। পাগল হয়ে যায় টাকার জন্য। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলে নাম শুনলেই সে ক্ষেপে যেত।

তার জানা মতে, নরসিংদীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছেন আজীম। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যা করার সাহস পাননি তিনি তা করে দেখিয়েছেন। নরসিংদীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার (কালা মিয়া স্যার) পর্যন্ত তার রোষানল থেকে রেহাই পাননি।

২০২৩ সালের ২৫ মে নরসিংদীর চিনিশপুর জেলখানা মোড়ে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ গুলি করে। তখন ছাত্রনেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল হক গুলিবিদ্ধ হন। রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় তাদেরকে। সন্ধ্যার দিকে মারা যায় সাদেক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর শুক্রবার সকালে মারা যায় আশরাফুল।

এ ঘটনার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন ও জেলা বিএনপির আজকের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা পল্টনে জরুরি সভা করছিলেন। হঠাৎ তারা এ খবর জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যুব দলের তৎকালীন সভাপতি বিদ্যুত ছুটে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বিদ্যুত হাসপাতালে পৌছার কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেকুর রহমান সাদেকের মৃত্যু হয়।

তখন হাসপাতাল জুড়ে শোকেরর মাতম চলছে। আর নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বসে কাকে এ ঘটনায় দ্রুত গ্রেফতার করা যায় সে চিন্তায় ব্যস্ত তখনকার আওয়ামী পুলিশ। পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও সদর থানার তৎকালীন ওসি আবুল কাশেম এর নির্দেশনায় বিদ্যুতসহ ৩ জনকে হাসপাতাল থেকে আটক করে । এসময় সাদেকের স্বজনরা বিদ্যুতকে আটক করতে নিষেধ করে পুলিশকে।কিন্তু পুলিশ কথা শোনেননি। আটক করার পর বার বার তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয় স্বজনরা। কিন্তু পুলিশ তাকে নিয়ে দ্রুত নরসিংদীর দিকে রওনা দেয়। এদিকে বিদ্যুতের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরে খায়রুল কবীর খোকনসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হত্যাকাণ্ডের দুদিনের মাথায় ২৭মে শুক্রবার রাতে নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে মামলার প্রধান আসামি করা হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে। অন্য আসামিরা হলেন- খোকনের স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, বিএনপির নেতা জায়দুল ইসলাম জাহিদ, ইলিয়াস আলী ভূইয়া, আল-আমিন, তানভির, রবিউল ইসলাম রবি, সোহেল, সাদ্দাম হোসেন ভূইয়া, মো. ওয়ালিদ হোসেন, রিফাত, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রউফ সরকার রনি, সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, শামিম সরকার, শহর যুবদলের আহ্বায়ক চৌধুরি সুমন, যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, রুবেল হাসান, চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আওলাদ হোসেন মোল্লা, সজীব, নাজমুল ভূইয়া, গোলজার হোসেন, শহিদুজ্জামান, শাকিল চৌধুরি, হানিফ সরকার, আল আমিন ওরফে হাদি, ইমাম মেম্বার, বাবুল খন্দকার, রাসেল মিয়া ও কামাল হোসেন ভূইয়া।

এসব বিষয়ে খায়রুল কবীর খোকন নিখাদ খবরকে বলেন, কাজী আশরাফুল আজীমকে পুলিশ বলা যায় না। সে পেশাদার অপরাধি। নরসিংদীতে সে আমাকে বার বার হত্যা করতে চেয়েছিল। শিবপুরের ইটাখোলার যেদিন আমার উপর হামলা হয় সেদিন আমি পালটা গুলি না করলে হয়ত সেদিনই মারা যেতাম। আজীম আমাকে মারতে না পেরে আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। হামলা করে ভেঙ্গে চুড়েও ক্ষান্ত হয়নি । পরে আমার বাড়িটি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এতেও সে ক্ষান্ত হয়নি। আমার কর্মীদের গুলি করে মেরে পরে স্ত্রী ও নেতাকর্মীসহ আমাকে হত্যা মামলা আসামি করে। তার মত হিংস্র ও জঘন্য পুলিশ অফিসারের সময় আমাদের যে কত অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা এখন আর বলে বুঝানো যাবে না। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। আশা করি এই বাংলার মাটিতে তার অপকর্মের বিচার হবে ইনশাল্লাহ।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসাইন বিদ্যুত বলেন, সাদেক হত্যায় বাদী প্রথম যে এজাহার দাখিল করেছিল সেখানে আমার নাম ছিল না। এই এজাহার দেখে ওসি আবুল কাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ওসি চেচিয়ে বলে বিদ্যুতকে আসামি না করলে মামলা নেয়া হবে না। তখন আমি থানার হাজত খানায় আটক। বাদী যেখানে আমাকে আসামি করতে চায়নি ওসি সেখানে আমাকে আসামি করার জন্য পাগল হয়ে যায় কেন? এতে সহজেই বোঝা যায় সেদিন কী ঘটেছিল। আমরা চাই সাদেক হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হোক। ঘটনার সাথে যে-সকল আওয়ামী পুলিশ অফিসার জড়িত তাদের বিচার হোক।

এসব কারণে মামলা করতে দুই দিন বিলম্ব হয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনার দুই দিন পর আমাকে ১৪ নম্বর আসামি করে মামলা করা হয়। এই মামলায় আমাকে ৬ দিন রিমান্ড খাটতে হয়েছে। এসপির নির্দেশে ওসি আবুল কাশেম নিজে আমাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। অথচ সাদেক আমার কর্মী ছিল। ওসি এক পর্যায়ে বলেছে খোকন ভাইয়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বললে আমার কিছুই হবে না। উত্তরে ওসিকে বলেছি আমার নেতা খায়রুল কবীর খোকন গুম খুন ও হত্যার রাজনীতি করে না। এ কথা বলার সাথে সাথে নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ি । এই এসপি আজীম আর ওসি কাশেমদের বিচার দেখতে না পারলে মরেও শান্তি পাব না।

Thumbnail image
ছবি: সংগৃহীত

দেশেই আছেন নরসিংদীর তৎকালীন পুলিশ অফিসার কাজী আশরাফুল আজীম। তবে দেশ থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। যে কোনো সময় বর্ডার অতিক্রম করে চলে যেতে পারেন ওপারে। অধিকাংশ সময় রাজধানীতেই থাকেন। ব্যবহার করছেন আমেরিকান সিম। স্বজনদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে যোগাযোগ রক্ষা করেন। রাজধানীর কল্যাণপুর খালেক পাম্পের ঠিক পিছনের একটি ভবনের লিফটের -৩ এ এক আলিশান ফ্ল্যাটে থাকেন তার পরিবার। এখানে আছে তার মা,স্ত্রী ও সন্তান।

এই ফ্ল্যাট ছাড়াও রয়েছে তার একাধিক ফ্ল্যাট। ডিওএইচএসএ রয়েছে তার সাড়ে তিন কাঠার প্লট। রাজধানীতে তার সহপাঠী স্ত্রীর নামেও রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে আজীমের নামে থাকো তার কিছু প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য হন্য হয়ে চেষ্টা করছেন।

আজীম শেরপুর ও নরসিংদীতে পুলিশ সুপার এবং উত্তরা জোনের ডিসি থাকাকালীন অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। টাকার জন্য এমন কোন অপরাধ নেই যে তিনি করেননি। তার এক সহপাঠী জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সে ছাত্রদল করতো। ২০০৫ সালে চাকুরি হওয়ার পরও সে অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি সে পরিবর্তন হয়ে যায়। পাগল হয়ে যায় টাকার জন্য। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলে নাম শুনলেই সে ক্ষেপে যেত।

তার জানা মতে, নরসিংদীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছেন আজীম। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যা করার সাহস পাননি তিনি তা করে দেখিয়েছেন। নরসিংদীর সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হারিছ রিকাবদার (কালা মিয়া স্যার) পর্যন্ত তার রোষানল থেকে রেহাই পাননি।

২০২৩ সালের ২৫ মে নরসিংদীর চিনিশপুর জেলখানা মোড়ে ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশ গুলি করে। তখন ছাত্রনেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল হক গুলিবিদ্ধ হন। রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাদেরকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় তাদেরকে। সন্ধ্যার দিকে মারা যায় সাদেক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একদিন পর শুক্রবার সকালে মারা যায় আশরাফুল।

এ ঘটনার সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকন ও জেলা বিএনপির আজকের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা পল্টনে জরুরি সভা করছিলেন। হঠাৎ তারা এ খবর জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যুব দলের তৎকালীন সভাপতি বিদ্যুত ছুটে যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বিদ্যুত হাসপাতালে পৌছার কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেকুর রহমান সাদেকের মৃত্যু হয়।

তখন হাসপাতাল জুড়ে শোকেরর মাতম চলছে। আর নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বসে কাকে এ ঘটনায় দ্রুত গ্রেফতার করা যায় সে চিন্তায় ব্যস্ত তখনকার আওয়ামী পুলিশ। পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও সদর থানার তৎকালীন ওসি আবুল কাশেম এর নির্দেশনায় বিদ্যুতসহ ৩ জনকে হাসপাতাল থেকে আটক করে । এসময় সাদেকের স্বজনরা বিদ্যুতকে আটক করতে নিষেধ করে পুলিশকে।কিন্তু পুলিশ কথা শোনেননি। আটক করার পর বার বার তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয় স্বজনরা। কিন্তু পুলিশ তাকে নিয়ে দ্রুত নরসিংদীর দিকে রওনা দেয়। এদিকে বিদ্যুতের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরে খায়রুল কবীর খোকনসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হত্যাকাণ্ডের দুদিনের মাথায় ২৭মে শুক্রবার রাতে নিহত ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে মামলার প্রধান আসামি করা হয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে। অন্য আসামিরা হলেন- খোকনের স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, বিএনপির নেতা জায়দুল ইসলাম জাহিদ, ইলিয়াস আলী ভূইয়া, আল-আমিন, তানভির, রবিউল ইসলাম রবি, সোহেল, সাদ্দাম হোসেন ভূইয়া, মো. ওয়ালিদ হোসেন, রিফাত, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রউফ সরকার রনি, সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, শামিম সরকার, শহর যুবদলের আহ্বায়ক চৌধুরি সুমন, যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, রুবেল হাসান, চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আওলাদ হোসেন মোল্লা, সজীব, নাজমুল ভূইয়া, গোলজার হোসেন, শহিদুজ্জামান, শাকিল চৌধুরি, হানিফ সরকার, আল আমিন ওরফে হাদি, ইমাম মেম্বার, বাবুল খন্দকার, রাসেল মিয়া ও কামাল হোসেন ভূইয়া।

এসব বিষয়ে খায়রুল কবীর খোকন নিখাদ খবরকে বলেন, কাজী আশরাফুল আজীমকে পুলিশ বলা যায় না। সে পেশাদার অপরাধি। নরসিংদীতে সে আমাকে বার বার হত্যা করতে চেয়েছিল। শিবপুরের ইটাখোলার যেদিন আমার উপর হামলা হয় সেদিন আমি পালটা গুলি না করলে হয়ত সেদিনই মারা যেতাম। আজীম আমাকে মারতে না পেরে আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। হামলা করে ভেঙ্গে চুড়েও ক্ষান্ত হয়নি । পরে আমার বাড়িটি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এতেও সে ক্ষান্ত হয়নি। আমার কর্মীদের গুলি করে মেরে পরে স্ত্রী ও নেতাকর্মীসহ আমাকে হত্যা মামলা আসামি করে। তার মত হিংস্র ও জঘন্য পুলিশ অফিসারের সময় আমাদের যে কত অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা এখন আর বলে বুঝানো যাবে না। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই। আশা করি এই বাংলার মাটিতে তার অপকর্মের বিচার হবে ইনশাল্লাহ।

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন হোসাইন বিদ্যুত বলেন, সাদেক হত্যায় বাদী প্রথম যে এজাহার দাখিল করেছিল সেখানে আমার নাম ছিল না। এই এজাহার দেখে ওসি আবুল কাশেম ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ওসি চেচিয়ে বলে বিদ্যুতকে আসামি না করলে মামলা নেয়া হবে না। তখন আমি থানার হাজত খানায় আটক। বাদী যেখানে আমাকে আসামি করতে চায়নি ওসি সেখানে আমাকে আসামি করার জন্য পাগল হয়ে যায় কেন? এতে সহজেই বোঝা যায় সেদিন কী ঘটেছিল। আমরা চাই সাদেক হত্যার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হোক। ঘটনার সাথে যে-সকল আওয়ামী পুলিশ অফিসার জড়িত তাদের বিচার হোক।

এসব কারণে মামলা করতে দুই দিন বিলম্ব হয়। শেষ পর্যন্ত ঘটনার দুই দিন পর আমাকে ১৪ নম্বর আসামি করে মামলা করা হয়। এই মামলায় আমাকে ৬ দিন রিমান্ড খাটতে হয়েছে। এসপির নির্দেশে ওসি আবুল কাশেম নিজে আমাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। অথচ সাদেক আমার কর্মী ছিল। ওসি এক পর্যায়ে বলেছে খোকন ভাইয়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বললে আমার কিছুই হবে না। উত্তরে ওসিকে বলেছি আমার নেতা খায়রুল কবীর খোকন গুম খুন ও হত্যার রাজনীতি করে না। এ কথা বলার সাথে সাথে নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ি । এই এসপি আজীম আর ওসি কাশেমদের বিচার দেখতে না পারলে মরেও শান্তি পাব না।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

দুর্নীতি নিয়ে আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র ফেরত টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্র ফেরত টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক তারেক শামস খান হিমুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১১ ঘণ্টা আগে
মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সিআইডি জানায়, সকালে মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাসারকে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম রাজধানীর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

১৯ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

বাগেরহাটে কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

বাগেরহাটে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় এক কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ২০ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয় ।

২ দিন আগে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় গ্রেফতার আরও ২

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় গ্রেফতার আরও ২

আজ রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানী ঢাকা ও নেত্রকোনা থেকে তাদেরকে গ্রেফতারের কথা জানায় ডিবি। এরা হলেন, সজীব ও রাজিব। তারা এজাহারনামীয় আসামি

২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র ফেরত টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার

যুক্তরাষ্ট্র ফেরত টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগ নেতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক তারেক শামস খান হিমুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

১১ ঘণ্টা আগে
মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সিআইডি জানায়, সকালে মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাসারকে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম রাজধানীর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে।

১৯ ঘণ্টা আগে
বাগেরহাটে কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

বাগেরহাটে কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

বাগেরহাটে মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় এক কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ২০ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয় ।

২ দিন আগে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় গ্রেফতার আরও ২

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যায় গ্রেফতার আরও ২

আজ রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানী ঢাকা ও নেত্রকোনা থেকে তাদেরকে গ্রেফতারের কথা জানায় ডিবি। এরা হলেন, সজীব ও রাজিব। তারা এজাহারনামীয় আসামি

২ দিন আগে